পাইকগাছা প্রতিনিধি স্নেহেন্দু বিকাশ: খুলনার পাইকগাছায় মসজিদে আরবি পড়তে গিয়ে ৮ বয়সী শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ক্ষুব্ধ জনতা ইমামকে গণধোলই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন।
এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার পর ভিকটিম বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুরে পাইকগাছার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।
অভিযুক্ত ইমাম শেখ আবুল কাশেমকে (৫৫) আহত অবস্থায় খুলনা জেলা কারাগার হাসপাতালে ভর্তির খবর পাওয়া গেছে। তিনি উপজেলার কাশিমনগরের মৃত তফেল উদ্দীন শেখের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়দের ভাষ্য, ইসলামী ফাউন্ডেশনের মসজিদভিত্তিক গণশিক্ষা কার্যক্রমে কাশিমনগর সরদারপাড়া জামে মসজিদের মক্তবে নিয়োগপ্রাপ্ত ইমাম শেখ আবুল কাশেম শিশুদের আরবি পড়ান। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকাল ৭ টায় অন্য শিশুদের সাথে ভিকটিমও আরবি শিখতে যায়। অভিযোগ, মসজিদে হুজুর (শিক্ষক) স্লেটে আরবি বানান শিখাতে গিয়ে ঐ শিক্ষার্থীর বুকে ও যৌনাঙ্গে আঙ্গুল দিলে সে চিৎকার করায় অধ্যয়নরত অন্য শিশুরা ছুটে আসে। পরে শিশুটি বাড়ি এসে কান্নায় ভেঙে পড়ে এবং মাকে জানানোর পর ঘটনা স্থানীয়দের মধ্যে জানাজানি হয়। এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কপিলমুনি বাজারে আবুল কাশেমের নিজ দোকানঘর থেকে বের করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
এ ঘটনায় ভিকটিমের পিতা আতাউর রহমান বাদী হয়ে হয়ে মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে পাইকগাছা থানায় নারী-শিশু নির্যাতন দমন আইনে (২০০০ সংশোধিত ২০২০) এর ৯(৪), (খ) ধারায় মামলা করেছেন। যার নম্বর-১৮।
থানায় মামলার তথ্য দিয়ে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সবজেল হোসেন জানান, ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে বুধবার (১৯ মার্চ) আদালতে ভিকটিমের ২২ ধারায় জবানবন্দি সম্পন্ন হয়েছে। তিনি জানান, এ মামলার একমাত্র আসামি জেল-হাজতে রয়েছেন।