ঢাকা ০৯:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

পশ্চিমা নেতাদের মানসিক চিকিৎসা প্রয়োজন: জাতিসংঘের রুশ উপদূত

  • আপডেট সময় : ০৯:৩৮:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৮৭ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাতিসংঘে নিয়োজিত রুশ উপদূত দিমিত্রি পোলিয়ানস্কি বলেছেন, তিনি মনে করেন, পশ্চিমা নেতাদের মানসিক চিকিৎসা প্রয়োজন। ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা চালাতে পারে বলে পশ্চিমা বিশ্বের নেতারা যে আশঙ্কা জানাচ্ছেন, তাকে অহেতুক উল্লেখ করে এমন পরামর্শ দেন তিনি। খবর এএফপির।
পশ্চিমা বিশ্ব অভিযোগ করে আসছে, ইউক্রেন সীমান্তে লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। যেকোনো সময় ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে দেশটি। তবে রাশিয়া শুরু থেকে বলে আসছে, ইউক্রেনে হামলার ইচ্ছা তাদের নেই। মহড়ার অংশ হিসেবে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রতিবেশী ইউক্রেনে সম্ভাব্য রুশ হামলার আশঙ্কা নাকচ করে গতকাল মঙ্গলবার পোলিয়ানস্কি বলেন, ‘আমাদের সেনারা আমাদের ভূখ-ের মধ্যেই আছে। তারা কারও জন্য হুমকি তৈরি করছে না।’
পশ্চিমা বিশ্বের যে নেতারা বারবার ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, তাঁদের উদ্দেশে পোলিয়ানস্কি বলেন, ‘আমি মনে করি, তাঁদের ভালো একজন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন। পরামর্শ দেব, যে চিকিৎসকেরা প্যারানয়া নামের মানসিক রোগের চিকিৎসা করেন, তাঁরা যেন সে চিকিৎসকদের কাছে যান।’
অস্ট্রেলিয়া সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তরের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্যারানয়া হলো একধরনের মানসিক রোগ। এ ধরনের রোগীরা সারাক্ষণ আতঙ্কে থাকেন। তাঁরা মনে করেন, তাঁরা হুমকিতে রয়েছেন। কেউ তাঁদের ওপর নজর রাখছেন, ক্ষতি করার চেষ্টা করছেন, যদিও বাস্তবিক অর্থে এ ধরনের হুমকি নেই।
ইউক্রেন সীমান্তে ঠিক কতজন রুশ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে, তা সুনির্দিষ্ট করে বলেননি পোলিয়ানস্কি। তিনি বলেন, ‘সংখ্যার ব্যাপারে আমার জানা নেই। কারণ, এ নিয়ে অনেক ধরনের গুঞ্জন রয়েছে।’
মঙ্গলবার রাশিয়া বলেছে, মহড়া শেষ হওয়ার পর ইউক্রেন সীমান্ত থেকে কিছুসংখ্যক সেনা তাঁদের ঘাঁটিতে ফিরে যাচ্ছেন। একে চলমান উত্তেজনা নিরসনের ইঙ্গিত বলে উল্লেখ করেছিল আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। তবে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, রাশিয়াকে ‘উত্তেজনা প্রশমনের’ প্রমাণ দেখাতে হবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে ‘অবদান’ অস্বীকারেই নাখোশ ট্রাম্প

পশ্চিমা নেতাদের মানসিক চিকিৎসা প্রয়োজন: জাতিসংঘের রুশ উপদূত

আপডেট সময় : ০৯:৩৮:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাতিসংঘে নিয়োজিত রুশ উপদূত দিমিত্রি পোলিয়ানস্কি বলেছেন, তিনি মনে করেন, পশ্চিমা নেতাদের মানসিক চিকিৎসা প্রয়োজন। ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা চালাতে পারে বলে পশ্চিমা বিশ্বের নেতারা যে আশঙ্কা জানাচ্ছেন, তাকে অহেতুক উল্লেখ করে এমন পরামর্শ দেন তিনি। খবর এএফপির।
পশ্চিমা বিশ্ব অভিযোগ করে আসছে, ইউক্রেন সীমান্তে লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। যেকোনো সময় ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে দেশটি। তবে রাশিয়া শুরু থেকে বলে আসছে, ইউক্রেনে হামলার ইচ্ছা তাদের নেই। মহড়ার অংশ হিসেবে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রতিবেশী ইউক্রেনে সম্ভাব্য রুশ হামলার আশঙ্কা নাকচ করে গতকাল মঙ্গলবার পোলিয়ানস্কি বলেন, ‘আমাদের সেনারা আমাদের ভূখ-ের মধ্যেই আছে। তারা কারও জন্য হুমকি তৈরি করছে না।’
পশ্চিমা বিশ্বের যে নেতারা বারবার ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, তাঁদের উদ্দেশে পোলিয়ানস্কি বলেন, ‘আমি মনে করি, তাঁদের ভালো একজন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন। পরামর্শ দেব, যে চিকিৎসকেরা প্যারানয়া নামের মানসিক রোগের চিকিৎসা করেন, তাঁরা যেন সে চিকিৎসকদের কাছে যান।’
অস্ট্রেলিয়া সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তরের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্যারানয়া হলো একধরনের মানসিক রোগ। এ ধরনের রোগীরা সারাক্ষণ আতঙ্কে থাকেন। তাঁরা মনে করেন, তাঁরা হুমকিতে রয়েছেন। কেউ তাঁদের ওপর নজর রাখছেন, ক্ষতি করার চেষ্টা করছেন, যদিও বাস্তবিক অর্থে এ ধরনের হুমকি নেই।
ইউক্রেন সীমান্তে ঠিক কতজন রুশ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে, তা সুনির্দিষ্ট করে বলেননি পোলিয়ানস্কি। তিনি বলেন, ‘সংখ্যার ব্যাপারে আমার জানা নেই। কারণ, এ নিয়ে অনেক ধরনের গুঞ্জন রয়েছে।’
মঙ্গলবার রাশিয়া বলেছে, মহড়া শেষ হওয়ার পর ইউক্রেন সীমান্ত থেকে কিছুসংখ্যক সেনা তাঁদের ঘাঁটিতে ফিরে যাচ্ছেন। একে চলমান উত্তেজনা নিরসনের ইঙ্গিত বলে উল্লেখ করেছিল আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। তবে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, রাশিয়াকে ‘উত্তেজনা প্রশমনের’ প্রমাণ দেখাতে হবে।