জিও নিউজ : পাকিস্তানের পাখতুনখোয়া প্রদেশের লাক্কি মারওয়া শহরে রুটিনমাফিক টহল দেওয়ার সময় পুলিশ দলের ওপর বন্দুক হামলা চালায় দুই সন্ত্রাসী। হামলাকারীরা মোটরসাইকেলে ছিল। ঘটনায় একজন সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর (এএসআই) সহ কমপক্ষে ছয় পুলিশ সদস্য নিহত হয়।
শহরের পুলিশের একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, শহরের একটি মেলার কাছে পুলিশ যখন নিয়মিত টহল চালাচ্ছিল তখন দাদিওয়ালা থানার প্যারামিটারের মধ্যে ঘটনাটি ঘটে। নিহত পুলিশদের মধ্যে রয়েছেন এএসআই ইলম দ্বীন, গোয়েন্দা ফুট কনস্টেবল আহমেদ নেওয়াজ, লোয়ার হেড কনস্টেবল জুবায়ের, ফ্রন্টিয়ার রিজার্ভ পুলিশের সিপাহী উসমান আলী, কনস্টেবল মাহমুদ খান এবং ড্রাইভার দিল জান। জেলা পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছেন, সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছে। জঘন্য হামলার পরপরই জারি করা এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এর নিন্দা করেছেন এবং শহীদ পুলিশ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছেন মাতৃভূমির জন্য জীবন উৎসর্গকারী সাহসী অফিসারদের জাতি স্যালুট জানায়। সন্ত্রাসীদের পাকিস্তানের শত্রু হিসেবে উল্লেখ করে জাতি তাদের বিরুদ্ধে শক্তভাবে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর তিনি কেপি সরকারের কাছে মৃতদের পরিবারকে হস্তান্তর করার আহ্বান জানান। ঘটনার নোটিশ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ কেপির মুখ্য সচিব শাহজাদ বঙ্গ এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) কেপি মোয়াজম জাহ আনসারিকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ ভ্যানে হামলার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে রিপোর্টও চেয়েছেন।
মর্মান্তিক ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী সিন্ধু মুরাদ আলি শাহ এই হামলার নিন্দা করেছেন এবং শহীদদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নিহত পুলিশ সদস্যরা শাহাদাতের উচ্চ মর্যাদা পেয়েছেন। সন্ত্রাসীদের কাপুরুষোচিত কাজের যতটা সম্ভব নিন্দা করা উচিত। ইসলামাবাদের তুর্কি দূতাবাসও সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা করেছে। প্রদেশ জুড়ে শহরগুলোর লোকেরা সম্প্রতি রাস্তায় নেমে এসেছে এবং সন্ত্রাসবাদের অবসানের দাবি জানিয়েছে, তবে কর্তৃপক্ষ বারবার দাবি করেছে যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

























