ঢাকা ০৯:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০২ জুন ২০২৫
চাঁদাবাজি ও ডাকাতি ঠেকানোর উদ্যোগ

পশুবাহী ট্রাকে থাকবে ট্র্যাকার ও ক্যামেরা

  • আপডেট সময় : ০৮:৪৯:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
  • ১৮ বার পড়া হয়েছে

চাঁদাবাজি ও ডাকাতি ঠেকাতে এবার নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে – ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রতি বছরই ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে পশুবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজি ও ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এবার তা ঠেকাতে তৎপর হয়ে উঠেছে হাইওয়ে পুলিশ ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআরটিএ। এজন্য দুই সংস্থার সমন্বয়ে কাজ চলছে। সড়কে চাঁদাবাজি ও ডাকাতি রোধে পশুবাহী ট্রাক ছাড়ার আগে তাতে জিপিএস ট্র্যাকার ও ড্যাশ ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি ট্রাকের ভেতর চালকের পাশে থাকবেন গোয়েন্দা সদস্যরা। ট্রাকটি যে হাটে যেতে চায় তার সামনে সেই হাটের ব্যানার ঝুলবে। পথে কোনো সমস্যা হলে যাতে চালক সহজে পুলিশকে কল করতে পারে সেজন্য হেল্প নম্বর ও থানা পুলিশের নম্বর সম্বলিত লিফলেট দেওয়া হচ্ছে। আর অজ্ঞান ও মলম পার্টি এবং জাল টাকা প্রতিরোধে মাঠে থাকবেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিশেষ টিম ও গোয়েন্দা সদস্যরা।

হাইওয়ে পুলিশ ও বিআরটিএ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব উদ্যোগের কথা জানা গেছে। প্রতি বছর রাজধানীসহ সারাদেশের হাটগুলোতে পশু আনার সময় ও বিক্রি করে ফেরার পথে চাঁদাবাজি ও ডাকাতির শিকার হন বেপারীরা। বিষয়টি এবার গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নিয়ে জোরালোভাবে কাজ করছে হাইওয়ে পুলিশ। এজন্য যাবতীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তারা।

হাইওয়ে পুলিশ সূত্র জানায়, তারা এবার নতুন কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে রাজধানীসহ যে হাটে ট্রাকটি যেতে চায় সেই হাটের নাম সম্বলিত ব্যানার ট্রাকের সামনে থাকা, মাঠে গোয়েন্দা টিম, মোবাইল টহল টিম বৃদ্ধি, পিকআপ ডিউটি, সাব কন্ট্রোল রুম, কুইক রেসপন্ন টিম, মোটরসাইকেল টিম, কমিউনিটি স্বেচ্ছাসেবক টিম, হাটগুলোতে জরুরি অ্যাম্বুলেন্স সেবা, জেলা ও মেট্রো পলিটন মিলে সমন্বয়, লোক সমাগম জায়গাগুলোতে স্পেশাল টিম রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া রাতের বাস ছাড়ার আগে ভিডিও ধারণ, পশুর হাট রাস্তার পাশে নজরদারি, প্রধান সড়কে থ্রি হুইলার বন্ধ রাখা, ঈদের আগে ও পরে মন্ত্রণালয়ের অনুমতিসাপেক্ষে নির্দিষ্ট হাট ছাড়া গাড়ি না থামা, পশুবাহী ও যাত্রীবাহী বাস না থামানোসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

হাইওয়ে পুলিশের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগে রাজধানীসহ সারাদেশের বিভিন্ন হাটের ইজাদারের লোকেরা গরুর ট্রাক জোর করে ঢোকাতে বাধ্য করত। কিন্তু এবার সেটি হবে না। কারণ প্রতিটি ট্রাকের সামনে স্টিকার থাকবে। যাতে এক হাটের গরু অন্য হাটে যেতে না পারে। ফলে বেপারী যে হাটে গরু নিতে চায় সেই হাটেই স্বাচ্ছন্দে যেতে পারবে।

হাইওয়ে পুলিশের কথার সত্যতাও মিলেছে শুক্রবার বসিলা হাটে গিয়ে। হাটটি রোববার (১ জুন) থেকে শুরু হবে। কিন্তু এর আগেই আসতে শুরু করেছে পশুবাহী ট্রাকগুলো। বিকেলে হাট ঘোরার সময় দেখা গেল, পাবনা, কুষ্টিয়া ও নওগাঁ থেকে আসা ট্রাকগুলোর সামনে বসিলা হাটের নাম, ইজাদারের নাম ও নম্বর লেখা ব্যানার ঝুলছে। পরে জয়নাল নামের এক চালকের সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাতে তিনি নওগাঁর সাপাহার থেকে গরুর ট্রাক নিয়ে রওনা হয়েছেন। পথে ট্রাকের সামনে ব্যানার ঝোলানো ছিল কি না তা বিভিন্ন পয়েন্টে চেক করেছে হাইওয়ে পুলিশ। তবে পথে এবার তিনি কোনো বাধা বা চাঁদাবাজির শিকার হননি বলে দাবি তার।

হাইওয়ে পুলিশ ও বিআরটিএ সূত্র জানিয়েছে, এবার কোরবানির ঈদে পশুবাহী ট্রাকে জিপিএস ট্র্যাকার ও ড্যাশ ক্যামেরা যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে বিআরটিএ। প্রতিটি ট্রাকে সম্ভব না হলেও এক সঙ্গে ১০ থেকে ১৫টি ট্রাক দূরপাল্লায় যেতে চাইলে সেগুলোর একটিতে থাকবে সেই জিপিএস ট্র্যাকার ও ড্যাশ ক্যামেরা। অন্যদিকে হাইওয়ে পুলিশ ক্যামেরা ও ট্র্যাকার না বসাতে পারলেও তারা সরাসরি চাঁদাবাজি ও ডাকাতি ধরতে গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যদের ট্রাকের ভেতর রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এদিকে হাইওয়ে পুলিশ সূত্র বলছে, সড়কগুলো দুর্ঘটনা রোধে লক্কর-ঝক্কর গাড়িগুলো বন্ধ রাখা, তাদের ওয়েবসাইটে হাট ও বিপদকালীন নানা সহযোগিতা পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নম্বর এবং তথ্য থাকছে।

তাছাড়া তারা প্রতিটি হাটের বেপারীদের হাট শেষে বাড়ি ফেরার আগে বিক্রির টাকাগুলো সেই হাটের ব্যাংক বুথে জমা দেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। এবার তারা নানা উদ্যাগের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকায় আসা ফরিয়া ও বেপারীদের হাটকেন্দ্রিক ডাকাবেজ তৈরি করেছেন। হাটগুলোকে নিরাপদ করতে তারা প্রতিটি জেলার প্রশাসনের সঙ্গে সভা করে সব জেলার সঙ্গে সমন্বয় করার জন্যও পরামর্শ দিয়েছেন। এক যোগে ২০ থেকে ৩০টি ট্রাক ছাড়ার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত হয়েছে। যাতে সেই বহরের নিরাপত্তায় একজন বা একাধিক পুলিশ সদস্য রাখা সম্ভব হয়। এতে চাঁদাবাজি ও ডাকাতি রোধ করা যাবে বলে মনে করছেন তারা।

হাইওয়ে পুলিশ যা বলছে: এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশের এইচআর ও এডমিন বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি শামসুল আলম ঢাকা মেইলকে বলেন, আমরা এবার ঈদকে স্বাচ্ছন্দময় ও নিরাপদ করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছি। পথে চাঁদাবাজি ও ডাকাতি ঠেকাতেও নানা উদোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও হাটে পথে জাল টাকা রোধ ও নানা অপরাধী চক্রের শাস্তি নিশ্চিতে থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের একাধিক টিম। এবার চালকদের হাতে একটি করে লিফলেট দেওয়া হচ্ছে।

যেখানে প্রতিটি থানা ও কন্ট্রোল রুমের ফোন নম্বর দেওয়া থাকবে। তিনি যে এলাকায় বিপদে পড়বেন তৎক্ষণাত সেই থানার পুলিশকে কল করে সহযোগিতা নিতে পারবেন। এই কর্মকর্তা বলেন, এসব ছাড়াও আমরা জাল টাকা শনাক্তে মেশিন রাখার জন্য প্রতিটি হাট কমিটিতে বলেছি। হাটে ব্যাংকের বুথ থাকবে।

সেই বুথে বেপারীরা যাতে টাকা জমা দিতে পারেন সেই ব্যবস্থাও থাকবে। আমরা বেপারীদের অনুরোধ করেছি। কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয়ে মহাসড়কের ওপর বা তার পাশে চিহ্নিত সম্ভাব্য ২১৭টি পশুর হাট ইজারা প্রদান না করার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশ প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. দেলোয়ার হোসেন মিঞা বলেন, পশুবাহী ট্রাক ও বাসে জিপিএস সংযুক্ত ড্যাশ ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা হয়েছে। ফলে সড়কে ডাকাতি ও চাঁদাবাজিসহ যাবতীয় অপ্রীতিকর ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা নিতে পারব বলে আমরা আশাবাদী।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদাবাজি ও ডাকাতি ঠেকানোর উদ্যোগ

পশুবাহী ট্রাকে থাকবে ট্র্যাকার ও ক্যামেরা

আপডেট সময় : ০৮:৪৯:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রতি বছরই ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে পশুবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজি ও ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এবার তা ঠেকাতে তৎপর হয়ে উঠেছে হাইওয়ে পুলিশ ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআরটিএ। এজন্য দুই সংস্থার সমন্বয়ে কাজ চলছে। সড়কে চাঁদাবাজি ও ডাকাতি রোধে পশুবাহী ট্রাক ছাড়ার আগে তাতে জিপিএস ট্র্যাকার ও ড্যাশ ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি ট্রাকের ভেতর চালকের পাশে থাকবেন গোয়েন্দা সদস্যরা। ট্রাকটি যে হাটে যেতে চায় তার সামনে সেই হাটের ব্যানার ঝুলবে। পথে কোনো সমস্যা হলে যাতে চালক সহজে পুলিশকে কল করতে পারে সেজন্য হেল্প নম্বর ও থানা পুলিশের নম্বর সম্বলিত লিফলেট দেওয়া হচ্ছে। আর অজ্ঞান ও মলম পার্টি এবং জাল টাকা প্রতিরোধে মাঠে থাকবেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিশেষ টিম ও গোয়েন্দা সদস্যরা।

হাইওয়ে পুলিশ ও বিআরটিএ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব উদ্যোগের কথা জানা গেছে। প্রতি বছর রাজধানীসহ সারাদেশের হাটগুলোতে পশু আনার সময় ও বিক্রি করে ফেরার পথে চাঁদাবাজি ও ডাকাতির শিকার হন বেপারীরা। বিষয়টি এবার গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নিয়ে জোরালোভাবে কাজ করছে হাইওয়ে পুলিশ। এজন্য যাবতীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তারা।

হাইওয়ে পুলিশ সূত্র জানায়, তারা এবার নতুন কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে রাজধানীসহ যে হাটে ট্রাকটি যেতে চায় সেই হাটের নাম সম্বলিত ব্যানার ট্রাকের সামনে থাকা, মাঠে গোয়েন্দা টিম, মোবাইল টহল টিম বৃদ্ধি, পিকআপ ডিউটি, সাব কন্ট্রোল রুম, কুইক রেসপন্ন টিম, মোটরসাইকেল টিম, কমিউনিটি স্বেচ্ছাসেবক টিম, হাটগুলোতে জরুরি অ্যাম্বুলেন্স সেবা, জেলা ও মেট্রো পলিটন মিলে সমন্বয়, লোক সমাগম জায়গাগুলোতে স্পেশাল টিম রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া রাতের বাস ছাড়ার আগে ভিডিও ধারণ, পশুর হাট রাস্তার পাশে নজরদারি, প্রধান সড়কে থ্রি হুইলার বন্ধ রাখা, ঈদের আগে ও পরে মন্ত্রণালয়ের অনুমতিসাপেক্ষে নির্দিষ্ট হাট ছাড়া গাড়ি না থামা, পশুবাহী ও যাত্রীবাহী বাস না থামানোসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

হাইওয়ে পুলিশের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগে রাজধানীসহ সারাদেশের বিভিন্ন হাটের ইজাদারের লোকেরা গরুর ট্রাক জোর করে ঢোকাতে বাধ্য করত। কিন্তু এবার সেটি হবে না। কারণ প্রতিটি ট্রাকের সামনে স্টিকার থাকবে। যাতে এক হাটের গরু অন্য হাটে যেতে না পারে। ফলে বেপারী যে হাটে গরু নিতে চায় সেই হাটেই স্বাচ্ছন্দে যেতে পারবে।

হাইওয়ে পুলিশের কথার সত্যতাও মিলেছে শুক্রবার বসিলা হাটে গিয়ে। হাটটি রোববার (১ জুন) থেকে শুরু হবে। কিন্তু এর আগেই আসতে শুরু করেছে পশুবাহী ট্রাকগুলো। বিকেলে হাট ঘোরার সময় দেখা গেল, পাবনা, কুষ্টিয়া ও নওগাঁ থেকে আসা ট্রাকগুলোর সামনে বসিলা হাটের নাম, ইজাদারের নাম ও নম্বর লেখা ব্যানার ঝুলছে। পরে জয়নাল নামের এক চালকের সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাতে তিনি নওগাঁর সাপাহার থেকে গরুর ট্রাক নিয়ে রওনা হয়েছেন। পথে ট্রাকের সামনে ব্যানার ঝোলানো ছিল কি না তা বিভিন্ন পয়েন্টে চেক করেছে হাইওয়ে পুলিশ। তবে পথে এবার তিনি কোনো বাধা বা চাঁদাবাজির শিকার হননি বলে দাবি তার।

হাইওয়ে পুলিশ ও বিআরটিএ সূত্র জানিয়েছে, এবার কোরবানির ঈদে পশুবাহী ট্রাকে জিপিএস ট্র্যাকার ও ড্যাশ ক্যামেরা যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে বিআরটিএ। প্রতিটি ট্রাকে সম্ভব না হলেও এক সঙ্গে ১০ থেকে ১৫টি ট্রাক দূরপাল্লায় যেতে চাইলে সেগুলোর একটিতে থাকবে সেই জিপিএস ট্র্যাকার ও ড্যাশ ক্যামেরা। অন্যদিকে হাইওয়ে পুলিশ ক্যামেরা ও ট্র্যাকার না বসাতে পারলেও তারা সরাসরি চাঁদাবাজি ও ডাকাতি ধরতে গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যদের ট্রাকের ভেতর রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এদিকে হাইওয়ে পুলিশ সূত্র বলছে, সড়কগুলো দুর্ঘটনা রোধে লক্কর-ঝক্কর গাড়িগুলো বন্ধ রাখা, তাদের ওয়েবসাইটে হাট ও বিপদকালীন নানা সহযোগিতা পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নম্বর এবং তথ্য থাকছে।

তাছাড়া তারা প্রতিটি হাটের বেপারীদের হাট শেষে বাড়ি ফেরার আগে বিক্রির টাকাগুলো সেই হাটের ব্যাংক বুথে জমা দেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। এবার তারা নানা উদ্যাগের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকায় আসা ফরিয়া ও বেপারীদের হাটকেন্দ্রিক ডাকাবেজ তৈরি করেছেন। হাটগুলোকে নিরাপদ করতে তারা প্রতিটি জেলার প্রশাসনের সঙ্গে সভা করে সব জেলার সঙ্গে সমন্বয় করার জন্যও পরামর্শ দিয়েছেন। এক যোগে ২০ থেকে ৩০টি ট্রাক ছাড়ার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত হয়েছে। যাতে সেই বহরের নিরাপত্তায় একজন বা একাধিক পুলিশ সদস্য রাখা সম্ভব হয়। এতে চাঁদাবাজি ও ডাকাতি রোধ করা যাবে বলে মনে করছেন তারা।

হাইওয়ে পুলিশ যা বলছে: এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশের এইচআর ও এডমিন বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি শামসুল আলম ঢাকা মেইলকে বলেন, আমরা এবার ঈদকে স্বাচ্ছন্দময় ও নিরাপদ করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছি। পথে চাঁদাবাজি ও ডাকাতি ঠেকাতেও নানা উদোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও হাটে পথে জাল টাকা রোধ ও নানা অপরাধী চক্রের শাস্তি নিশ্চিতে থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের একাধিক টিম। এবার চালকদের হাতে একটি করে লিফলেট দেওয়া হচ্ছে।

যেখানে প্রতিটি থানা ও কন্ট্রোল রুমের ফোন নম্বর দেওয়া থাকবে। তিনি যে এলাকায় বিপদে পড়বেন তৎক্ষণাত সেই থানার পুলিশকে কল করে সহযোগিতা নিতে পারবেন। এই কর্মকর্তা বলেন, এসব ছাড়াও আমরা জাল টাকা শনাক্তে মেশিন রাখার জন্য প্রতিটি হাট কমিটিতে বলেছি। হাটে ব্যাংকের বুথ থাকবে।

সেই বুথে বেপারীরা যাতে টাকা জমা দিতে পারেন সেই ব্যবস্থাও থাকবে। আমরা বেপারীদের অনুরোধ করেছি। কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয়ে মহাসড়কের ওপর বা তার পাশে চিহ্নিত সম্ভাব্য ২১৭টি পশুর হাট ইজারা প্রদান না করার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশ প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. দেলোয়ার হোসেন মিঞা বলেন, পশুবাহী ট্রাক ও বাসে জিপিএস সংযুক্ত ড্যাশ ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা হয়েছে। ফলে সড়কে ডাকাতি ও চাঁদাবাজিসহ যাবতীয় অপ্রীতিকর ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা নিতে পারব বলে আমরা আশাবাদী।