ঢাকা ০১:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পলিসি সহায়তা ও ট্যাক্স ছাড় চাইলো ভিসিপিয়াব

  • আপডেট সময় : ০১:৫৫:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মে ২০২১
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : মহামারি পরবর্তী পরিস্থিতি থেকে কাটিয়ে উঠতে এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ও স্টার্টআপের জন্য বিনিয়োগ ও অ্যাক্সেস টু ফিন্যান্স ত্বরান্বিত করতে অল্টারনেটিভ ফান্ড ম্যানেজারদের জন্য ট্যাক্স অব্যহতি এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক বিনিয়োগে ফান্ড অব ফান্ড তৈরির আহ্বান জানিয়েছে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড প্রাইভেট ইক্যুইটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ভিসিপিয়াব)। বৃহস্পতিবার সংগঠনটি আয়োজিত ‘ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড স্টার্টআপস ফর এ পোস্ট-কোভিড রেসিলিয়েন্ট ইকোনমি’ শীর্ষক ভার্চুয়াল গোলটেবিল আলোচনায় এই আহ্বান জানানো হয়। আগামী জুনে ২০২১-২২ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটকে সামনে রেখে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) এর সাথে যৌথভাবে এই ভার্চুয়াল গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে ভিসিপিয়াব। গোলটেবিলে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। বিএসইসি কমিশনার প্রফেসর ড. শেখ সামছুদ্দিন আহমেদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু ফরাহ মো. নাছের। ভিসিপিয়াব সভাপতি শামীম আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান আরিফ খান। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) এর সাধারণ সম্পাদক মুনির হোসেন। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি বলেন, ‘সরকার ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ও স্টার্টআপ খাতকে সহযোগিতা করছে এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা, বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মিলে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা যৌথভাবে এমন পরিবেশ তৈরির পরিকল্পনা করছি যেখানে স্টার্টআপগুলো সত্যিকারভাবে টিকে থাকতে পারে এবং দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, স্টার্টআপে বিনিয়োগ বাড়াতে ও যথাযথ নিয়মে শেয়ার বাজারে স্টার্টআপগুলোকে আনতে আমরা প্রতিনিয়তই নতুন আইন ও নীতিমালা বাস্তবায়ন করছি। প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে স্টার্টআপগুলো উদ্ভাবনী ব্যবসায়িক মডেল ব্যবহার করে। ভিসিপিয়াব সভাপতি শামীম আহসান বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আগামী ১৫ বছরে বিশ্বের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান ইমপ্যাক্ট তৈরিকারী ব্যবসায় উদ্যোগী হবে এবং বিশ্বের অধিকাংশ জনগণ এসব কোম্পানি থেকেই পণ্য ও সেবা গ্রহণ করবেন। এটি আমাদেরকে কোভিড-১৯ এর মতো মহামারিতে কম ক্ষতিগ্রস্ত হতে এবং একটি স্থিতিশীল অর্থনীতি তৈরিতে সহায়তা করবে। বিএসইসি কমিশনার প্রফেসর ড. শেখ সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের অর্থনীতিতে নতুন স্টার্টআপ ব্যবসা তৈরিতে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। স্টার্টআপগুলোকে শুধুমাত্র যেসব শহরে প্রযুক্তির সমৃদ্ধি রয়েছে সেসব শহর আর উচ্চশিক্ষিত ও সুবিধাপ্রাপ্ত শ্রেণির কাছে সেবা পৌঁছালে হবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ফরাহ মো. নাছের বলেন, স্টার্টআপ এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটালকে বর্তমান নীতিমালার অধীনে সম্ভব সর্বোচ্চ পরিমাণ সহায়তা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরইমধ্যে ঋণ সুবিধার জন্য বাজারে চাহিদা তৈরি হয়েছে এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ও স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে ব্যাংকিং খাতকে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে হবে। শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান আরিফ খান বলেন, আজকের স্টার্টআপগুলোই বাংলাদেশে আগামী দশকের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ সরকার প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছে।
ঈদের আগে বাড়ছে না স্বর্ণের দাম
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্ববাজারে দাম বাড়লেও ঈদের আগে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়বে না। তবে বিশ্ববাজারে দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকলে ঈদের পর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হবে বলে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা নিশ্চিত করেন। বাংলাদেশ বাজারে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের এই সমিতি। বিশ্ববাজারে দাম ওঠা-নামার ওপর নির্ভর করে এই দেশে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়। বিশ্ববাজারে স্বর্ণ বড় দরপতনের মধ্যে পড়ায় গত মার্চে দেশের বাজারে দুই দফা স্বর্ণের দাম কমানো হয়। দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানোর পর ইতোমধ্যে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১০০ ডলারের উপরে বেড়ে গেছে। এ হিসাবে বাজুস চাইলে এখনই ভরিতে স্বর্ণের দাম পাঁচ হাজার টাকা বাড়িয়ে দিতে পারে। সর্বশেষ গত ১০ মার্চ ভরিতে স্বর্ণের দাম ২০৪১ টাকা কমায় বাজুস। ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত বাজুসের কার্যনির্বাহী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১০ মার্চ থেকে ভালো মানের, অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতিভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৪১ টাকা কমিয়ে ৬৯ হাজার ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬৫ হাজার ৯৬০ টাকা, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ৫৭ হাজার ২১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতিভরি স্বর্ণ ৪৬ হাজার ৮৯০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে দেশের বাজারে এ দামেই স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে। দেশের বাজারে যখন স্বর্ণের এই দাম নির্ধারণ করা হয়, তখন বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল ১৭০০ ডলারের কাছাকাছি। ইতোমধ্যে তা বেড়ে প্রায় সাড়ে ১ হাজার ৮০০ ডলারের কাছাকাছি চলে এসেছে।
বিশ্ববাজারে দাম বাড়ার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ স্বর্ণের দাম বাড়বে কিনা জানতে চাইলে বাজুস সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, ‘আমরা সবসময় বিশ্ববাজারের সঙ্গে আপডেট থেকেছি। বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়া বা কমার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেশের বাজারে দাম সমন্বয় করা হয়েছে। গত মার্চেই দেশের বাজারে দুই দফা স্বর্ণের দাম কমানো হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা দাম কমানোর পর বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বেড়ে গেছে। তবে ক্রেতাদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে আমরা ঈদের আগে স্বর্ণের দাম না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অবশ্য এখন বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ার যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তা অব্যাহত থাকলে ঈদের পর স্বর্ণের দাম বাড়ানো হবে।’ তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে স্বর্ণের দামে বড় পতন হয়। ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ কমে। ফেব্রুয়ারির পতনের ধারা মার্চ মাসের শুরুতেও দেখা যায়। মার্চের প্রথম সপ্তাহে বিশ্ব বাজারে স্বর্ণের দাম কমে ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এই টানা পতনে স্বর্ণের দাম ৯ মাসের মধ্যে সর্বনি¤œ পর্যায়ে চলে যায়। বিশ্ববাজারে বড় পতন হওয়ায় ৩ মার্চ দেশের বাজারে ভরিতে স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৫১৬ টাকা এবং ১০ মার্চ ২ হাজার ৪১ টাকা কমায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি। তার আগে চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি ভরিতে স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৯৮৩ টাকা কমানো হয়। সে হিসাবে চলতি বছরে তিন ধাপে দেশের বাজারে ভরিতে স্বর্ণের দাম ৫ হাজার ৫৪০ টাকা কমেছে। স্বর্ণের দাম কমলেও রুপার পূর্বনির্ধারিত দাম বহাল রয়েছে। ক্যাটাগরি অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫১৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের রুপার দাম ১ হাজার ৪৩৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১২২৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ৯৩৩ টাকা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পলিসি সহায়তা ও ট্যাক্স ছাড় চাইলো ভিসিপিয়াব

আপডেট সময় : ০১:৫৫:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মে ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : মহামারি পরবর্তী পরিস্থিতি থেকে কাটিয়ে উঠতে এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ও স্টার্টআপের জন্য বিনিয়োগ ও অ্যাক্সেস টু ফিন্যান্স ত্বরান্বিত করতে অল্টারনেটিভ ফান্ড ম্যানেজারদের জন্য ট্যাক্স অব্যহতি এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক বিনিয়োগে ফান্ড অব ফান্ড তৈরির আহ্বান জানিয়েছে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড প্রাইভেট ইক্যুইটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ভিসিপিয়াব)। বৃহস্পতিবার সংগঠনটি আয়োজিত ‘ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড স্টার্টআপস ফর এ পোস্ট-কোভিড রেসিলিয়েন্ট ইকোনমি’ শীর্ষক ভার্চুয়াল গোলটেবিল আলোচনায় এই আহ্বান জানানো হয়। আগামী জুনে ২০২১-২২ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটকে সামনে রেখে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) এর সাথে যৌথভাবে এই ভার্চুয়াল গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে ভিসিপিয়াব। গোলটেবিলে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। বিএসইসি কমিশনার প্রফেসর ড. শেখ সামছুদ্দিন আহমেদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু ফরাহ মো. নাছের। ভিসিপিয়াব সভাপতি শামীম আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান আরিফ খান। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) এর সাধারণ সম্পাদক মুনির হোসেন। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি বলেন, ‘সরকার ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ও স্টার্টআপ খাতকে সহযোগিতা করছে এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা, বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মিলে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা যৌথভাবে এমন পরিবেশ তৈরির পরিকল্পনা করছি যেখানে স্টার্টআপগুলো সত্যিকারভাবে টিকে থাকতে পারে এবং দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, স্টার্টআপে বিনিয়োগ বাড়াতে ও যথাযথ নিয়মে শেয়ার বাজারে স্টার্টআপগুলোকে আনতে আমরা প্রতিনিয়তই নতুন আইন ও নীতিমালা বাস্তবায়ন করছি। প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে স্টার্টআপগুলো উদ্ভাবনী ব্যবসায়িক মডেল ব্যবহার করে। ভিসিপিয়াব সভাপতি শামীম আহসান বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আগামী ১৫ বছরে বিশ্বের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান ইমপ্যাক্ট তৈরিকারী ব্যবসায় উদ্যোগী হবে এবং বিশ্বের অধিকাংশ জনগণ এসব কোম্পানি থেকেই পণ্য ও সেবা গ্রহণ করবেন। এটি আমাদেরকে কোভিড-১৯ এর মতো মহামারিতে কম ক্ষতিগ্রস্ত হতে এবং একটি স্থিতিশীল অর্থনীতি তৈরিতে সহায়তা করবে। বিএসইসি কমিশনার প্রফেসর ড. শেখ সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের অর্থনীতিতে নতুন স্টার্টআপ ব্যবসা তৈরিতে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। স্টার্টআপগুলোকে শুধুমাত্র যেসব শহরে প্রযুক্তির সমৃদ্ধি রয়েছে সেসব শহর আর উচ্চশিক্ষিত ও সুবিধাপ্রাপ্ত শ্রেণির কাছে সেবা পৌঁছালে হবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ফরাহ মো. নাছের বলেন, স্টার্টআপ এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটালকে বর্তমান নীতিমালার অধীনে সম্ভব সর্বোচ্চ পরিমাণ সহায়তা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরইমধ্যে ঋণ সুবিধার জন্য বাজারে চাহিদা তৈরি হয়েছে এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ও স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে ব্যাংকিং খাতকে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে হবে। শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান আরিফ খান বলেন, আজকের স্টার্টআপগুলোই বাংলাদেশে আগামী দশকের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ সরকার প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছে।
ঈদের আগে বাড়ছে না স্বর্ণের দাম
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্ববাজারে দাম বাড়লেও ঈদের আগে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়বে না। তবে বিশ্ববাজারে দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকলে ঈদের পর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হবে বলে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা নিশ্চিত করেন। বাংলাদেশ বাজারে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের এই সমিতি। বিশ্ববাজারে দাম ওঠা-নামার ওপর নির্ভর করে এই দেশে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়। বিশ্ববাজারে স্বর্ণ বড় দরপতনের মধ্যে পড়ায় গত মার্চে দেশের বাজারে দুই দফা স্বর্ণের দাম কমানো হয়। দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানোর পর ইতোমধ্যে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১০০ ডলারের উপরে বেড়ে গেছে। এ হিসাবে বাজুস চাইলে এখনই ভরিতে স্বর্ণের দাম পাঁচ হাজার টাকা বাড়িয়ে দিতে পারে। সর্বশেষ গত ১০ মার্চ ভরিতে স্বর্ণের দাম ২০৪১ টাকা কমায় বাজুস। ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত বাজুসের কার্যনির্বাহী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১০ মার্চ থেকে ভালো মানের, অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতিভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৪১ টাকা কমিয়ে ৬৯ হাজার ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬৫ হাজার ৯৬০ টাকা, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ৫৭ হাজার ২১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতিভরি স্বর্ণ ৪৬ হাজার ৮৯০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে দেশের বাজারে এ দামেই স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে। দেশের বাজারে যখন স্বর্ণের এই দাম নির্ধারণ করা হয়, তখন বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল ১৭০০ ডলারের কাছাকাছি। ইতোমধ্যে তা বেড়ে প্রায় সাড়ে ১ হাজার ৮০০ ডলারের কাছাকাছি চলে এসেছে।
বিশ্ববাজারে দাম বাড়ার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ স্বর্ণের দাম বাড়বে কিনা জানতে চাইলে বাজুস সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, ‘আমরা সবসময় বিশ্ববাজারের সঙ্গে আপডেট থেকেছি। বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়া বা কমার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেশের বাজারে দাম সমন্বয় করা হয়েছে। গত মার্চেই দেশের বাজারে দুই দফা স্বর্ণের দাম কমানো হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা দাম কমানোর পর বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বেড়ে গেছে। তবে ক্রেতাদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে আমরা ঈদের আগে স্বর্ণের দাম না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অবশ্য এখন বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ার যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তা অব্যাহত থাকলে ঈদের পর স্বর্ণের দাম বাড়ানো হবে।’ তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে স্বর্ণের দামে বড় পতন হয়। ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ কমে। ফেব্রুয়ারির পতনের ধারা মার্চ মাসের শুরুতেও দেখা যায়। মার্চের প্রথম সপ্তাহে বিশ্ব বাজারে স্বর্ণের দাম কমে ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এই টানা পতনে স্বর্ণের দাম ৯ মাসের মধ্যে সর্বনি¤œ পর্যায়ে চলে যায়। বিশ্ববাজারে বড় পতন হওয়ায় ৩ মার্চ দেশের বাজারে ভরিতে স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৫১৬ টাকা এবং ১০ মার্চ ২ হাজার ৪১ টাকা কমায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি। তার আগে চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি ভরিতে স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৯৮৩ টাকা কমানো হয়। সে হিসাবে চলতি বছরে তিন ধাপে দেশের বাজারে ভরিতে স্বর্ণের দাম ৫ হাজার ৫৪০ টাকা কমেছে। স্বর্ণের দাম কমলেও রুপার পূর্বনির্ধারিত দাম বহাল রয়েছে। ক্যাটাগরি অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫১৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের রুপার দাম ১ হাজার ৪৩৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১২২৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ৯৩৩ টাকা।