ঢাকা ০৫:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫

পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা মামলার আসামির মৃত্যু ডিবি হেফাজতে

  • আপডেট সময় : ০৫:১৭:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর পল্লবীতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়া নিহত হওয়ার ঘটনায় হওয়া মামলার এক আসামি ডিবি হেফাজতে মারা গেছেন। নিহত ব্যক্তির নাম মোক্তার হোসেন। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গত সোমবার (১৭ নভেম্বর) পল্লবীতে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়াকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মামলাটি পরে ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়।

মামলার অগ্রগতির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) শরীয়তপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে নজরুল, মাসুম ও জামান নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং কিলিং মিশনে ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলি তাদের সহযোগী মোক্তার হোসেনের কাছে রয়েছে বলে জানায়।

ডিসি তালেবুর রহমান দাবি করেন, আসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একইদিন সন্ধ্যায় ডিবির একটি টিম রাজধানীর পল্লবী এলাকায় একটি গ্যারেজে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মোক্তার দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়দের সহায়তায় কৌশলে তাকে আটক করা হয়। এ সময় উত্তেজিত জনতা তাকে কিল-ঘুষি মারলে আহত হন তিনি। পরে তার দেয়া তথ্যে পল্লবীর একটি রিকশা গ্যারেজ থেকে আট রাউন্ড পিস্তলের গুলি উদ্ধার করা হয়।

আটকের পর মোক্তার হোসেনকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। রাত দেড়টার দিকে অসুস্থ বোধ করলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রাথমিক পরীক্ষা শেষে কিছু ওষুধ দিয়ে চিকিৎসকরা মোক্তারকে ছাড়পত্র দিলে আবার ডিবি কার্যালয়ে ফিরিয়ে আনা হয়।

পরে শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে তাকে খাবারের জন্য ডাকাডাকি করা হলে কোনো সাড়া না মেলায় দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ডিএমপির এ কর্মকর্তা।

এদিকে, এ ঘটনায় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মো. সরওয়ারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ওআ/আপ্র/২১/১১/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা মামলার আসামির মৃত্যু ডিবি হেফাজতে

আপডেট সময় : ০৫:১৭:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর পল্লবীতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়া নিহত হওয়ার ঘটনায় হওয়া মামলার এক আসামি ডিবি হেফাজতে মারা গেছেন। নিহত ব্যক্তির নাম মোক্তার হোসেন। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গত সোমবার (১৭ নভেম্বর) পল্লবীতে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়াকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মামলাটি পরে ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়।

মামলার অগ্রগতির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) শরীয়তপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে নজরুল, মাসুম ও জামান নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং কিলিং মিশনে ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলি তাদের সহযোগী মোক্তার হোসেনের কাছে রয়েছে বলে জানায়।

ডিসি তালেবুর রহমান দাবি করেন, আসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একইদিন সন্ধ্যায় ডিবির একটি টিম রাজধানীর পল্লবী এলাকায় একটি গ্যারেজে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মোক্তার দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়দের সহায়তায় কৌশলে তাকে আটক করা হয়। এ সময় উত্তেজিত জনতা তাকে কিল-ঘুষি মারলে আহত হন তিনি। পরে তার দেয়া তথ্যে পল্লবীর একটি রিকশা গ্যারেজ থেকে আট রাউন্ড পিস্তলের গুলি উদ্ধার করা হয়।

আটকের পর মোক্তার হোসেনকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। রাত দেড়টার দিকে অসুস্থ বোধ করলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রাথমিক পরীক্ষা শেষে কিছু ওষুধ দিয়ে চিকিৎসকরা মোক্তারকে ছাড়পত্র দিলে আবার ডিবি কার্যালয়ে ফিরিয়ে আনা হয়।

পরে শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে তাকে খাবারের জন্য ডাকাডাকি করা হলে কোনো সাড়া না মেলায় দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ডিএমপির এ কর্মকর্তা।

এদিকে, এ ঘটনায় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মো. সরওয়ারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ওআ/আপ্র/২১/১১/২০২৫