ঢাকা ০৩:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫

পাকিস্তানে ভারতের হামলায় চীনের গভীর উদ্বেগ

  • আপডেট সময় : ০৮:৫৯:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫
  • ৭ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

প্রত্যাশা ডেস্ক: পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরসহ দেশটির বিভিন্ন এলাকায় ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনায় গভীর দুঃখ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে উভয়েরই প্রতিবেশী দেশ চীন। দুই প্রতিবেশীকে শান্ত থাকার আহ্বানও জানিয়েছে বেইজিং।

বুধবার (৭ মে) এক বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র এ ইস্যুতে বলেন, বুধবার ভোররাতে পাকিস্তানে ভারতের সামরিক পদক্ষেপের ঘটনায় চীন গভীরভাবে দুঃখিত এবং উদ্বিগ্ন। চীন সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরোধী। আমরা ভারত-পাকিস্তানকে শান্তি এবং স্থিতিশীলতাকে গুরুত্ব দেওয়া এবং উভয়কে শান্ত ও সহিংসতা থেকে মুক্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

গত ২২ এপ্রিল ভারতের জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাকে ঘিরে প্রায় ২ সপ্তাহ পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনা চলার পর বুধবার পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনী এই অভিযানের নাম দিয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’।

বুধবার মধ্যরাতে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরের অন্তত ৯টি স্থানে হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সামরিক বাহিনী, মাত্র ২৫ মিনিটে অন্তত ২৪ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে পাকিস্তানে। এতে পাকিস্তানে কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ভারত, যদিও পাকিস্তান দাবি—ভারতের হামলায় যে নিহত হয়েছে ২৬ জন।

অন্যদিকে, কাশ্মির সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ভারত-শাসিত কাশ্মিরে অন্তত ১০ জন নিহত ও ৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা ভারতীয় অন্তত পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। তবে ভারতীয় কর্মকর্তারা জম্মু-কাশ্মিরে এখন পর্যন্ত তিনটি ভারতীয় বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন।

প্রসঙ্গত, ভারত এবং পাকিস্তান—উভয় দেশের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে চীনের। ২০২০ সালে ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখে চীনা ও ভারতীয় সেনাদের মধ্যে যুদ্ধও হয়েছিল। সেই সংঘাতে উভয় দেশের বেশ কয়েক জন সেনা আহত এবং নিহত হয়েছিলেন। সূত্র: সিএনএন, আলজাজিরা

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পাকিস্তানে ভারতের হামলায় চীনের গভীর উদ্বেগ

আপডেট সময় : ০৮:৫৯:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরসহ দেশটির বিভিন্ন এলাকায় ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনায় গভীর দুঃখ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে উভয়েরই প্রতিবেশী দেশ চীন। দুই প্রতিবেশীকে শান্ত থাকার আহ্বানও জানিয়েছে বেইজিং।

বুধবার (৭ মে) এক বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র এ ইস্যুতে বলেন, বুধবার ভোররাতে পাকিস্তানে ভারতের সামরিক পদক্ষেপের ঘটনায় চীন গভীরভাবে দুঃখিত এবং উদ্বিগ্ন। চীন সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরোধী। আমরা ভারত-পাকিস্তানকে শান্তি এবং স্থিতিশীলতাকে গুরুত্ব দেওয়া এবং উভয়কে শান্ত ও সহিংসতা থেকে মুক্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

গত ২২ এপ্রিল ভারতের জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাকে ঘিরে প্রায় ২ সপ্তাহ পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনা চলার পর বুধবার পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনী এই অভিযানের নাম দিয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’।

বুধবার মধ্যরাতে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরের অন্তত ৯টি স্থানে হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সামরিক বাহিনী, মাত্র ২৫ মিনিটে অন্তত ২৪ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে পাকিস্তানে। এতে পাকিস্তানে কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ভারত, যদিও পাকিস্তান দাবি—ভারতের হামলায় যে নিহত হয়েছে ২৬ জন।

অন্যদিকে, কাশ্মির সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ভারত-শাসিত কাশ্মিরে অন্তত ১০ জন নিহত ও ৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা ভারতীয় অন্তত পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। তবে ভারতীয় কর্মকর্তারা জম্মু-কাশ্মিরে এখন পর্যন্ত তিনটি ভারতীয় বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন।

প্রসঙ্গত, ভারত এবং পাকিস্তান—উভয় দেশের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে চীনের। ২০২০ সালে ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখে চীনা ও ভারতীয় সেনাদের মধ্যে যুদ্ধও হয়েছিল। সেই সংঘাতে উভয় দেশের বেশ কয়েক জন সেনা আহত এবং নিহত হয়েছিলেন। সূত্র: সিএনএন, আলজাজিরা