ঢাকা ০৫:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫

পাকিস্তানের ৫০ মন্ত্রী হঠাৎ ‘নিখোঁজ’!

  • আপডেট সময় : ১১:৩৪:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ মার্চ ২০২২
  • ৯১ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের ৫০ মন্ত্রী হঠাৎ ‘নিখোঁজ’! ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধী দলীয় নেতাদের অনাস্থা প্রস্তাবের সময় ঘনিয়ে আসছে
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে দেশটির সংসদে বিরোধী দলীয় নেতাদের অনাস্থা প্রস্তাবের সময় যখন ঘনিয়ে আসছে, ঠিক তখনই ৫০ জনের বেশি মন্ত্রীকে দেখা যাচ্ছে না।
পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ওই ৫০ মন্ত্রী রাজনৈতিক ফ্রন্ট থেকে ‘নিখোঁজ’ হয়েছেন।
এই রাজনৈতিক কর্মকা- থেকে ‘নিখোঁজ’ হওয়াকে বেশ ভাবিয়ে তুলেছে ক্ষমতাসীনদের।
পাকিস্তানের প্রভাবশালী পত্রিকা এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ‘নিখোঁজ’ মন্ত্রীদের মধ্যে ২৫ জন ফেডারেল মন্ত্রী, প্রাদেশিক উপদেষ্টা, বিশেষ সহকারী এবং চারজন প্রাদেশিক মন্ত্রী, চারজন উপদেষ্টা ও ১৯ জন বিশেষ সহকারী।
প্রাদেশিক মন্ত্রীরা আড়ালে গেলেও দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রতি এখনো দলীয় ফেডারেল মন্ত্রীদের সমর্থন রয়েছে। ক্ষমতার ভিতে কম্পন ধরায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি, তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী, জ্বালানি মন্ত্রী হাম্মাদ আজহার, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পারভেজ খাট্টাক এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রাশিদ সেই মন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন, যারা ইমরান খানকে রক্ষায় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, ইমরান খানের বিরুদ্ধে দেশ শাসনে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ এনে গত ৮ মার্চ পার্লামেন্টের নি¤œকক্ষ জাতীয় পরিষদে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয় বিরোধী দলগুলো। এ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা ও ভোটাভুটির জন্য অধিবেশন ডাকতে স্পিকার আসাদ কায়সারের প্রতি লিখিত আবেদন জানান তারা।
পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, লিখিত আবেদন জমার ১৪ দিনের মধ্যে স্পিকারকে আলোচনার জন্য অধিবেশন ডাকতে হবে। সে অনুযায়ী, ২২ মার্চের মধ্যে অধিবেশন আয়োজন করার কথা ছিল। তবে ওই দিন থেকে জাতীয় পরিষদে ওআইসির দুই দিনব্যাপী পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন শুরু হওয়ায় তা আর হয়নি।
অধিবেশন শুরুর আগে বিরোধী দলীয় নেতা শেহবাজ শরিফ জানান, শুক্রবারের অধিবেশনেই যেন অনাস্থা প্রস্তাব তোলা হয়, সে চেষ্টা চালাবে বিরোধী জোটগুলো। তবে প্রস্তাব উত্থাপন না হলে তারা তাদের নিজেদের মধ্যে আলোচনা করবে।
নি¤œকক্ষে ৩৪২ আসনের মধ্যে বিরোধীদের দখলে আছে ১৬৩টি। বাকি ১৭৯ আসন। এর মধ্যে ইমরানের দলের আছে ১৫৫টি, চার জোট সঙ্গীর ২০টি। অনাস্থা প্রস্তাবে টিকে থাকতে হলে ইমরান খানকে অন্তত ১৭২ সদস্যের সমর্থন পেতে হবে। এর মধ্যে তিন জোটসঙ্গী মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম-পি), পাকিস্তান মুসলিম লিগ-কায়েদ (পিএমএল-কিউ) এবং বালুচিস্তান আওয়ামী পার্টি (বিএপি) বিরোধী শিবিরে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পাকিস্তানের ৫০ মন্ত্রী হঠাৎ ‘নিখোঁজ’!

আপডেট সময় : ১১:৩৪:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ মার্চ ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের ৫০ মন্ত্রী হঠাৎ ‘নিখোঁজ’! ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধী দলীয় নেতাদের অনাস্থা প্রস্তাবের সময় ঘনিয়ে আসছে
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে দেশটির সংসদে বিরোধী দলীয় নেতাদের অনাস্থা প্রস্তাবের সময় যখন ঘনিয়ে আসছে, ঠিক তখনই ৫০ জনের বেশি মন্ত্রীকে দেখা যাচ্ছে না।
পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ওই ৫০ মন্ত্রী রাজনৈতিক ফ্রন্ট থেকে ‘নিখোঁজ’ হয়েছেন।
এই রাজনৈতিক কর্মকা- থেকে ‘নিখোঁজ’ হওয়াকে বেশ ভাবিয়ে তুলেছে ক্ষমতাসীনদের।
পাকিস্তানের প্রভাবশালী পত্রিকা এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ‘নিখোঁজ’ মন্ত্রীদের মধ্যে ২৫ জন ফেডারেল মন্ত্রী, প্রাদেশিক উপদেষ্টা, বিশেষ সহকারী এবং চারজন প্রাদেশিক মন্ত্রী, চারজন উপদেষ্টা ও ১৯ জন বিশেষ সহকারী।
প্রাদেশিক মন্ত্রীরা আড়ালে গেলেও দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রতি এখনো দলীয় ফেডারেল মন্ত্রীদের সমর্থন রয়েছে। ক্ষমতার ভিতে কম্পন ধরায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি, তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী, জ্বালানি মন্ত্রী হাম্মাদ আজহার, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পারভেজ খাট্টাক এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রাশিদ সেই মন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন, যারা ইমরান খানকে রক্ষায় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, ইমরান খানের বিরুদ্ধে দেশ শাসনে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ এনে গত ৮ মার্চ পার্লামেন্টের নি¤œকক্ষ জাতীয় পরিষদে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয় বিরোধী দলগুলো। এ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা ও ভোটাভুটির জন্য অধিবেশন ডাকতে স্পিকার আসাদ কায়সারের প্রতি লিখিত আবেদন জানান তারা।
পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, লিখিত আবেদন জমার ১৪ দিনের মধ্যে স্পিকারকে আলোচনার জন্য অধিবেশন ডাকতে হবে। সে অনুযায়ী, ২২ মার্চের মধ্যে অধিবেশন আয়োজন করার কথা ছিল। তবে ওই দিন থেকে জাতীয় পরিষদে ওআইসির দুই দিনব্যাপী পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন শুরু হওয়ায় তা আর হয়নি।
অধিবেশন শুরুর আগে বিরোধী দলীয় নেতা শেহবাজ শরিফ জানান, শুক্রবারের অধিবেশনেই যেন অনাস্থা প্রস্তাব তোলা হয়, সে চেষ্টা চালাবে বিরোধী জোটগুলো। তবে প্রস্তাব উত্থাপন না হলে তারা তাদের নিজেদের মধ্যে আলোচনা করবে।
নি¤œকক্ষে ৩৪২ আসনের মধ্যে বিরোধীদের দখলে আছে ১৬৩টি। বাকি ১৭৯ আসন। এর মধ্যে ইমরানের দলের আছে ১৫৫টি, চার জোট সঙ্গীর ২০টি। অনাস্থা প্রস্তাবে টিকে থাকতে হলে ইমরান খানকে অন্তত ১৭২ সদস্যের সমর্থন পেতে হবে। এর মধ্যে তিন জোটসঙ্গী মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম-পি), পাকিস্তান মুসলিম লিগ-কায়েদ (পিএমএল-কিউ) এবং বালুচিস্তান আওয়ামী পার্টি (বিএপি) বিরোধী শিবিরে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে।