ঢাকা ০৩:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

পাইকারি কেন্দ্রও সয়াবিন তেলশূন্য

  • আপডেট সময় : ০২:৩৬:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ মে ২০২২
  • ৯০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুরান ঢাকার মৌলভিবাজার থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার লিটার সয়াবিন তেল সরবরাহ হয়ে থাকে রাজধানীজুড়ে। কিন্তু এই বাজারেও তেলের সংকট দেখা গেছে। পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতাদের দাবি, বাজারে সয়াবিন তেল সংকটের জন্য দায়ী মিল মালিকেরা। তেলের দাম বাড়ানোই তাদের লক্ষ্য। কিন্তু দাম বাড়ানো হলেও এখনও বাজারে তেল সরবরাহ করেননি তারা। খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ পাইকারি ব্যাবসায়িরা দাম বাড়াতে মজুত করেন। আর পাইকারী ব্যাবসায়িদের অভিযোগ আমদানীকারকরা দাম বাড়াতে সরবরাহ বন্ধ রাখেন। গতকাল রবিবার রাজধানীর মৌলভিবাজার ঘুরে দেখা গেছে, কোন দোকানে সয়াবিন তেল নেই। মাঝেমধ্যে সয়াবিনের খোঁজে ক্রেতা আসলেও তাদের ঘুরে ঘুরেই সময় পার করতে হচ্ছে। কোন দোকানেই মিলছে না তেল। অধিকাংশ দোকানে অন্যান্য ভোজ্যতেল থাকলেও সেগুলো ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষন করছে না। ক্রেতারাও আকৃষ্ট হচ্ছেন না এসব তেলের প্রতি। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পুরাতন দামের রাইস ব্রান তেল বাজারে পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। যা নতুন দামের সয়াবিন তেলের থেকেও কম দাম। তবুও ক্রেতাদের এই দিকে কোন ভ্রুক্ষেপ নাই। গত বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বৈঠকের পর সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। নতুন দাম অনুসারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৩৮ টাকা বাড়িয়ে ১৯৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া খোলা সয়াবিন তেল লিটার প্রতি ১৮০ টাকায় বিক্রি হবে বলে জানানো হয়। এই নতুন দাম নির্ধারন হওয়ার বেশ কিছুদিন আগে থেকেই বাজারে ভোক্তা পর্যায়ে বড় ধরনের সংকট তৈরী হয়। তখন থেকেই ভোক্তাদের অভিযোগ ছিল দাম বাড়াতে তেল সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ব্যাবসায়িরা। ভোক্তাদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে মৌলভিবাজারের পাইকারী বিক্রেতা ইমরোজ এন্টারপ্রাইজের মো. হারুন মিয়া বলেন, এতদিন ব্যাংক বন্ধ থাকায় নতুন গ্রেডের তেলে কেউ পে-অর্ডার দিতে পারে নাই। আজ থেকে অলরেডি পে অর্ডার করবে। তারপর কাল অথবা পরশু থেকে নতুন তেল বাজারে আসতে শুরু করবে। তারপর তেলের বাজার স্বাভাবিক হবে। তবে এলাকা ভিত্তিক আরও কয়েকদিন তেলের সংকট কাটতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। সানফ্লাওয়ার তেলের ইম্পোর্টার হাজী মতিন এ্যান্ড সন্সের এক কর্মচারীরা বলেন, নতুন রেটের সয়াবিন তেল এখনও বাজারে আসে নাই। পুরান যে মাল ছিল সেগুলো অনেক আগেই শেষ। এখন কবে নাগাদ তেল দিবে এটা আমরাও বলতে পারি না। ফ্যক্টারি থেকে তেল দিলেই আমরা বাজারে ছাড়তে পারবো। তারপর সংকট কেটে যাবে। আশা করি খুব শিঘ্রই নতুন তেল বাজারে ঢুকবে। সয়াবিন তেলের সংকটের মধ্যে বাজারে বিকল্প তেলের চাহিদা বেড়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাঙ্গালিরা সয়াবিন বাদে কোন কিছুই চেনে না। অথচ দেখেন পুরাতন রেটের রাইচ ব্রানের তেল বাজারে অনেক। নতুন দামের সয়াবিনের যে দাম তার থেকে রাইচ ব্রানের পুরাতন তেলের দাম কম তবুও মানুষ এই তেল কিনছে না। সবাই সয়াবিনের খোঁজ করছেন। বাজারে বর্তমানে রাইচ ব্রানের পুরাতন রেটের ৫ লিটারের তেলের বোতলের দাম ৯১০ টাকা আর নতুন দামের সয়াবিনের ৫ লিটারের তেলের বোতলের দাম ৯৮৫ টাকা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনবহুল এলাকায় যুদ্ধবিমানের প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন

পাইকারি কেন্দ্রও সয়াবিন তেলশূন্য

আপডেট সময় : ০২:৩৬:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ মে ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুরান ঢাকার মৌলভিবাজার থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার লিটার সয়াবিন তেল সরবরাহ হয়ে থাকে রাজধানীজুড়ে। কিন্তু এই বাজারেও তেলের সংকট দেখা গেছে। পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতাদের দাবি, বাজারে সয়াবিন তেল সংকটের জন্য দায়ী মিল মালিকেরা। তেলের দাম বাড়ানোই তাদের লক্ষ্য। কিন্তু দাম বাড়ানো হলেও এখনও বাজারে তেল সরবরাহ করেননি তারা। খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ পাইকারি ব্যাবসায়িরা দাম বাড়াতে মজুত করেন। আর পাইকারী ব্যাবসায়িদের অভিযোগ আমদানীকারকরা দাম বাড়াতে সরবরাহ বন্ধ রাখেন। গতকাল রবিবার রাজধানীর মৌলভিবাজার ঘুরে দেখা গেছে, কোন দোকানে সয়াবিন তেল নেই। মাঝেমধ্যে সয়াবিনের খোঁজে ক্রেতা আসলেও তাদের ঘুরে ঘুরেই সময় পার করতে হচ্ছে। কোন দোকানেই মিলছে না তেল। অধিকাংশ দোকানে অন্যান্য ভোজ্যতেল থাকলেও সেগুলো ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষন করছে না। ক্রেতারাও আকৃষ্ট হচ্ছেন না এসব তেলের প্রতি। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পুরাতন দামের রাইস ব্রান তেল বাজারে পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। যা নতুন দামের সয়াবিন তেলের থেকেও কম দাম। তবুও ক্রেতাদের এই দিকে কোন ভ্রুক্ষেপ নাই। গত বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বৈঠকের পর সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। নতুন দাম অনুসারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৩৮ টাকা বাড়িয়ে ১৯৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া খোলা সয়াবিন তেল লিটার প্রতি ১৮০ টাকায় বিক্রি হবে বলে জানানো হয়। এই নতুন দাম নির্ধারন হওয়ার বেশ কিছুদিন আগে থেকেই বাজারে ভোক্তা পর্যায়ে বড় ধরনের সংকট তৈরী হয়। তখন থেকেই ভোক্তাদের অভিযোগ ছিল দাম বাড়াতে তেল সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ব্যাবসায়িরা। ভোক্তাদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে মৌলভিবাজারের পাইকারী বিক্রেতা ইমরোজ এন্টারপ্রাইজের মো. হারুন মিয়া বলেন, এতদিন ব্যাংক বন্ধ থাকায় নতুন গ্রেডের তেলে কেউ পে-অর্ডার দিতে পারে নাই। আজ থেকে অলরেডি পে অর্ডার করবে। তারপর কাল অথবা পরশু থেকে নতুন তেল বাজারে আসতে শুরু করবে। তারপর তেলের বাজার স্বাভাবিক হবে। তবে এলাকা ভিত্তিক আরও কয়েকদিন তেলের সংকট কাটতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। সানফ্লাওয়ার তেলের ইম্পোর্টার হাজী মতিন এ্যান্ড সন্সের এক কর্মচারীরা বলেন, নতুন রেটের সয়াবিন তেল এখনও বাজারে আসে নাই। পুরান যে মাল ছিল সেগুলো অনেক আগেই শেষ। এখন কবে নাগাদ তেল দিবে এটা আমরাও বলতে পারি না। ফ্যক্টারি থেকে তেল দিলেই আমরা বাজারে ছাড়তে পারবো। তারপর সংকট কেটে যাবে। আশা করি খুব শিঘ্রই নতুন তেল বাজারে ঢুকবে। সয়াবিন তেলের সংকটের মধ্যে বাজারে বিকল্প তেলের চাহিদা বেড়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাঙ্গালিরা সয়াবিন বাদে কোন কিছুই চেনে না। অথচ দেখেন পুরাতন রেটের রাইচ ব্রানের তেল বাজারে অনেক। নতুন দামের সয়াবিনের যে দাম তার থেকে রাইচ ব্রানের পুরাতন তেলের দাম কম তবুও মানুষ এই তেল কিনছে না। সবাই সয়াবিনের খোঁজ করছেন। বাজারে বর্তমানে রাইচ ব্রানের পুরাতন রেটের ৫ লিটারের তেলের বোতলের দাম ৯১০ টাকা আর নতুন দামের সয়াবিনের ৫ লিটারের তেলের বোতলের দাম ৯৮৫ টাকা।