ঢাকা ০৪:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫

পাকিস্তানকে উন্নত প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

  • আপডেট সময় : ০৯:০৪:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫
  • ২৮ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

প্রত্যাশা ডেস্ক: পাকিস্তানের বিমানবাহিনীকে আকাশ থেকে আকাশে হামলায় ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন এক চুক্তির আওতায় ২০৩০ সালের মধ্যে পাকিস্তানকে এই ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে দুই দেশের সামরিক সহযোগিতা পুনরায় জাগিয়ে তোলার ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ওয়াশিংটনের প্রকাশিত সরকারি নথি অনুযায়ী, নতুন এই চুক্তির আওতায় ২০৩০ সালের মধ্যে পাকিস্তানকে মাঝারি পাল্লার এআইএম-১২০ডি-৩ উন্নত প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করবে যুক্তরাষ্ট্র। এএমআরএএম সিরিজের সবচেয়ে উন্নত সংস্করণের ক্ষেপণাস্ত্র পাবে পাকিস্তান।

পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের এই চুক্তি পেয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান রে-থিয়ন কোম্পানি। যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ বিভাগ (পূর্বের প্রতিরক্ষা বিভাগ) বলেছে, চুক্তির আওতায় পাকিস্তান, তুর্কি এবং অন্যান্য মার্কিন মিত্র দেশের জন্যও এএমআরএএম ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন করা হবে।

এআইএম-১২০ডি-৩: পাকিস্তানের এফ-১৬ বহরের বড় শক্তি: এআইএম-১২০ডি-৩ হলো এএমআরএএম ক্ষেপণাস্ত্র পরিবারের সর্বশেষ প্রজন্ম; যা দৃষ্টিসীমার বাইরে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য নকশা করা হয়েছে। এটি শত্রুপক্ষের বিমান ও আসন্ন ক্ষেপণাস্ত্রকে আরো বেশি নির্ভুলভাবে শনাক্ত ও দূরপাল্লায় আঘাত হানতে সক্ষম।

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তানের বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান এফ-১৬ বহরের আঘাত হানার ক্ষমতা এবং আকাশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে। বর্তমানে পাকিস্তানের বিমানবাহিনীর বহরে থাকা এআইএম-১২০সি-৫ সংস্করণের বদলে ব্যবহৃত হবে।

দেশটির বিশ্লেষকরা বলেছেন, পাকিস্তানের বিমানবাহিনীকে দৃষ্টিসীমার বাইরের লড়াইয়ে নির্ভুলভাবে আঘাতে এবং পাল্লার দিক থেকে পরিষ্কার সুবিধা দেবে এআইএম-১২০ডি-৩ ক্ষেপণাস্ত্র। তারা এই ক্ষেপণাস্ত্রকে পাকিস্তানের সামরিক আধুনিকায়নের গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রের অনুরোধ পাকিস্তানের: পাকিস্তানের বিমানবাহিনী দীর্ঘদিন ধরেই নতুন প্রজন্মের এএমআরএএম ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য লবিং চালিয়ে আসছিল। আঞ্চলিক পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আধুনিক করার লক্ষ্যে ওই ক্ষেপণাস্ত্র ক্রয় চুক্তি করেছে ইসলামাবাদ।

গত জুলাইয়ে পাকিস্তানের বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার মার্শাল জহির আহমেদ বাবর সিদ্দিকি ওয়াশিংটন সফরে গিয়ে মার্কিন সামরিক ও রাজনৈতিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর ক্ষেপণাস্ত্র কেনার চুক্তি চূড়ান্ত হয়।

এ ছাড়া দেশটির সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল অসীম মুনিরও সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও শীর্ষ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছে। দ্বিপাক্ষিক এই বৈঠকের মাধ্যমে পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সম্পর্ক পুনরায় কার্যকর সহযোগিতার পর্যায়ে প্রবেশ করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ অধিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী বলেন, পাকিস্তান পূর্ব ও পশ্চিম, উভয় দিক থেকেই উন্নত প্রযুক্তির অস্ত্র কেনার জন্য উন্মুক্ত রয়েছে এবং পাশাপাশি নিজস্ব উৎপাদন সক্ষমতাও জোরদার করছে। সূত্র: সামা টিভি।
সানা/আপ্র/০৮/১০/২০২৫

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

পাকিস্তানকে উন্নত প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট সময় : ০৯:০৪:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: পাকিস্তানের বিমানবাহিনীকে আকাশ থেকে আকাশে হামলায় ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন এক চুক্তির আওতায় ২০৩০ সালের মধ্যে পাকিস্তানকে এই ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে দুই দেশের সামরিক সহযোগিতা পুনরায় জাগিয়ে তোলার ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ওয়াশিংটনের প্রকাশিত সরকারি নথি অনুযায়ী, নতুন এই চুক্তির আওতায় ২০৩০ সালের মধ্যে পাকিস্তানকে মাঝারি পাল্লার এআইএম-১২০ডি-৩ উন্নত প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করবে যুক্তরাষ্ট্র। এএমআরএএম সিরিজের সবচেয়ে উন্নত সংস্করণের ক্ষেপণাস্ত্র পাবে পাকিস্তান।

পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের এই চুক্তি পেয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান রে-থিয়ন কোম্পানি। যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ বিভাগ (পূর্বের প্রতিরক্ষা বিভাগ) বলেছে, চুক্তির আওতায় পাকিস্তান, তুর্কি এবং অন্যান্য মার্কিন মিত্র দেশের জন্যও এএমআরএএম ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন করা হবে।

এআইএম-১২০ডি-৩: পাকিস্তানের এফ-১৬ বহরের বড় শক্তি: এআইএম-১২০ডি-৩ হলো এএমআরএএম ক্ষেপণাস্ত্র পরিবারের সর্বশেষ প্রজন্ম; যা দৃষ্টিসীমার বাইরে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য নকশা করা হয়েছে। এটি শত্রুপক্ষের বিমান ও আসন্ন ক্ষেপণাস্ত্রকে আরো বেশি নির্ভুলভাবে শনাক্ত ও দূরপাল্লায় আঘাত হানতে সক্ষম।

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তানের বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান এফ-১৬ বহরের আঘাত হানার ক্ষমতা এবং আকাশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে। বর্তমানে পাকিস্তানের বিমানবাহিনীর বহরে থাকা এআইএম-১২০সি-৫ সংস্করণের বদলে ব্যবহৃত হবে।

দেশটির বিশ্লেষকরা বলেছেন, পাকিস্তানের বিমানবাহিনীকে দৃষ্টিসীমার বাইরের লড়াইয়ে নির্ভুলভাবে আঘাতে এবং পাল্লার দিক থেকে পরিষ্কার সুবিধা দেবে এআইএম-১২০ডি-৩ ক্ষেপণাস্ত্র। তারা এই ক্ষেপণাস্ত্রকে পাকিস্তানের সামরিক আধুনিকায়নের গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রের অনুরোধ পাকিস্তানের: পাকিস্তানের বিমানবাহিনী দীর্ঘদিন ধরেই নতুন প্রজন্মের এএমআরএএম ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য লবিং চালিয়ে আসছিল। আঞ্চলিক পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আধুনিক করার লক্ষ্যে ওই ক্ষেপণাস্ত্র ক্রয় চুক্তি করেছে ইসলামাবাদ।

গত জুলাইয়ে পাকিস্তানের বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার মার্শাল জহির আহমেদ বাবর সিদ্দিকি ওয়াশিংটন সফরে গিয়ে মার্কিন সামরিক ও রাজনৈতিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর ক্ষেপণাস্ত্র কেনার চুক্তি চূড়ান্ত হয়।

এ ছাড়া দেশটির সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল অসীম মুনিরও সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও শীর্ষ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছে। দ্বিপাক্ষিক এই বৈঠকের মাধ্যমে পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সম্পর্ক পুনরায় কার্যকর সহযোগিতার পর্যায়ে প্রবেশ করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ অধিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী বলেন, পাকিস্তান পূর্ব ও পশ্চিম, উভয় দিক থেকেই উন্নত প্রযুক্তির অস্ত্র কেনার জন্য উন্মুক্ত রয়েছে এবং পাশাপাশি নিজস্ব উৎপাদন সক্ষমতাও জোরদার করছে। সূত্র: সামা টিভি।
সানা/আপ্র/০৮/১০/২০২৫