ঢাকা ০২:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

  • আপডেট সময় : ০৯:০২:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
  • ২১ বার পড়া হয়েছে

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনা অনুসন্ধানে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি যমুনায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই আহ্বান জানান। ১৫ বছরের মধ্যে প্রথম পাকিস্তানি পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে বাংলাদেশ সফর করছেন আমনা বেলুচ। এসময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কিছু প্রতিবন্ধকতা আছে। এসব কাটিয়ে ওঠার উপায় আমাদের খুঁজে বের করতে হবে এবং সামনে এগিয়ে যেতে হবে। এসময় অতীতের বিষয়গুলো স্বীকার করে আমনা বালুচ বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে অবশ্যই দুই দেশের মধ্যে সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর উপায় খুঁজে বের করতে হবে।

বালুচ আরও বলেন, আমাদের নিজেদের আয়ত্তে বিশাল আন্ত-বাজার সম্ভাবনা রয়েছে এবং আমাদের এটি ব্যবহার করা উচিত। আমরা প্রতিবার ‘বাস মিস’ করতে পারি না। দুই দেশের বেসরকারি খাতের মধ্যে নিয়মিত পারস্পারিক যোগাযোগ এবং সব পর্যায়ে দুদেশের মধ্যে সফর আয়োজনের প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন পাকিস্তানি এই আমলা। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তানের ব্যবসায়ীদের সংগঠন এফপিসিসিআইয়ের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করে এবং বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই করে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আশা প্রকাশ করেন, এপ্রিলের শেষ দিকে দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দারের আসন্ন সফর দুই দেশের সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে। এসময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সার্কের কাঠামোয় পাকিস্তানসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তিনি সবসময়ই পছন্দ করেন। তিনি বলেন, জনগণের মধ্যে বন্ধন বাড়াতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের উচিত দুই দেশের মধ্যে আরও বেশি যুব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বিনিময় করা। আমাদের সম্পর্ক হিমশীতল হয়ে যাওয়ায় আমরা দীর্ঘদিন একে অপরকে মিস করছিলাম। আমাদের প্রতিবন্ধকতাগুলো অতিক্রম করতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টা ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনের ফাঁকে এবং ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে কায়রোতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের সঙ্গে তার বৈঠকের কথা স্মরণ করে বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অগ্রগতির ক্ষেত্রে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সার্ক, ওআইসি ও ডি-৮ এর মতো বহুপাক্ষিক ও আঞ্চলিক ফোরামে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাবে। এ সময় এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ ও বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২৭ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এদিকে আগামী ২৭ এপ্রিল দুদিনের সফরে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রসচিব এম জসীম উদ্দিন। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক বৃহস্পতিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আয়োজিত এই বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রসচিব এম জসীম উদ্দিন। আর পাকিস্তানের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠকের বিষয়ে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এম জসীম উদ্দিন বলেন, বৈঠকে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের ঢাকা সফরসূচিও চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী ২৭-২৮ এপ্রিল ইসহাক দার ঢাকা সফর করবেন। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ গতকাল বৃহষ্পতিবার বিকেলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। দুদেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ে যোগ দিতে গত বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকায় আসেন আমনা বালুচ।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের নভেম্বরে ইসলামাবাদে সর্বশেষ পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল। এরপর ১৫ বছর এই বৈঠক আর হয়নি। দীর্ঘ ১৫ বছর পর পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ে বৈঠক হলো। পররাষ্ট্র সচিব এম জসীম উদ্দিন জানিয়েছেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর গণহত্যার জন্য দেশটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশের পাওনা উত্থাপন করা হয়েছে। তারা (পাকিস্তান) এ বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সচিব এ তথ্য জানান। এদিন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আয়োজিত এই বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব এম জসীম উদ্দিন। আর পাকিস্তানের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ। বৈঠকের বিষয়ে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এম জসীম উদ্দিন বলেন, বৈঠকে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের অমীমাংসিত বিষয় উত্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, আটকেপড়া পাকিস্তানিদের প্রত্যাবাসন, অবিভাজিত সম্পদে বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা প্রদান, ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে বিদেশ থেকে আসা সহায়তা ফেরত এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর গণহত্যার জন্য দেশটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান। আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে বলায় পাকিস্তান কী প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব জানান, এ বিষয়ে তারা (পাকিস্তান) আলোচনা অব্যাহত রাখবে। দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে যোগ দিতে বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকায় আসেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ। তিনি বৃহস্পতিবার বিকেলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
ঢাকায় এসে আমি খুশি: আমনা বালুচ
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ বলেছেন, ঢাকায় এসে আমি খুশি। আলোচনা খুব চমৎকার হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের আমনা বালুচ বলেন, ঢাকায় এসে আমি খুশি। আলোচনা খুব চমৎকার হয়েছে। বাংলাদেশের খাবার, এখানে শপিং কেমন হয়েছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, খুব ভালো হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আয়োজিত দুদেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেন আমনা বালুচ। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রসচিব এম জসীম উদ্দিন। আর পাকিস্তানের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ। দুদেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ে যোগ দিতে গত বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকায় আসেন আমনা বালুচ। উল্লেখ্য, ২০১০ সালের নভেম্বরে ইসলামাবাদে সর্বশেষ পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল। এরপর ১৫ বছর এই বৈঠক আর হয়নি। দীর্ঘ ১৫ বছর পর পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ে বৈঠক আবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

আপডেট সময় : ০৯:০২:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনা অনুসন্ধানে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি যমুনায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই আহ্বান জানান। ১৫ বছরের মধ্যে প্রথম পাকিস্তানি পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে বাংলাদেশ সফর করছেন আমনা বেলুচ। এসময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কিছু প্রতিবন্ধকতা আছে। এসব কাটিয়ে ওঠার উপায় আমাদের খুঁজে বের করতে হবে এবং সামনে এগিয়ে যেতে হবে। এসময় অতীতের বিষয়গুলো স্বীকার করে আমনা বালুচ বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে অবশ্যই দুই দেশের মধ্যে সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর উপায় খুঁজে বের করতে হবে।

বালুচ আরও বলেন, আমাদের নিজেদের আয়ত্তে বিশাল আন্ত-বাজার সম্ভাবনা রয়েছে এবং আমাদের এটি ব্যবহার করা উচিত। আমরা প্রতিবার ‘বাস মিস’ করতে পারি না। দুই দেশের বেসরকারি খাতের মধ্যে নিয়মিত পারস্পারিক যোগাযোগ এবং সব পর্যায়ে দুদেশের মধ্যে সফর আয়োজনের প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন পাকিস্তানি এই আমলা। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তানের ব্যবসায়ীদের সংগঠন এফপিসিসিআইয়ের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করে এবং বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই করে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আশা প্রকাশ করেন, এপ্রিলের শেষ দিকে দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দারের আসন্ন সফর দুই দেশের সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে। এসময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সার্কের কাঠামোয় পাকিস্তানসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তিনি সবসময়ই পছন্দ করেন। তিনি বলেন, জনগণের মধ্যে বন্ধন বাড়াতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের উচিত দুই দেশের মধ্যে আরও বেশি যুব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বিনিময় করা। আমাদের সম্পর্ক হিমশীতল হয়ে যাওয়ায় আমরা দীর্ঘদিন একে অপরকে মিস করছিলাম। আমাদের প্রতিবন্ধকতাগুলো অতিক্রম করতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টা ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনের ফাঁকে এবং ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে কায়রোতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের সঙ্গে তার বৈঠকের কথা স্মরণ করে বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অগ্রগতির ক্ষেত্রে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সার্ক, ওআইসি ও ডি-৮ এর মতো বহুপাক্ষিক ও আঞ্চলিক ফোরামে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাবে। এ সময় এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ ও বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২৭ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এদিকে আগামী ২৭ এপ্রিল দুদিনের সফরে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রসচিব এম জসীম উদ্দিন। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক বৃহস্পতিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আয়োজিত এই বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রসচিব এম জসীম উদ্দিন। আর পাকিস্তানের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠকের বিষয়ে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এম জসীম উদ্দিন বলেন, বৈঠকে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের ঢাকা সফরসূচিও চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী ২৭-২৮ এপ্রিল ইসহাক দার ঢাকা সফর করবেন। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ গতকাল বৃহষ্পতিবার বিকেলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। দুদেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ে যোগ দিতে গত বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকায় আসেন আমনা বালুচ।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের নভেম্বরে ইসলামাবাদে সর্বশেষ পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল। এরপর ১৫ বছর এই বৈঠক আর হয়নি। দীর্ঘ ১৫ বছর পর পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ে বৈঠক হলো। পররাষ্ট্র সচিব এম জসীম উদ্দিন জানিয়েছেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর গণহত্যার জন্য দেশটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশের পাওনা উত্থাপন করা হয়েছে। তারা (পাকিস্তান) এ বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সচিব এ তথ্য জানান। এদিন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আয়োজিত এই বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব এম জসীম উদ্দিন। আর পাকিস্তানের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ। বৈঠকের বিষয়ে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এম জসীম উদ্দিন বলেন, বৈঠকে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের অমীমাংসিত বিষয় উত্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, আটকেপড়া পাকিস্তানিদের প্রত্যাবাসন, অবিভাজিত সম্পদে বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা প্রদান, ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে বিদেশ থেকে আসা সহায়তা ফেরত এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর গণহত্যার জন্য দেশটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান। আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে বলায় পাকিস্তান কী প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব জানান, এ বিষয়ে তারা (পাকিস্তান) আলোচনা অব্যাহত রাখবে। দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে যোগ দিতে বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকায় আসেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ। তিনি বৃহস্পতিবার বিকেলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
ঢাকায় এসে আমি খুশি: আমনা বালুচ
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ বলেছেন, ঢাকায় এসে আমি খুশি। আলোচনা খুব চমৎকার হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের আমনা বালুচ বলেন, ঢাকায় এসে আমি খুশি। আলোচনা খুব চমৎকার হয়েছে। বাংলাদেশের খাবার, এখানে শপিং কেমন হয়েছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, খুব ভালো হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আয়োজিত দুদেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেন আমনা বালুচ। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রসচিব এম জসীম উদ্দিন। আর পাকিস্তানের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ। দুদেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ে যোগ দিতে গত বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকায় আসেন আমনা বালুচ। উল্লেখ্য, ২০১০ সালের নভেম্বরে ইসলামাবাদে সর্বশেষ পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল। এরপর ১৫ বছর এই বৈঠক আর হয়নি। দীর্ঘ ১৫ বছর পর পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ে বৈঠক আবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।