ঢাকা ০৬:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫

পল্লবীর জাহিদ খুন হন দুই গ্যাংয়ের দ্বন্দ্বে

  • আপডেট সময় : ১২:৫৯:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৯০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার পল্লবীতে পাঁচ দিন আগে মাছ ব্যবসায়ী জাহিদ হাসানকে হত্যার পেছনে ছিল স্থানীয় দুই দল তরুণের দ্বন্দ্ব। ওই ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তারের পর র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক মোজাম্মেল হক গতকাল রোববার সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। গ্রেপ্তার চারজন হলেন: মো. ইফরান ওরফে ডামরু (২৪), মো. ডলার হোসেন ওরফে ডলার (২৫), মো. রাজা হোসেন (২২) ও মো. কোরবানকে (২৫) ।
ঢাকা, নারায়গঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে র‌্যাব কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক জানান।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার দিকে পল্লবীর বাংলা স্কুলের সামনে আড্ডা দেওয়ার সময় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হন জাহিদ এবং তার বন্ধু কামরান ও হাসান। তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে মারা যায় জাহিদ। তিনি পল্লবীর বেনারশী পট্টি এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। আগে ছিলেন বাসচালক। মহামারীর মধ্যে পেশা বদলে মাছের ব্যবসা শুরু করেন। গ্রোপ্তার চারজনও কাছাকাছি এলাকার বাসিন্দা।
র‌্যাব কর্মকর্তা মোজাম্মেল বলেন, “পল্লবীর ওই এলাকায় গ্যাং কালচারের অপচর্চা রয়েছে। সিনিয়র গ্রুপ ও জুনিয়র গ্রুপ রয়েছে। দুটি গ্রুপই এলাকায় চুরি-ছিনতাই ও মাদক কেনাবেচায় জড়িত। জাহিদ জুনিয়র গ্রুপের সঙ্গে জড়িত, আর গ্রেপ্তাররা সিনিয়র গ্রুপের।”
তিনি জানান, ঘটনার দিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জুনিয়র গ্রুপ ও সিনিয়র গ্রুপের মধ্যে মাদক নিয়ে বাক-বিত-া হলে জাহিদকে মারধর করা হয়। “পরে ইফরান ও ডলারের নেতৃত্বে ১৫-১৬ জন যুবক রাত ১০টার দিকে ছুরি, হকিস্টিক ও লোহার রড নিয়ে পল্লবী সি ব্লকের কাঁচাবাজার পেঁয়াজ পট্টি এলাকায় জুনিয়র গ্রুপের উপর আক্রমণ চালায়। “এলোপাতাড়ি আঘাতে জাহিদ ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে এবং ইফরান তার পেটে ছুরিকাঘাত করে।”
র‌্যাব কর্মকর্তা মোজাম্মেল বলেন, এ মামলার প্রধান আসামি ইফরান পল্লবীর জল্লাক্যাম্পে থাকেন। সেখানে একটি জুতার কারখানায় কাজ করেন। চুরি-ছিনতাই ও মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। ডলার হোসেনও পল্লবীর জল্লাক্যাম্পে থাকেন। স্থানীয় একটি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পর তিনি স্কুল ছেড়ে দেন। পরে একটি ডিমের দোকানে কাজ নেন। তিনিও মাদক বিক্রিসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত বলে র‌্যাবের ভাষ্য। মোজাম্মেল বলেন, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, চুরি-ছিনতাই ও মারামারির একাধিক মামলা রয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পল্লবীর জাহিদ খুন হন দুই গ্যাংয়ের দ্বন্দ্বে

আপডেট সময় : ১২:৫৯:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার পল্লবীতে পাঁচ দিন আগে মাছ ব্যবসায়ী জাহিদ হাসানকে হত্যার পেছনে ছিল স্থানীয় দুই দল তরুণের দ্বন্দ্ব। ওই ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তারের পর র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক মোজাম্মেল হক গতকাল রোববার সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। গ্রেপ্তার চারজন হলেন: মো. ইফরান ওরফে ডামরু (২৪), মো. ডলার হোসেন ওরফে ডলার (২৫), মো. রাজা হোসেন (২২) ও মো. কোরবানকে (২৫) ।
ঢাকা, নারায়গঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে র‌্যাব কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক জানান।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার দিকে পল্লবীর বাংলা স্কুলের সামনে আড্ডা দেওয়ার সময় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হন জাহিদ এবং তার বন্ধু কামরান ও হাসান। তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে মারা যায় জাহিদ। তিনি পল্লবীর বেনারশী পট্টি এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। আগে ছিলেন বাসচালক। মহামারীর মধ্যে পেশা বদলে মাছের ব্যবসা শুরু করেন। গ্রোপ্তার চারজনও কাছাকাছি এলাকার বাসিন্দা।
র‌্যাব কর্মকর্তা মোজাম্মেল বলেন, “পল্লবীর ওই এলাকায় গ্যাং কালচারের অপচর্চা রয়েছে। সিনিয়র গ্রুপ ও জুনিয়র গ্রুপ রয়েছে। দুটি গ্রুপই এলাকায় চুরি-ছিনতাই ও মাদক কেনাবেচায় জড়িত। জাহিদ জুনিয়র গ্রুপের সঙ্গে জড়িত, আর গ্রেপ্তাররা সিনিয়র গ্রুপের।”
তিনি জানান, ঘটনার দিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জুনিয়র গ্রুপ ও সিনিয়র গ্রুপের মধ্যে মাদক নিয়ে বাক-বিত-া হলে জাহিদকে মারধর করা হয়। “পরে ইফরান ও ডলারের নেতৃত্বে ১৫-১৬ জন যুবক রাত ১০টার দিকে ছুরি, হকিস্টিক ও লোহার রড নিয়ে পল্লবী সি ব্লকের কাঁচাবাজার পেঁয়াজ পট্টি এলাকায় জুনিয়র গ্রুপের উপর আক্রমণ চালায়। “এলোপাতাড়ি আঘাতে জাহিদ ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে এবং ইফরান তার পেটে ছুরিকাঘাত করে।”
র‌্যাব কর্মকর্তা মোজাম্মেল বলেন, এ মামলার প্রধান আসামি ইফরান পল্লবীর জল্লাক্যাম্পে থাকেন। সেখানে একটি জুতার কারখানায় কাজ করেন। চুরি-ছিনতাই ও মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। ডলার হোসেনও পল্লবীর জল্লাক্যাম্পে থাকেন। স্থানীয় একটি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পর তিনি স্কুল ছেড়ে দেন। পরে একটি ডিমের দোকানে কাজ নেন। তিনিও মাদক বিক্রিসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত বলে র‌্যাবের ভাষ্য। মোজাম্মেল বলেন, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, চুরি-ছিনতাই ও মারামারির একাধিক মামলা রয়েছে।