ঢাকা ১১:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

পশ্চিমবঙ্গে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করবেন আদানি

  • আপডেট সময় : ০১:৩২:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৭৩ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : ভারতের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী আদানি গ্রুপের কর্ণধার গৌতম আদানি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের তাজপুরে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করতে যাচ্ছেন। এ প্রকল্পে ২৫ হাজার কোটি রুপি বিনিয়োগ করবে তাঁর আদানি গ্রুপ। গত সোমবার রাজ্যের মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে বিধানসভার অধিবেশনে এ ঘোষণা দেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, গৌতম আদানি তাজপুরে একটি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করবেন। শিল্প উন্নয়ন নিগমের ডাকা বৈশ্বিক দরপত্রে অংশ নিয়ে আদানি গ্রুপ প্রকল্পটি পেয়েছে। এই গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মিত হলে ২৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। কলকাতা থেকে ১৭০ কিলোমিটার দূরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত তাজপুরে নির্মিত হবে এ গভীর সমুদ্রবন্দর। এ বন্দরে এক লাখ ডেড ওয়েট টন (ডিডব্লিউটি) ধারণক্ষমতার জাহাজ নোঙর করতে পারবে। ফিরহাদ বলেন, এ বন্দর নির্মিত হলে রাজ্যের চেহারা বদলে যাবে। এ বন্দরের ওপর নির্ভর করে এ রাজ্যের দ্রুত শিল্পায়ন হবে। শিগগিরই গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ শুরুর জন্য লেটার অব ইনটেন্ট বা কাজ শুরুর অনুমতিপত্র আদানি গ্রুপের হাতে তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৬ সালে প্রথমবার তাজপুরে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের ঘোষণা দেন। সেই সময় তিনি বলেছিলেন, এককভাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারই এ বন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নেবে। পরে কেন্দ্রীয় সরকার এ প্রকল্পে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব পাঠালে রাজ্য সরকার সম্মতি দেয়। রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারকে ২৬ শতাংশ শেয়ার দিতে সম্মত হয়। বিনিময়ে রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সাগরদ্বীপকে মূল ভূখ-ের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য মুড়িগঙ্গা নদীতে একটি সেতু নির্মাণের প্রস্তাব দেয়। এ প্রস্তাবে সম্মতি জানায় কেন্দ্রীয় সরকার। মুড়িগঙ্গা নদীর ওপর সেতুটি নির্মিত হলে গঙ্গার তীর্থযাত্রীদের যাতায়াত সহজ হবে। নদী পারাপারে আর ফেরির প্রয়োজন হবে না।
তাজপুরে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের জন্য ২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর বৈশ্বিক দরপত্র আহ্বান করে রাজ্যর শিল্প নিগম। দরপত্রে অংশ নেয় চারটি আন্তর্জাতিক সংস্থা—পোর্ট অব সিঙ্গাপুর অথরিটি, দুবাই পোর্ট, আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন এবং জিন্দাল গ্রুপ। দরপত্রের সময়সীমা দুবার বাড়ানো হয়। অবশেষে আদানি গ্রুপকে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের ছাড়পত্র দেওয়া হয়। অবশ্য ওই বছরের ডিসেম্বরে মুখ্যমন্ত্রী মমতার সঙ্গে নবান্নে দেখা করেছিলেন আদানি। সেখানে তাজপুরে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের বিষয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নতুন আপদ ‘মব সন্ত্রাস’, আতঙ্কে সারা দেশ

পশ্চিমবঙ্গে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করবেন আদানি

আপডেট সময় : ০১:৩২:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : ভারতের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী আদানি গ্রুপের কর্ণধার গৌতম আদানি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের তাজপুরে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করতে যাচ্ছেন। এ প্রকল্পে ২৫ হাজার কোটি রুপি বিনিয়োগ করবে তাঁর আদানি গ্রুপ। গত সোমবার রাজ্যের মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে বিধানসভার অধিবেশনে এ ঘোষণা দেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, গৌতম আদানি তাজপুরে একটি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করবেন। শিল্প উন্নয়ন নিগমের ডাকা বৈশ্বিক দরপত্রে অংশ নিয়ে আদানি গ্রুপ প্রকল্পটি পেয়েছে। এই গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মিত হলে ২৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। কলকাতা থেকে ১৭০ কিলোমিটার দূরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত তাজপুরে নির্মিত হবে এ গভীর সমুদ্রবন্দর। এ বন্দরে এক লাখ ডেড ওয়েট টন (ডিডব্লিউটি) ধারণক্ষমতার জাহাজ নোঙর করতে পারবে। ফিরহাদ বলেন, এ বন্দর নির্মিত হলে রাজ্যের চেহারা বদলে যাবে। এ বন্দরের ওপর নির্ভর করে এ রাজ্যের দ্রুত শিল্পায়ন হবে। শিগগিরই গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ শুরুর জন্য লেটার অব ইনটেন্ট বা কাজ শুরুর অনুমতিপত্র আদানি গ্রুপের হাতে তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৬ সালে প্রথমবার তাজপুরে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের ঘোষণা দেন। সেই সময় তিনি বলেছিলেন, এককভাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারই এ বন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নেবে। পরে কেন্দ্রীয় সরকার এ প্রকল্পে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব পাঠালে রাজ্য সরকার সম্মতি দেয়। রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারকে ২৬ শতাংশ শেয়ার দিতে সম্মত হয়। বিনিময়ে রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সাগরদ্বীপকে মূল ভূখ-ের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য মুড়িগঙ্গা নদীতে একটি সেতু নির্মাণের প্রস্তাব দেয়। এ প্রস্তাবে সম্মতি জানায় কেন্দ্রীয় সরকার। মুড়িগঙ্গা নদীর ওপর সেতুটি নির্মিত হলে গঙ্গার তীর্থযাত্রীদের যাতায়াত সহজ হবে। নদী পারাপারে আর ফেরির প্রয়োজন হবে না।
তাজপুরে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের জন্য ২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর বৈশ্বিক দরপত্র আহ্বান করে রাজ্যর শিল্প নিগম। দরপত্রে অংশ নেয় চারটি আন্তর্জাতিক সংস্থা—পোর্ট অব সিঙ্গাপুর অথরিটি, দুবাই পোর্ট, আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন এবং জিন্দাল গ্রুপ। দরপত্রের সময়সীমা দুবার বাড়ানো হয়। অবশেষে আদানি গ্রুপকে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের ছাড়পত্র দেওয়া হয়। অবশ্য ওই বছরের ডিসেম্বরে মুখ্যমন্ত্রী মমতার সঙ্গে নবান্নে দেখা করেছিলেন আদানি। সেখানে তাজপুরে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের বিষয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়।