ঢাকা ০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫

পাকা করার এক মাস পরেই দেবে যাচ্ছে রাস্তা

  • আপডেট সময় : ০১:৩২:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০২৩
  • ১৩৯ বার পড়া হয়েছে

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সংবাদদাতা: চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ টাকার সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নির্মাণের এক মাসের মধ্যেই দেবে গেছে সড়ক। তিন নম্বর ইটসহ নি¤œমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করায় সড়কের এমন অবস্থা হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে শিবগঞ্জ উপজেলার পাকা ইউনিয়নের ‘বাবুপুর চালকিপাড়া তাজিমুল হাজির বাড়ির সামনে থেকে বেড়িবাঁধ অভিমুখী রাস্তা এইচবিবি (হেরিং বোন বন্ড) করণ’ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ছয় লাখ ৪৬ হাজার ৯০০ টাকা। জুনে রাস্তাটির কাজ শেষ হয়।
অভিযোগ রয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী, ১ নম্বর ইট ব্যবহার করার কথা থাকলেও সেখানে ব্যবহার করা হয়েছে ৩ নম্বর ইট। ফলে নির্মাণের মাসখানেক পরেই সামান্য বৃষ্টির পানিতেই রাস্তার দুই পাশ দেবে গেছে। এমনকি হালকা যান চলাচলেও ভেঙে যাচ্ছে ইটগুলো। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হাকিম বলেন, আশপাশের সব রাস্তা পাকা হয়ে গেছে। কিন্তু বাবুপুর চালকিপাড়া তাজিমুল হাজির বাড়ির সামনে থেকে বেড়িবাঁধ পর্যন্ত রাস্তাটি কাঁচা ছিল। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই কাঁদায় পরিপূর্ণ হয়ে যেতো সড়কটি। দুর্ভোগের মধ্যে ছিলেন এখানকার কয়েক হাজার বাসিন্দা। আশার আলো হয়ে রাস্তাটির বরাদ্দ হয়। কিন্তু নি¤œমানের কাজের ফলে একমাসেই রাস্তায় নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। পঞ্চাশোর্ধ্ব আল আমিন বলেন, নি¤œমানের ইট ও নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে রাস্তায়। ফলে নির্মাণের কয়েকদিনের মধ্যেই রাস্তা ভেঙে যাচ্ছে। অনেক জায়গা দেবে গেছে। স্কুলশিক্ষক ফয়সাল আজম বলেন, অনিয়মের মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ ও দুর্নীতি করেছেন পাকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রকল্প সভাপতি। তদন্ত সাপেক্ষে তাদের উপযুক্ত শাস্তির আওতায় আনা হোক। এ বিষয়ে পাকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক বলেন, কোনো অনিয়ম হয়নি। নিয়ম মেনেই সঠিকভাবে কাজ সম্পন্ন হয়েছে। শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) আবুল হায়াত বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পাকা করার এক মাস পরেই দেবে যাচ্ছে রাস্তা

আপডেট সময় : ০১:৩২:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০২৩

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সংবাদদাতা: চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ টাকার সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নির্মাণের এক মাসের মধ্যেই দেবে গেছে সড়ক। তিন নম্বর ইটসহ নি¤œমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করায় সড়কের এমন অবস্থা হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে শিবগঞ্জ উপজেলার পাকা ইউনিয়নের ‘বাবুপুর চালকিপাড়া তাজিমুল হাজির বাড়ির সামনে থেকে বেড়িবাঁধ অভিমুখী রাস্তা এইচবিবি (হেরিং বোন বন্ড) করণ’ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ছয় লাখ ৪৬ হাজার ৯০০ টাকা। জুনে রাস্তাটির কাজ শেষ হয়।
অভিযোগ রয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী, ১ নম্বর ইট ব্যবহার করার কথা থাকলেও সেখানে ব্যবহার করা হয়েছে ৩ নম্বর ইট। ফলে নির্মাণের মাসখানেক পরেই সামান্য বৃষ্টির পানিতেই রাস্তার দুই পাশ দেবে গেছে। এমনকি হালকা যান চলাচলেও ভেঙে যাচ্ছে ইটগুলো। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হাকিম বলেন, আশপাশের সব রাস্তা পাকা হয়ে গেছে। কিন্তু বাবুপুর চালকিপাড়া তাজিমুল হাজির বাড়ির সামনে থেকে বেড়িবাঁধ পর্যন্ত রাস্তাটি কাঁচা ছিল। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই কাঁদায় পরিপূর্ণ হয়ে যেতো সড়কটি। দুর্ভোগের মধ্যে ছিলেন এখানকার কয়েক হাজার বাসিন্দা। আশার আলো হয়ে রাস্তাটির বরাদ্দ হয়। কিন্তু নি¤œমানের কাজের ফলে একমাসেই রাস্তায় নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। পঞ্চাশোর্ধ্ব আল আমিন বলেন, নি¤œমানের ইট ও নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে রাস্তায়। ফলে নির্মাণের কয়েকদিনের মধ্যেই রাস্তা ভেঙে যাচ্ছে। অনেক জায়গা দেবে গেছে। স্কুলশিক্ষক ফয়সাল আজম বলেন, অনিয়মের মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ ও দুর্নীতি করেছেন পাকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রকল্প সভাপতি। তদন্ত সাপেক্ষে তাদের উপযুক্ত শাস্তির আওতায় আনা হোক। এ বিষয়ে পাকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক বলেন, কোনো অনিয়ম হয়নি। নিয়ম মেনেই সঠিকভাবে কাজ সম্পন্ন হয়েছে। শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) আবুল হায়াত বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।