ঢাকা ১১:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫

পশ্চিমবঙ্গ সরকার না থাকলে হয়তো ক্যারিয়ারই শুরু হতো না: অনিল

  • আপডেট সময় : ০১:০৫:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ১১৩ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক: ২৯তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হয়েছে গত মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর)। প্রথমদিন মঞ্চ আলোকিত করেছেন সালমান খান, অনিল কাপুর, মহেশ ভাটসহ অনেকে। ওই মঞ্চে দাঁড়িয়ে কলকাতায় নিজের পুরোনো স্মৃতি স্মরণ করলেন অনিল কাপুর। অভিনেতা বলেন, আমি সবসময় ইমোশনাল, সেন্টিমেন্টাল, সেটাই আমি। কলকাতার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। কলকাতা আমার কাছে শুধু শহর নয়, কলকাতা আমার কাছে সেই স্মৃতি, যা আমার ক্যারিয়ার তৈরি করেছে। ১৯৭৯ সালে কলকাতাতেই আমার জার্নি শুরু। ৪৪ বছর আগে ভিটি স্টেশন থেকে হাওড়া স্টেশন, সেখান থেকে বাসে চেপে বালিগঞ্জের গেস্ট হাউজে। কলকাতার ফিল্ম থেকেই আমার অভিনয় জীবনের শুরু। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ফান্ডেই শুরু হয়েছিল ছবি। পশ্চিমবঙ্গ সরকার না থাকলে আমার ক্যারিয়ার শুরু হতো কি না জানি না। এরপরের ৪৫ দিন আমার বাড়ি ছিল বালিগঞ্জ। সেই সময়ই কলকাতা আমার মনে জায়গা করে নেয়। হৃষিকেষ মুখোপাধ্যায়, বিমল রায়, অশোক কুমার থেকে মৌসুমী চ্যাটার্জি, সুচিত্রা সেনের অবদানের কথাও স্মরণ করেন অনিল কাপুর। বিশেষভাবে উত্তম কুমারকে শ্রদ্ধা জানান অভিনেতা। তিনি বলেন, উত্তম কুমার হলেন সর্বকালের সেরা হিরো এবং নিজেই একজন ইনস্টিটিউশন। অনিল বলেন, আমি একটা ছবি করেছিলাম, ছবির নাম নায়ক। পরে জানতে পারি এই নামে একটি বাংলা ছবি আছে, সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনা ও মুখ্য চরিত্রে উত্তম কুমার। পরে সেই ছবি দেখি, একটি ট্রেন জার্নিতে আমাদের মতো অভিনেতাদের জীবনের উত্থান-পতন উঠে এসেছে। সেই ছবি শুধু বাংলায় নয়, বিশ্বখ্যাত। যদিও ছবিটা তৈরি হয়েছে ১৯৬৬ সালে, তবে ছবির স্পিরিট, চরিত্র ও বার্তা এখনো প্রাসঙ্গিক। আজ এই মঞ্চ থেকে এক নায়ক বাংলার মহানায়ককে গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সর্বকালের সেরা কিংবদন্তি, সর্বকালের সেরা পরিচালক, জিনিয়াস সত্যজিৎ রায়। তার ছবি আসলে গল্প বলার মাস্টারক্লাস। আমি আর আমার ছেলে হর্ষবর্ধন আলোচনা করি। সিনেম্যাটিক ব্রিলিয়ান্সের শিকড় রয়েছে আর সেই শিকড় বাংলার মাটিতেই। কলকাতার মানুষ আমার ক্যারিয়ারের শুরু থেকে আমার সঙ্গে রয়েছে। তাই এ মঞ্চে ফিরে আমি গর্বিত। একটি আক্ষেপের কথাও উঠে আসে অনিলের মুখে। তিনি বলেন, অপর্ণা সেনের আসার কথা ছিল কিন্তু তিনি এলেন না। আমি খুবই মিস করছি। তার একটি ছবি আমার করার কথা ছিল। আমি অডিশনও দিই কিন্তু উনি বলেন, রোলটার জন্য আমার বয়স অনেক কম। আমি তাকে বলতে চাই, এখন আমার অনেকটাই বয়স, এখন আমাকে কাস্ট করতেই পারেন। সালমান প্রসঙ্গে বলেন, নকল টাইগার আসবে, যাবে কিন্তু আসল টাইগার আজীবন থাকবে। টাইগার জিন্দা থাকবে। আমাদের হিন্দি সিনেমার মহানায়ক সালমান খান।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

পশ্চিমবঙ্গ সরকার না থাকলে হয়তো ক্যারিয়ারই শুরু হতো না: অনিল

আপডেট সময় : ০১:০৫:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩

বিনোদন ডেস্ক: ২৯তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হয়েছে গত মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর)। প্রথমদিন মঞ্চ আলোকিত করেছেন সালমান খান, অনিল কাপুর, মহেশ ভাটসহ অনেকে। ওই মঞ্চে দাঁড়িয়ে কলকাতায় নিজের পুরোনো স্মৃতি স্মরণ করলেন অনিল কাপুর। অভিনেতা বলেন, আমি সবসময় ইমোশনাল, সেন্টিমেন্টাল, সেটাই আমি। কলকাতার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। কলকাতা আমার কাছে শুধু শহর নয়, কলকাতা আমার কাছে সেই স্মৃতি, যা আমার ক্যারিয়ার তৈরি করেছে। ১৯৭৯ সালে কলকাতাতেই আমার জার্নি শুরু। ৪৪ বছর আগে ভিটি স্টেশন থেকে হাওড়া স্টেশন, সেখান থেকে বাসে চেপে বালিগঞ্জের গেস্ট হাউজে। কলকাতার ফিল্ম থেকেই আমার অভিনয় জীবনের শুরু। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ফান্ডেই শুরু হয়েছিল ছবি। পশ্চিমবঙ্গ সরকার না থাকলে আমার ক্যারিয়ার শুরু হতো কি না জানি না। এরপরের ৪৫ দিন আমার বাড়ি ছিল বালিগঞ্জ। সেই সময়ই কলকাতা আমার মনে জায়গা করে নেয়। হৃষিকেষ মুখোপাধ্যায়, বিমল রায়, অশোক কুমার থেকে মৌসুমী চ্যাটার্জি, সুচিত্রা সেনের অবদানের কথাও স্মরণ করেন অনিল কাপুর। বিশেষভাবে উত্তম কুমারকে শ্রদ্ধা জানান অভিনেতা। তিনি বলেন, উত্তম কুমার হলেন সর্বকালের সেরা হিরো এবং নিজেই একজন ইনস্টিটিউশন। অনিল বলেন, আমি একটা ছবি করেছিলাম, ছবির নাম নায়ক। পরে জানতে পারি এই নামে একটি বাংলা ছবি আছে, সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনা ও মুখ্য চরিত্রে উত্তম কুমার। পরে সেই ছবি দেখি, একটি ট্রেন জার্নিতে আমাদের মতো অভিনেতাদের জীবনের উত্থান-পতন উঠে এসেছে। সেই ছবি শুধু বাংলায় নয়, বিশ্বখ্যাত। যদিও ছবিটা তৈরি হয়েছে ১৯৬৬ সালে, তবে ছবির স্পিরিট, চরিত্র ও বার্তা এখনো প্রাসঙ্গিক। আজ এই মঞ্চ থেকে এক নায়ক বাংলার মহানায়ককে গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সর্বকালের সেরা কিংবদন্তি, সর্বকালের সেরা পরিচালক, জিনিয়াস সত্যজিৎ রায়। তার ছবি আসলে গল্প বলার মাস্টারক্লাস। আমি আর আমার ছেলে হর্ষবর্ধন আলোচনা করি। সিনেম্যাটিক ব্রিলিয়ান্সের শিকড় রয়েছে আর সেই শিকড় বাংলার মাটিতেই। কলকাতার মানুষ আমার ক্যারিয়ারের শুরু থেকে আমার সঙ্গে রয়েছে। তাই এ মঞ্চে ফিরে আমি গর্বিত। একটি আক্ষেপের কথাও উঠে আসে অনিলের মুখে। তিনি বলেন, অপর্ণা সেনের আসার কথা ছিল কিন্তু তিনি এলেন না। আমি খুবই মিস করছি। তার একটি ছবি আমার করার কথা ছিল। আমি অডিশনও দিই কিন্তু উনি বলেন, রোলটার জন্য আমার বয়স অনেক কম। আমি তাকে বলতে চাই, এখন আমার অনেকটাই বয়স, এখন আমাকে কাস্ট করতেই পারেন। সালমান প্রসঙ্গে বলেন, নকল টাইগার আসবে, যাবে কিন্তু আসল টাইগার আজীবন থাকবে। টাইগার জিন্দা থাকবে। আমাদের হিন্দি সিনেমার মহানায়ক সালমান খান।