ঢাকা ০৮:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পাকিস্তানে বিক্রেতার গাছে কমলালেবুর নজরকাড়া ডিসপ্লে

  • আপডেট সময় : ০৭:২২:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১৪ বার পড়া হয়েছে

বিদেশের খবর ডেস্ক: পেশায় ফল বিক্রেতা। কিন্তু তার নান্দনিক সৃষ্টিশীলতা নজর কাড়ছে সবার। মূলত এই বিক্রেতা একটি গাছকে কমলালেবু দিয়ে সাজিয়ে নজরকাড়া ডিসপ্লেতে রূপান্তরিত করেছেন। আর এটিই সবার কাছে হয়ে উঠেছে আকর্ষণের বস্তু বা আগ্রহের বিষয়।
ব্যতিক্রমী এই সৃষ্টিশীলতার দেখা পাওয়া যায় পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি শহরে। শহরের জেলা আদালত চত্বরে নিজের ফলের দোকানের কাছে একটি গাছকে এক দোকানী কমলালেবু দিয়ে সাজিয়েছেন। এতে তার আয়ও বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ‘প্রয়োজনীয়তাই উদ্ভাবনের জননী’Ñ এ প্রবাদটির যথার্থতা প্রমাণ করেছেন রাওয়ালপিন্ডি জেলা আদালত চত্বরের একজন ফল বিক্রেতা। মূলত নিজের দোকানে বিক্রয় বাড়ানোর জন্য এই উদ্ভাবনী পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রবাদটির সত্যতা প্রদর্শন করেছেন তিনি।
ওই বিক্রেতা তার দোকানের কাছের একটি গাছকে কমলালেবু দিয়ে সাজিয়ে নজরকাড়া ডিসপ্লেতে রূপান্তরিত করেছেন। অনন্য এ ডিসপ্লেটি আদালতে আসা-যাওয়া করা লোকজনের কাছে বেশ দ্রুতই প্রিয় হয়ে উঠেছে। আর এতে তারা ওই বিক্রেতার কাছ থেকে ফল কিনতেও আকৃষ্ট হচ্ছেন।
এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বলছে, রাওয়ালপিন্ডি জেলা আদালত চত্বরের ওই বিক্রেতা গত কয়েক মাস ধরে গাছের ছায়ায় তার ব্যবসা পরিচালনা করছেন। তিনি জানিয়েছেন, আরও বেশি গ্রাহককে আকৃষ্ট করার উপায় হিসাবে ওই গাছকে কমলালেবু দিয়ে সাজিয়ে নজরকাড়া ডিসপ্লেতে রূপান্তরিত এ ধারণাটি তার মাথায় আসে। গাছে ফল ঝুলিয়ে তিনি যে লোভনীয় ও নান্দনিক দৃশ্য সেখানে তৈরি করেছেন তা কেবল সবার মনোযোগই আকর্ষণ করে না, পথচারীদের পাশাপাশি বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের কৌতূহলও তৈরি করছে তার এই সৃষ্টিশীলতা। তাই অনেকেই ঘটনাস্থলেই তাজা কমলা কিনতে এবং খেতে দাঁড়িয়ে যান। এছাড়া ফল কিনতে ও খেতে আসা ক্রেতাদের কালো লবণ এবং কালো মরিচের মিশ্রণে তৈরি মসলাও বিনামূল্যে সরবরাহ করে থাকেন এই বিক্রেতা।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, তার এই কৌশলটি উল্লেখযোগ্যভাবে সফল প্রমাণিত হয়েছে এবং সন্ধ্যার মধ্যেই তার দোকানে থাকা ফলের স্টকের পুরোটাই বিক্রি করে ফেলেন এই বিক্রেতা।
আদালতের আসা লোকজনের অনেকেই এই ফল বিক্রেতার সৃজনশীলতার প্রশংসাও করছেন। মূলত এই সহজ কিন্তু কার্যকর সৃষ্টিশীল ধারণার জন্য পাকিস্তানি এই ফল বিক্রেতার দৈনিক উপার্জনও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পাকিস্তানে বিক্রেতার গাছে কমলালেবুর নজরকাড়া ডিসপ্লে

আপডেট সময় : ০৭:২২:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

বিদেশের খবর ডেস্ক: পেশায় ফল বিক্রেতা। কিন্তু তার নান্দনিক সৃষ্টিশীলতা নজর কাড়ছে সবার। মূলত এই বিক্রেতা একটি গাছকে কমলালেবু দিয়ে সাজিয়ে নজরকাড়া ডিসপ্লেতে রূপান্তরিত করেছেন। আর এটিই সবার কাছে হয়ে উঠেছে আকর্ষণের বস্তু বা আগ্রহের বিষয়।
ব্যতিক্রমী এই সৃষ্টিশীলতার দেখা পাওয়া যায় পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি শহরে। শহরের জেলা আদালত চত্বরে নিজের ফলের দোকানের কাছে একটি গাছকে এক দোকানী কমলালেবু দিয়ে সাজিয়েছেন। এতে তার আয়ও বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ‘প্রয়োজনীয়তাই উদ্ভাবনের জননী’Ñ এ প্রবাদটির যথার্থতা প্রমাণ করেছেন রাওয়ালপিন্ডি জেলা আদালত চত্বরের একজন ফল বিক্রেতা। মূলত নিজের দোকানে বিক্রয় বাড়ানোর জন্য এই উদ্ভাবনী পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রবাদটির সত্যতা প্রদর্শন করেছেন তিনি।
ওই বিক্রেতা তার দোকানের কাছের একটি গাছকে কমলালেবু দিয়ে সাজিয়ে নজরকাড়া ডিসপ্লেতে রূপান্তরিত করেছেন। অনন্য এ ডিসপ্লেটি আদালতে আসা-যাওয়া করা লোকজনের কাছে বেশ দ্রুতই প্রিয় হয়ে উঠেছে। আর এতে তারা ওই বিক্রেতার কাছ থেকে ফল কিনতেও আকৃষ্ট হচ্ছেন।
এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বলছে, রাওয়ালপিন্ডি জেলা আদালত চত্বরের ওই বিক্রেতা গত কয়েক মাস ধরে গাছের ছায়ায় তার ব্যবসা পরিচালনা করছেন। তিনি জানিয়েছেন, আরও বেশি গ্রাহককে আকৃষ্ট করার উপায় হিসাবে ওই গাছকে কমলালেবু দিয়ে সাজিয়ে নজরকাড়া ডিসপ্লেতে রূপান্তরিত এ ধারণাটি তার মাথায় আসে। গাছে ফল ঝুলিয়ে তিনি যে লোভনীয় ও নান্দনিক দৃশ্য সেখানে তৈরি করেছেন তা কেবল সবার মনোযোগই আকর্ষণ করে না, পথচারীদের পাশাপাশি বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের কৌতূহলও তৈরি করছে তার এই সৃষ্টিশীলতা। তাই অনেকেই ঘটনাস্থলেই তাজা কমলা কিনতে এবং খেতে দাঁড়িয়ে যান। এছাড়া ফল কিনতে ও খেতে আসা ক্রেতাদের কালো লবণ এবং কালো মরিচের মিশ্রণে তৈরি মসলাও বিনামূল্যে সরবরাহ করে থাকেন এই বিক্রেতা।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, তার এই কৌশলটি উল্লেখযোগ্যভাবে সফল প্রমাণিত হয়েছে এবং সন্ধ্যার মধ্যেই তার দোকানে থাকা ফলের স্টকের পুরোটাই বিক্রি করে ফেলেন এই বিক্রেতা।
আদালতের আসা লোকজনের অনেকেই এই ফল বিক্রেতার সৃজনশীলতার প্রশংসাও করছেন। মূলত এই সহজ কিন্তু কার্যকর সৃষ্টিশীল ধারণার জন্য পাকিস্তানি এই ফল বিক্রেতার দৈনিক উপার্জনও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।