এদিকে পশ্চিমা দেশগুলি ইউক্রেনকে দূরপাল্লার অস্ত্র সরবরাহ করে রাশিয়ার সামরিক উদ্দেশ্য বা যুদ্ধক্ষেত্রে যুদ্ধ পরিবর্তন করতে পারবে না। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ গতকাল বুধবার এমনটাই বলেছেন সাংবাদিকদের। খবর রয়টার্সের। কিয়েভ তার সামরিক সমর্থকদেরকে রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের গভীরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার জন্য আরও বেশি পরিসরের আধুনিক যুদ্ধবিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্রের দাবি করা শুরু করেছে। পরিস্থিতি নিয়ে দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি উত্তেজনা কমানোর এবং (যুদ্ধের) মাত্রা বাড়ানোর জন্য সরাসরি একটি পথ। এর জন্য আমাদের থেকে আরও বেশি প্রচেষ্টার প্রয়োজন হবে। কিন্তু আবারও বলছি, এটি ঘটনার গতিপথ পরিবর্তন করবে না।’ পসকভ অসমর্থিত প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে সাংবাদিকদের বলছিলেন, ওয়াশিংটন ইউক্রেনকে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। ইউক্রেনের মিত্ররা রাশিয়ার অভ্যন্তরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে ব্যবহার করা যেতে পারে এই উদ্বেগের কারণে অস্ত্র সরবরাহ করতে এখনও অস্বীকৃতি জানিয়েছে, সংঘাত আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। পসকভ বুধবার সাংবাদিকদের আরও বলেন, ক্রেমলিন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যে আলোচনার জন্য নতুন কোনো পরিকল্পনা বিবেচনা করছে না। বাইডেন মঙ্গলবার বলেছিলেন, তিনি রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে উন্নত অস্ত্রের জন্য ইউক্রেনের সর্বশেষ অনুরোধ নিয়ে আলোচনা করবেন। পশ্চিমা দেশগুলো দীর্ঘ আলোচনার পর গত সপ্তাহে কিয়েভের বাহিনীকে ভারী ট্যাংক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর ইউক্রেনের জেট এবং দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের আহ্বান আসে।