বিদেশের খবর ডেস্ক : ইসরায়েলের সেনাপ্রধান হারজি হালেভি ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে বড় ধরনের হামলার প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়েছেন। গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার এক দিন পর সোমবার এই নির্দেশ দেন তিনি। তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড এ খবর জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে হালেভি বলেছেন, গাজায় প্রতিরক্ষামূলক প্রস্তুতি জোরদারের পাশাপাশি, আগামী দিনে পশ্চিম তীরের (জুদিয়া ও সামারিয়া) বড় ধরনের অভিযান চালানোর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। ইসরায়েলের লক্ষ্য, ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের আগেভাগে আটকানো ও তাদের দমন করা। বিবৃতিতে সম্ভাব্য হামলার নির্দিষ্ট স্থানের উল্লেখ করা হয়নি। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অধিকৃত পশ্চিম তীরের উত্তরে এই ধরনের অভিযান বেশি হয়েছে। সেনাবাহিনীর মতে, হালেভির এই মন্তব্য ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির মূল্যায়নের ভিত্তিতে করা হয়েছে। পাশাপাশি, তিনি গাজা ও লেবাননে চলমান আক্রমণ অব্যাহত রাখার জন্য পরিকল্পনা তৈরিরও নির্দেশ দেন।
রবিবার গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি বিনিময় চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর হালেভির এই নির্দেশ আসে। চুক্তির ফলে গাজায় ইসরায়েলের কথিত ‘গণহত্যামূলক যুদ্ধ’ আপাতত স্থগিত হয়েছে। ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর এই প্রস্তুতি অধিকৃত ফিলিস্তিনে নতুন সংঘাতের ইঙ্গিত দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা আশঙ্কা করছেন, পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের হামলা এই অঞ্চলে আরও অস্থিতিশীলতা বাড়াতে পারে।
নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় তাদের যুদ্ধের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও (আইসিজে) একটি গণহত্যা মামলা চলছে।