ঢাকা ১২:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

পশ্চিমবঙ্গে একাধিক গ্রাম প্লাবিত, মমতা দুষলেন ঝাড়খ-কে

  • আপডেট সময় : ১১:১২:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ অক্টোবর ২০২১
  • ৭১ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আগে থেকে না জানিয়ে ঝাড়খ- বিভিন্ন জলাধার থেকে পানি ছেড়ে দেওয়ায় পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি জেলার একাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
গত শুক্রবার সকালে তিনি এ অভিযোগ করেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আনন্দবাজার। “না জানিয়ে ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া অপরাধ। এ জন্যই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে,’’ এবারের বন্যা পরিস্থিতিকে ‘মনুষ্যসৃষ্ট’ অ্যাখ্যা দিয়ে বলেন এ তৃণমূলসুপ্রিমো। “কত বার বলেছি না বলে জল ছাড়বেন না। বলতে বলতে হতাশ হয়ে যাচ্ছি। না জানিয়ে রাত ৩টার সময় যদি জল ছেড়ে দেয়, তা হলে তো মানুষ ঘুমন্ত অবস্থাতেই ভেসে যাবে। এটা পাপ। এটা অপরাধ। আগে থেকে জানলে তো আমরা মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যেতে পারি।জল ছেড়ে কেন বন্যা ঘটাবে? ঝাড়খ-ের বোঝা আমরা কেন নেব?’’ বলেন তিনি।
মমতার অভিযোগ কিংবা জলাধার থেকে পানি ছেড়ে দেওয়া প্রসঙ্গে ঝাড়খ-ের সরকার বা কোনো কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগের পর গত শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ঝাড়খ- থেকে ৮০ হাজার কিউসেক পানি ছাড়া হয়; শুক্রবার সকালে এর পরিমাণ দাঁড়ায় এক লাখ ৪৫ হাজার কিউসেক। এর ফলে বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়।
আনন্দবাজার জানিয়েছে, একটানা বৃষ্টিতে এমনিতেই বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে ছিল, বাড়ছিল নদীর পানির স্তর। এর মধ্যেই মাইথন, পাঞ্চেত, ডিভিসি-র জলাধার থেকে পানি ছাড়ায় নদীগুলো ফুলে ফেঁপে ওঠে।
পরিস্থিতি মোকাবেলায় রাজ্য সাধ্যমত ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেও জানান হরিকৃষ্ণ। দুর্যোগ মোকাবেলা বাহিনীর পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী। পানি নামার পরই ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত চিত্র নিরূপণ করা যাবে, বলেছেন পশ্চিমবঙ্গের এ মুখ্যসচিব।
টানা বৃষ্টির কারণে মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান এবং দুই মেদিনীপুরেও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। দামোদর, দ্বারকেশ্বর, রূপনারায়ন ও অজয় নদের পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছে। হাওড়া, হুগলি থেকে পানি নামা শুরু করেছে; সেক্ষেত্রে ঘাটাল শহর প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে সতর্ক করেছেন হরিকৃষ্ণ।
শহরটিতে এর মধ্যেই ২ জনের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে। “বাড়ি ভেঙে ওই দুর্ঘটনা ঘটে, নিহতদের মধ্যে একটি শিশুও আছে,” বলেছেন এ মুখ্যসচিব।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পশ্চিমবঙ্গে একাধিক গ্রাম প্লাবিত, মমতা দুষলেন ঝাড়খ-কে

আপডেট সময় : ১১:১২:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ অক্টোবর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আগে থেকে না জানিয়ে ঝাড়খ- বিভিন্ন জলাধার থেকে পানি ছেড়ে দেওয়ায় পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি জেলার একাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
গত শুক্রবার সকালে তিনি এ অভিযোগ করেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আনন্দবাজার। “না জানিয়ে ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া অপরাধ। এ জন্যই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে,’’ এবারের বন্যা পরিস্থিতিকে ‘মনুষ্যসৃষ্ট’ অ্যাখ্যা দিয়ে বলেন এ তৃণমূলসুপ্রিমো। “কত বার বলেছি না বলে জল ছাড়বেন না। বলতে বলতে হতাশ হয়ে যাচ্ছি। না জানিয়ে রাত ৩টার সময় যদি জল ছেড়ে দেয়, তা হলে তো মানুষ ঘুমন্ত অবস্থাতেই ভেসে যাবে। এটা পাপ। এটা অপরাধ। আগে থেকে জানলে তো আমরা মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যেতে পারি।জল ছেড়ে কেন বন্যা ঘটাবে? ঝাড়খ-ের বোঝা আমরা কেন নেব?’’ বলেন তিনি।
মমতার অভিযোগ কিংবা জলাধার থেকে পানি ছেড়ে দেওয়া প্রসঙ্গে ঝাড়খ-ের সরকার বা কোনো কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগের পর গত শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ঝাড়খ- থেকে ৮০ হাজার কিউসেক পানি ছাড়া হয়; শুক্রবার সকালে এর পরিমাণ দাঁড়ায় এক লাখ ৪৫ হাজার কিউসেক। এর ফলে বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়।
আনন্দবাজার জানিয়েছে, একটানা বৃষ্টিতে এমনিতেই বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে ছিল, বাড়ছিল নদীর পানির স্তর। এর মধ্যেই মাইথন, পাঞ্চেত, ডিভিসি-র জলাধার থেকে পানি ছাড়ায় নদীগুলো ফুলে ফেঁপে ওঠে।
পরিস্থিতি মোকাবেলায় রাজ্য সাধ্যমত ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেও জানান হরিকৃষ্ণ। দুর্যোগ মোকাবেলা বাহিনীর পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী। পানি নামার পরই ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত চিত্র নিরূপণ করা যাবে, বলেছেন পশ্চিমবঙ্গের এ মুখ্যসচিব।
টানা বৃষ্টির কারণে মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান এবং দুই মেদিনীপুরেও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। দামোদর, দ্বারকেশ্বর, রূপনারায়ন ও অজয় নদের পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছে। হাওড়া, হুগলি থেকে পানি নামা শুরু করেছে; সেক্ষেত্রে ঘাটাল শহর প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে সতর্ক করেছেন হরিকৃষ্ণ।
শহরটিতে এর মধ্যেই ২ জনের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে। “বাড়ি ভেঙে ওই দুর্ঘটনা ঘটে, নিহতদের মধ্যে একটি শিশুও আছে,” বলেছেন এ মুখ্যসচিব।