ঢাকা ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

পহেলা বৈশাখে বসে ৫০০ বছরের পুরোনো ‘বউমেলা’

  • আপডেট সময় : ০৭:৪৭:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • ৩ বার পড়া হয়েছে

নারী ও শিশু ডেস্ক: পহেলা বৈশাখে বসে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ৫০০ বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী বউমেলা। জয়রামপুর এলাকায় ভট্টপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের বটতলায় সারিবদ্ধভাবে বিভিন্ন ফল-ফলাদির ঝুড়ি নিয়ে পূজা-অর্চনার জন্য দাঁড়িয়ে আছেন নববধূ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের মানুষ। তাদের সঙ্গে সেজে দাঁড়িয়ে ছিলেন সনাতনী কুমারী নারীরা।
বউমেলায় অংশগ্রহণকারীদের অধিকাংশ নারী হলেও পুরুষরাও এতে অংশগ্রহণ করেন। তবে সংখ্যায় কম। পূজা-অর্চনা ছাড়াও বউমেলায় বাঙালি সংস্কৃতির প্রাচীন ঐতিহ্য খুঁজে পাওয়া যায়।

এ মেলায় মৃৎশিল্পীদের তৈরি নানা রঙের টেপা পুতুল, হাতি, ঘোড়া, ময়না, টিয়া, বাঘ-ভাল্লুক, হাঁড়ি-পাতিল থেকে শুরু করে মণ্ডা-মিঠাইয়ের দোকান বসে। এছাড়া বাহারি মিষ্টান্ন সামগ্রীও পাওয়া যায়।
স্থানীয় হিন্দু ধর্মালম্বীরা জানান, তাদের কাছে এ বটবৃক্ষটি হয়ে উঠেছে পূণ্যের দেবতা। তাই হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে বটবৃক্ষটি সিদ্ধেশ্বরী দেবতা নামে পরিচিত; বিশেষ করে সনাতন ধর্মাবলম্বী নারীরা সারা বছর অপেক্ষায় থাকেন সিদ্ধেশ্বরী বটতলার এ মেলার জন্য। তাদের দেবতার সন্তুষ্টির জন্য কবুতর উড়ানো ও পাঁঠা বলি দেওয়া হয়।

বউমেলা আয়োজক কমিটির কর্মকর্তা নিলোৎপল রায় জানান, প্রতিবছর বর্ষবরণ উৎসবে সিদ্ধেশ্বরী কলীপূজার আয়োজন করা হয়। এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন সার্বজনীনভাবে এ মেলার আয়োজন করে। এতে এলাকার মানুষের শান্তি ও মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করা হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পহেলা বৈশাখে বসে ৫০০ বছরের পুরোনো ‘বউমেলা’

আপডেট সময় : ০৭:৪৭:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

নারী ও শিশু ডেস্ক: পহেলা বৈশাখে বসে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ৫০০ বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী বউমেলা। জয়রামপুর এলাকায় ভট্টপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের বটতলায় সারিবদ্ধভাবে বিভিন্ন ফল-ফলাদির ঝুড়ি নিয়ে পূজা-অর্চনার জন্য দাঁড়িয়ে আছেন নববধূ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের মানুষ। তাদের সঙ্গে সেজে দাঁড়িয়ে ছিলেন সনাতনী কুমারী নারীরা।
বউমেলায় অংশগ্রহণকারীদের অধিকাংশ নারী হলেও পুরুষরাও এতে অংশগ্রহণ করেন। তবে সংখ্যায় কম। পূজা-অর্চনা ছাড়াও বউমেলায় বাঙালি সংস্কৃতির প্রাচীন ঐতিহ্য খুঁজে পাওয়া যায়।

এ মেলায় মৃৎশিল্পীদের তৈরি নানা রঙের টেপা পুতুল, হাতি, ঘোড়া, ময়না, টিয়া, বাঘ-ভাল্লুক, হাঁড়ি-পাতিল থেকে শুরু করে মণ্ডা-মিঠাইয়ের দোকান বসে। এছাড়া বাহারি মিষ্টান্ন সামগ্রীও পাওয়া যায়।
স্থানীয় হিন্দু ধর্মালম্বীরা জানান, তাদের কাছে এ বটবৃক্ষটি হয়ে উঠেছে পূণ্যের দেবতা। তাই হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে বটবৃক্ষটি সিদ্ধেশ্বরী দেবতা নামে পরিচিত; বিশেষ করে সনাতন ধর্মাবলম্বী নারীরা সারা বছর অপেক্ষায় থাকেন সিদ্ধেশ্বরী বটতলার এ মেলার জন্য। তাদের দেবতার সন্তুষ্টির জন্য কবুতর উড়ানো ও পাঁঠা বলি দেওয়া হয়।

বউমেলা আয়োজক কমিটির কর্মকর্তা নিলোৎপল রায় জানান, প্রতিবছর বর্ষবরণ উৎসবে সিদ্ধেশ্বরী কলীপূজার আয়োজন করা হয়। এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন সার্বজনীনভাবে এ মেলার আয়োজন করে। এতে এলাকার মানুষের শান্তি ও মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করা হয়।