ঢাকা ১১:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫

পাকিস্তানে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোর্সে ঢুকল সংস্কৃত, গীতা, মহাভারত

  • আপডেট সময় : ০৯:২২:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

ছবি- দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন

প্রত্যাশা ডেস্ক: পাকিস্তানের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত লাহোরের লাহোর ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজে (এলইউএমএস) সম্মান (অনার্স) কোর্স হিসেবে চালু হচ্ছে সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য। এখন থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরোদস্তুর ফোর-ক্রেডিট কোর্স হিসেবে পড়ানো হবে সংস্কৃত ভাষা, গীতা, রামায়ন, মহাভারত এবং সংস্কৃত ভাষায় লেখা অন্যান্য সাহিত্য।

১৯৪৭ সালে দ্বিজাতিতত্বের ভিত্তিতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীনতালাভের পর এই প্রথম পাকিস্তানের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য পড়াশোনার কোর্স হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে।

পাকিস্তানের জাতীয় ভাষা গবেষণা কেন্দ্র গুরমানি সেন্টারের পরিচালক ড. আলী উসমান কাশমি পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনকে বলেন, আমাদের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য সংক্রান্ত বইয়ের বিশাল ভাণ্ডার আছে; সেখানে এমনকি তালপাতায় লেখা সংস্কৃত পুঁথিও রয়েছে। ব্রিটিশ শাসনামলে তৎকালীন গবেষক জে সি আর উলনার এসব বই, প্রকাশনা ও পুঁথি সংগ্রহ করেছিলেন; কিন্তু ১৯৪৭ সালের পর সেসব নিয়ে কোনো পাকিস্তানি গবেষক কাজ করেনি। কেবল বিদেশি গবেষকরাই এসব বই-প্রকাশনা তাদের নিজেদের গবেষণার জন্য ব্যবহার করেছেন।

এলইউএমএস যে উদ্যোগ নিয়েছে তাকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি। আমি আশা করছি যে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও এ উদ্যোগ নেবে এবং আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে আমরা সংস্কৃত ভাষা, গীতা ও মহাভারত বিষয়ে পাকিস্তানি গবেষক দেখতে পাব।

বিশ্ববিদ্যালয়ে কোর্স হিসেবে সংস্কৃত ভাষা চালুর ক্ষেত্রে অগ্রবর্তী ভূমিকায় ছিলেন এলইউএমএসের অধীন ফরমান ক্রিশ্চিয়ান কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শহীদ রশীদ। এলইউএমএসে সংস্কৃত পড়াবেনও তিনি। দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, আমি অনলাইনে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংস্কৃত ভাষা ও ব্যাকরণের ওপর এক বছরের কোর্স সম্পন্ন করেছি এবং এখনও পড়াশোনা অব্যাহত রেখেছি।

কী কারণে সংস্কৃত ভাষা শিখছেন- প্রশ্নের উত্তরে ড. রশীদ বলেন, কেন শিখব না? এটি আমাদের উপমহাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন ভাষা। সংস্কৃত ভাষার সবচেয়ে বিখ্যাত পণ্ডিত পাণিণির জন্ম আমাদের পাকিস্তানে। আমাদের সিন্ধু উপত্যকায় সংস্কৃত ভাষার অনেক বিখ্যাত সাহিত্য রচনা হয়েছে।
সংস্কৃত হলো পর্বতের মতো- এটি একটি সাংস্কৃতিক স্মৃতিস্তম্ভ এবং আমাদের এটি গ্রহণ করা প্রয়োজন। সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য কোনো নির্দিষ্ট ধর্মের সম্পত্তি নয়। এটা সম্পদ এবং এই সম্পদ আমাদেরও। সূত্র: এনডিটিভি
সানা/আপ্র/১৩/১২/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারানোর দুঃসহ বেদনার দিন

পাকিস্তানে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোর্সে ঢুকল সংস্কৃত, গীতা, মহাভারত

আপডেট সময় : ০৯:২২:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: পাকিস্তানের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত লাহোরের লাহোর ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজে (এলইউএমএস) সম্মান (অনার্স) কোর্স হিসেবে চালু হচ্ছে সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য। এখন থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরোদস্তুর ফোর-ক্রেডিট কোর্স হিসেবে পড়ানো হবে সংস্কৃত ভাষা, গীতা, রামায়ন, মহাভারত এবং সংস্কৃত ভাষায় লেখা অন্যান্য সাহিত্য।

১৯৪৭ সালে দ্বিজাতিতত্বের ভিত্তিতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীনতালাভের পর এই প্রথম পাকিস্তানের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য পড়াশোনার কোর্স হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে।

পাকিস্তানের জাতীয় ভাষা গবেষণা কেন্দ্র গুরমানি সেন্টারের পরিচালক ড. আলী উসমান কাশমি পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনকে বলেন, আমাদের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য সংক্রান্ত বইয়ের বিশাল ভাণ্ডার আছে; সেখানে এমনকি তালপাতায় লেখা সংস্কৃত পুঁথিও রয়েছে। ব্রিটিশ শাসনামলে তৎকালীন গবেষক জে সি আর উলনার এসব বই, প্রকাশনা ও পুঁথি সংগ্রহ করেছিলেন; কিন্তু ১৯৪৭ সালের পর সেসব নিয়ে কোনো পাকিস্তানি গবেষক কাজ করেনি। কেবল বিদেশি গবেষকরাই এসব বই-প্রকাশনা তাদের নিজেদের গবেষণার জন্য ব্যবহার করেছেন।

এলইউএমএস যে উদ্যোগ নিয়েছে তাকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি। আমি আশা করছি যে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও এ উদ্যোগ নেবে এবং আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে আমরা সংস্কৃত ভাষা, গীতা ও মহাভারত বিষয়ে পাকিস্তানি গবেষক দেখতে পাব।

বিশ্ববিদ্যালয়ে কোর্স হিসেবে সংস্কৃত ভাষা চালুর ক্ষেত্রে অগ্রবর্তী ভূমিকায় ছিলেন এলইউএমএসের অধীন ফরমান ক্রিশ্চিয়ান কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শহীদ রশীদ। এলইউএমএসে সংস্কৃত পড়াবেনও তিনি। দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, আমি অনলাইনে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংস্কৃত ভাষা ও ব্যাকরণের ওপর এক বছরের কোর্স সম্পন্ন করেছি এবং এখনও পড়াশোনা অব্যাহত রেখেছি।

কী কারণে সংস্কৃত ভাষা শিখছেন- প্রশ্নের উত্তরে ড. রশীদ বলেন, কেন শিখব না? এটি আমাদের উপমহাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন ভাষা। সংস্কৃত ভাষার সবচেয়ে বিখ্যাত পণ্ডিত পাণিণির জন্ম আমাদের পাকিস্তানে। আমাদের সিন্ধু উপত্যকায় সংস্কৃত ভাষার অনেক বিখ্যাত সাহিত্য রচনা হয়েছে।
সংস্কৃত হলো পর্বতের মতো- এটি একটি সাংস্কৃতিক স্মৃতিস্তম্ভ এবং আমাদের এটি গ্রহণ করা প্রয়োজন। সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য কোনো নির্দিষ্ট ধর্মের সম্পত্তি নয়। এটা সম্পদ এবং এই সম্পদ আমাদেরও। সূত্র: এনডিটিভি
সানা/আপ্র/১৩/১২/২০২৫