ঢাকা ০৭:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

পাঁচ জেলার বাসিন্দারা পাবেন যে মহাসড়কের সুবিধা

  • আপডেট সময় : ১২:৩৪:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুলাই ২০২৪
  • ৫৭ বার পড়া হয়েছে

নওগাঁ প্রতিনিধি: দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে নওগাঁর রাণীনগর-সান্তাহার আঞ্চলিক মহাসড়কের ৮ কিলোমিটারের নির্মাণকাজ। দুর্ভোগ কমাতে কাজের গুণগত মান বজায় রেখে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ করে সড়ক বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে শতকরা ৪০ ভাগ কাজ। পুরো এই আঞ্চলিক মহাসড়কের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর উন্নয়নের মহাসড়কে যুক্ত হবে উত্তরবঙ্গের ৫টি জেলা। নওগাঁ সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের নওগাঁ, জয়পুরহাট, দিনাজপুর, পঞ্চগড়সহ অন্যান্য জেলায় চলাচলে দূরত্বের পাশাপাশি এক ঘণ্টা সময় কমিয়ে এনেছে নওগাঁ-নাটোর আঞ্চলিক মহাসড়ক। মোট ৩১ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে নওগাঁ সড়ক বিভাগের আওতায় থাকা ২৯ দশমিক ১৯ কিলোমিটার সড়কের নির্মাণকাজ শেষে কয়েক বছর আগেই চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু মহাসড়কের সান্তাহার মোড় থেকে রাণীনগর রেলস্টেশন পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার সড়ক ছিল খুবই সরু ও বড় বড় যানবাহন চলাচলের জন্য অনেকটাই অনুপযোগী। সেই ৮ কিলোমিটার সড়ক নতুন করে প্রশস্তকরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করে নওগাঁ সড়ক বিভাগ। তারই ধারাবাহিকতায় নওগাঁ সড়ক বিভাগের অধীন ৩টি আঞ্চলিক ও ৩টি জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সান্তাহার থেকে রাণীনগর রেলস্টেশন পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার সড়ক ১৮ ফিট থেকে ৩৪ ফিট প্রশস্তকরণে ৬৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়ে প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়।
রাণীনগরের বাসিন্দা ছাত্তার বলেন, ‘রাণীনগর থেকে সান্তাহার যাওয়ার আগের সড়কটি ছিল এবড়োখেবড়ো। সেই সড়কে গাড়ি চালিয়ে নিজের শরীরের যেমন ক্ষতি হয়েছে তেমনি গাড়ির যন্ত্রাংশও নষ্ট হতো। কিন্তু বর্তমানে যে সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে তাতে মনে হয় আগামী একশ বছর আর এই আট কিলোমিটার সড়কে মেরামত করা ছাড়া বড় ধরনের কোনও কাজ করতে হবে না। আমরা আর দুর্ভোগের সড়কে যাতায়াত করতে চাই না। আমরা দ্রুত এই সড়ক নির্মাণকাজের সমাপ্তি চাই।’ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মুখপাত্র মো. হাসান বলেন, ‘আমরা প্রতিটি কাজ নির্ধারিত ডিজাইন অনুসারে সড়ক বিভাগের কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ নির্দেশনা মোতাবেক সম্পন্ন করার চেষ্টা করছি। যদি আর কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ হানা না দেয় এবং নতুন করে কোনও সমস্যার সৃষ্টি না হয় তাহলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নির্মাণকাজ শেষ করে সড়ক বিভাগের নিকট হস্তান্তর করতে সক্ষম হবো। তাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্মাণকাজ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্য স্থানীয় জনসাধারণসহ সকলের কাছ থেকে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।’

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পাঁচ জেলার বাসিন্দারা পাবেন যে মহাসড়কের সুবিধা

আপডেট সময় : ১২:৩৪:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুলাই ২০২৪

নওগাঁ প্রতিনিধি: দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে নওগাঁর রাণীনগর-সান্তাহার আঞ্চলিক মহাসড়কের ৮ কিলোমিটারের নির্মাণকাজ। দুর্ভোগ কমাতে কাজের গুণগত মান বজায় রেখে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ করে সড়ক বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে শতকরা ৪০ ভাগ কাজ। পুরো এই আঞ্চলিক মহাসড়কের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর উন্নয়নের মহাসড়কে যুক্ত হবে উত্তরবঙ্গের ৫টি জেলা। নওগাঁ সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের নওগাঁ, জয়পুরহাট, দিনাজপুর, পঞ্চগড়সহ অন্যান্য জেলায় চলাচলে দূরত্বের পাশাপাশি এক ঘণ্টা সময় কমিয়ে এনেছে নওগাঁ-নাটোর আঞ্চলিক মহাসড়ক। মোট ৩১ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে নওগাঁ সড়ক বিভাগের আওতায় থাকা ২৯ দশমিক ১৯ কিলোমিটার সড়কের নির্মাণকাজ শেষে কয়েক বছর আগেই চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু মহাসড়কের সান্তাহার মোড় থেকে রাণীনগর রেলস্টেশন পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার সড়ক ছিল খুবই সরু ও বড় বড় যানবাহন চলাচলের জন্য অনেকটাই অনুপযোগী। সেই ৮ কিলোমিটার সড়ক নতুন করে প্রশস্তকরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করে নওগাঁ সড়ক বিভাগ। তারই ধারাবাহিকতায় নওগাঁ সড়ক বিভাগের অধীন ৩টি আঞ্চলিক ও ৩টি জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সান্তাহার থেকে রাণীনগর রেলস্টেশন পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার সড়ক ১৮ ফিট থেকে ৩৪ ফিট প্রশস্তকরণে ৬৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়ে প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়।
রাণীনগরের বাসিন্দা ছাত্তার বলেন, ‘রাণীনগর থেকে সান্তাহার যাওয়ার আগের সড়কটি ছিল এবড়োখেবড়ো। সেই সড়কে গাড়ি চালিয়ে নিজের শরীরের যেমন ক্ষতি হয়েছে তেমনি গাড়ির যন্ত্রাংশও নষ্ট হতো। কিন্তু বর্তমানে যে সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে তাতে মনে হয় আগামী একশ বছর আর এই আট কিলোমিটার সড়কে মেরামত করা ছাড়া বড় ধরনের কোনও কাজ করতে হবে না। আমরা আর দুর্ভোগের সড়কে যাতায়াত করতে চাই না। আমরা দ্রুত এই সড়ক নির্মাণকাজের সমাপ্তি চাই।’ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মুখপাত্র মো. হাসান বলেন, ‘আমরা প্রতিটি কাজ নির্ধারিত ডিজাইন অনুসারে সড়ক বিভাগের কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ নির্দেশনা মোতাবেক সম্পন্ন করার চেষ্টা করছি। যদি আর কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ হানা না দেয় এবং নতুন করে কোনও সমস্যার সৃষ্টি না হয় তাহলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নির্মাণকাজ শেষ করে সড়ক বিভাগের নিকট হস্তান্তর করতে সক্ষম হবো। তাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্মাণকাজ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্য স্থানীয় জনসাধারণসহ সকলের কাছ থেকে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।’