আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ব্যাপক মৌসুমি ঝড়, বর্ষণ ও বজ্রপাতে পাকিস্তানে একদিনে নিহত হয়েছেন ১৯ জন, আহত হয়েছেন আরও ৯০ জন। নিহতদের মধ্যে ১৩ জন পাঞ্চাব প্রদেশের, বাকি ৬ জন খাইবার পাখতুনখোয়ার। দেশটির পাঞ্জাব প্রদেশের।
শনিবার দিবাগত (২৫ মে) সারাদিন ও রাতে পাকিস্তানের পাঞ্চাব, খাইবার পাখতুনখোয়া এবং সিন্ধ রাতের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে ব্যাপক পাকিস্তানের রাজ্যের দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তর পাকিস্তান ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (পিডিএমএ)-এর পাঞ্জাব শাখা রোববার এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে এ তথ্য। পিডিএমএ’র
লাহোরে তিন মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বৃষ্টির সময় দেয়াল ধসে ও বজ্রপাতে। এসব ঘটনায় আরও ছয় জন আহত হয়েছেন। ঝিলমে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে দেয়াল ধসে ও বজ্রপাতে। এখানে এসব ঘটনায় ও উড়ে আসা সোলার প্যানেলের আঘাতে আরও ৩২ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৬ জন পুরুষ ও ছয়জন নারী।
রাওয়ালপিন্ডিতে বজ্রপাতের মধ্যে দেয়াল ধসের ঘটনায় একজন নিহত ও একটি শিশুসহ ১১ জন আহত হয়েছেন। বাকি অধিকাংশ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে প্রবল বৃষ্টির মধ্যে দেয়াল ধসে ও বজ্রপাতে। মুরিতে বৃষ্টির মধ্যে চলন্ত গাড়ি ছিটকে পড়ে দুইজন আহত হয়েছেন।
শেখুপুরায় ঝড়বৃষ্টির মধ্যে স্থানীয় একটি কারখানার ছাদ ধসে একজন শ্রমিক নিহত ও আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে ধ্বংসস্তূপ থেকে মৃতদেহ ও আহতদের উদ্ধার করে শেখুপুরা জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে পিডিএমএ ঝড়ে পুরো পাঞ্জাবজুড়ে হওয়া ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ তুলে ধরেছে। হতাহতের অনেক অনিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেওয়ায় দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। ঝড়বৃষ্টিতে মাটির তৈরি ও জরাজীর্ণ কিছু বেশ কিছু ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে। লাহোরে গাছ উপড়ে পড়েছে ও বহু সোলার প্যানেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝড়বৃষ্টির সময় দক্ষিণ পাঞ্জাবের বহু এলাকা বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে। পিডিএমএ রোববারও আবহাওয়াজনিত কারণে পাঞ্জাবের কর্তৃপক্ষ ও বাসিন্দাদের উচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকায় আহ্বান জানিয়ে প্রদেশটির বিভিন্ন জেলায় ভারি বৃষ্টি ও ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে। সূত্র: ডন