ঢাকা ০৭:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

পশ্চিমবঙ্গে অ্যাডিনো ভাইরাস, বাড়ছে শিশুমৃত্যু

  • আপডেট সময় : ০১:৫৮:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ৯৪ বার পড়া হয়েছে

বিদেশের খবর ডেস্ক : ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে এর প্রকোপ বেশি লক্ষণীয় এবং পাঁচ বছরের কম বয়সীরা বেশি ভোগান্তিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। সোমবার পর্যন্ত পাঁচ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের জেএনএম হাসপাতালের শিশু বিভাগে জ্বর, ঠান্ডা, পেটের পীড়া নিয়ে ভর্তি পাঁচ বছরের নীচে শিশুদের মধ্যে প্রায় ২৫ শতাংশই অ্যাডিনো ভাইরাস আক্রান্ত বলে দাবি চিকিৎসকদের। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রবিবার পর্যন্ত হাসপাতালের শিশু বিভাগে ৬৭টি শয্যায় ১১৫টি শিশু ভর্তি ছিল। একাধিক বেডে দুটি করে শিশু রয়েছে। হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কিছু শিশুর পরীক্ষা করা হয়েছে, তারা অ্যাডিনো ভাইরাস আক্রান্ত। বাকি অনেকেরই উপসর্গ দেখে মনে হচ্ছে তারাও অ্যাডিনো ভাইরাস আক্রান্ত। চিকিৎসকদের মতে, এবারের অ্যাডিনো ভাইরাসে সবেচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুরা। ভাইরাসের প্রভাব অনেক শিশুর ক্ষেত্রেই নিউমোনিয়ার মতো হয়ে যাচ্ছে। আবার, অনেকের ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়ার পরেও দীর্ঘ দিন ধরে শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা থাকছে। অন্য বছর এই সমস্যা এতটা দেখা যায়নি। বিষয়টি চিকিৎসকদের কিছুটা হলেও উদ্বিগ্ন করছে। গত সপ্তাহেই আড়াই মাসের একটি শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটে জেএনএম হাসপাতালের শিশু বিভাগে। তার অবশ্য সিভিয়ার নিউমোনিয়ার সঙ্গে সংক্রমণ ছিল। শিশু বিশেজ্ঞদের মতে, আডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শিশুদের সাধারণ জ্বর, ঠান্ডা লাগার মতোই হয়। তার সঙ্গে যদি গলাব্যথা, পেটের পীড়া, চোখে পিচুটি পড়ার মতো লক্ষণগুলো দেখা দেয় তা হলে জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন। তবে এই ভাইরাসের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। জেএনএমের শিশু বিশেষজ্ঞ অরিজিৎ দাস বলেন, ‘আডিনো ভাইরাসের জন্য কোনো অ্যান্টি-ভাইরাস দেওয়া হয় না। যে যে লক্ষণগুলো দেখা যাবে, সেই অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে।’ এই ভাইরাস থেকে সাবধান হতে হলে করোনার মতোই শিশুদের পাশাপাশি বড়দেরও সাবধান থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বাইরে বের হওয়ার সময় মাস্ক পরিদান এবং বাইরে থেকে ফিরে ভালোভাবে হাত ধোয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পশ্চিমবঙ্গে অ্যাডিনো ভাইরাস, বাড়ছে শিশুমৃত্যু

আপডেট সময় : ০১:৫৮:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বিদেশের খবর ডেস্ক : ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে এর প্রকোপ বেশি লক্ষণীয় এবং পাঁচ বছরের কম বয়সীরা বেশি ভোগান্তিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। সোমবার পর্যন্ত পাঁচ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের জেএনএম হাসপাতালের শিশু বিভাগে জ্বর, ঠান্ডা, পেটের পীড়া নিয়ে ভর্তি পাঁচ বছরের নীচে শিশুদের মধ্যে প্রায় ২৫ শতাংশই অ্যাডিনো ভাইরাস আক্রান্ত বলে দাবি চিকিৎসকদের। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রবিবার পর্যন্ত হাসপাতালের শিশু বিভাগে ৬৭টি শয্যায় ১১৫টি শিশু ভর্তি ছিল। একাধিক বেডে দুটি করে শিশু রয়েছে। হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কিছু শিশুর পরীক্ষা করা হয়েছে, তারা অ্যাডিনো ভাইরাস আক্রান্ত। বাকি অনেকেরই উপসর্গ দেখে মনে হচ্ছে তারাও অ্যাডিনো ভাইরাস আক্রান্ত। চিকিৎসকদের মতে, এবারের অ্যাডিনো ভাইরাসে সবেচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুরা। ভাইরাসের প্রভাব অনেক শিশুর ক্ষেত্রেই নিউমোনিয়ার মতো হয়ে যাচ্ছে। আবার, অনেকের ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়ার পরেও দীর্ঘ দিন ধরে শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা থাকছে। অন্য বছর এই সমস্যা এতটা দেখা যায়নি। বিষয়টি চিকিৎসকদের কিছুটা হলেও উদ্বিগ্ন করছে। গত সপ্তাহেই আড়াই মাসের একটি শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটে জেএনএম হাসপাতালের শিশু বিভাগে। তার অবশ্য সিভিয়ার নিউমোনিয়ার সঙ্গে সংক্রমণ ছিল। শিশু বিশেজ্ঞদের মতে, আডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শিশুদের সাধারণ জ্বর, ঠান্ডা লাগার মতোই হয়। তার সঙ্গে যদি গলাব্যথা, পেটের পীড়া, চোখে পিচুটি পড়ার মতো লক্ষণগুলো দেখা দেয় তা হলে জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন। তবে এই ভাইরাসের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। জেএনএমের শিশু বিশেষজ্ঞ অরিজিৎ দাস বলেন, ‘আডিনো ভাইরাসের জন্য কোনো অ্যান্টি-ভাইরাস দেওয়া হয় না। যে যে লক্ষণগুলো দেখা যাবে, সেই অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে।’ এই ভাইরাস থেকে সাবধান হতে হলে করোনার মতোই শিশুদের পাশাপাশি বড়দেরও সাবধান থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বাইরে বের হওয়ার সময় মাস্ক পরিদান এবং বাইরে থেকে ফিরে ভালোভাবে হাত ধোয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।