ঢাকা ০৯:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

পলাতক মেজর জিয়াসহ পাঁচজনের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ

  • আপডেট সময় : ০২:১১:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৯৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ব্লগার নাজিম উদ্দিন সামাদ হত্যা মামলায় পলাতক সৈয়দ মোহাম্মাদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া (চাকরিচ্যুত)-সহ পাঁচজনের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
গতকাল বুধবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ৩০ মার্চ এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করেন আদালত। আসামিরা পলাতক আছেন বলে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল হওয়ায় এই আদেশ দেন আদালত।
সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ হওয়া অপর চার আসামি হলেন আকরাম হোসেন, মো. ওয়ালিউল্লাহ ওরফে ওলি ওরফে তাহেব ওরফে তাহসিন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক ও মাওলানা জুনেদ আহাম্মেদ ওরফে সাব্বির ওরফে জুনায়েদ ওরফে তাহের। এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি মেজর জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নেন আদালত। পাঁচ আসামি পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। মামলার অপর চার আসামি রশিদুন নবী ভূইয়া ওরফে টিপু ওরফে রাসেল ওরফে রফিক ওরফে রায়হান, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, মো. আরাফাত রহমান ও মো. শেখ আব্দুল্লাহ কারাগারে রয়েছেন। ২০২০ সালের ২০ আগস্ট বহিষ্কৃত মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউল হক জিয়াসহ নয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট। নিহত নাজিম উদ্দিনের বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজারের টুক ভরাউট গ্রামে। তিনি সিলেট শহরের দরগার গেট আম্মারখানা এলাকার মেসে থেকে পড়াশোনা করতেন। ২০১০ সালের দিকে সিলেটের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক পাস করেন। নাজিম উদ্দীন ফেসবুকে ধর্মবিরোধী লেখালেখি করতেন। ২০১০ সালে ব্লগার নিলয় নীল হত্যার পর সিলেটের আম্মার এলাকায় চা খাওয়ার সময় নাজিম উদ্দীনকে আক্রমণের জন্য আসামিদের কয়েকজন অনুসরণ করে। পরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হন নাজিম উদ্দীন। পূর্ব পরিকল্পনা মতে এই আসামিরা ২০১৬ সালের ৫ এপ্রিল রাত সোয়া ৮টার দিকে সূত্রাপুর থানাধীন একরামপুর মাড়ে খুন করে নাজিম উদ্দিনকে। নিহত নাজিমউদ্দিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সান্ধ্যকালীন কোর্সের স্নাতকোত্ত শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব পরিষদের সিলেট জেলা শাখার তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ছিলেন। তিনি লক্ষ্মীবাজারের কাছের একটি মেসে থাকতেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পলাতক মেজর জিয়াসহ পাঁচজনের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ

আপডেট সময় : ০২:১১:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ব্লগার নাজিম উদ্দিন সামাদ হত্যা মামলায় পলাতক সৈয়দ মোহাম্মাদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া (চাকরিচ্যুত)-সহ পাঁচজনের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
গতকাল বুধবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ৩০ মার্চ এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করেন আদালত। আসামিরা পলাতক আছেন বলে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল হওয়ায় এই আদেশ দেন আদালত।
সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ হওয়া অপর চার আসামি হলেন আকরাম হোসেন, মো. ওয়ালিউল্লাহ ওরফে ওলি ওরফে তাহেব ওরফে তাহসিন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক ও মাওলানা জুনেদ আহাম্মেদ ওরফে সাব্বির ওরফে জুনায়েদ ওরফে তাহের। এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি মেজর জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নেন আদালত। পাঁচ আসামি পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। মামলার অপর চার আসামি রশিদুন নবী ভূইয়া ওরফে টিপু ওরফে রাসেল ওরফে রফিক ওরফে রায়হান, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, মো. আরাফাত রহমান ও মো. শেখ আব্দুল্লাহ কারাগারে রয়েছেন। ২০২০ সালের ২০ আগস্ট বহিষ্কৃত মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউল হক জিয়াসহ নয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট। নিহত নাজিম উদ্দিনের বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজারের টুক ভরাউট গ্রামে। তিনি সিলেট শহরের দরগার গেট আম্মারখানা এলাকার মেসে থেকে পড়াশোনা করতেন। ২০১০ সালের দিকে সিলেটের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক পাস করেন। নাজিম উদ্দীন ফেসবুকে ধর্মবিরোধী লেখালেখি করতেন। ২০১০ সালে ব্লগার নিলয় নীল হত্যার পর সিলেটের আম্মার এলাকায় চা খাওয়ার সময় নাজিম উদ্দীনকে আক্রমণের জন্য আসামিদের কয়েকজন অনুসরণ করে। পরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হন নাজিম উদ্দীন। পূর্ব পরিকল্পনা মতে এই আসামিরা ২০১৬ সালের ৫ এপ্রিল রাত সোয়া ৮টার দিকে সূত্রাপুর থানাধীন একরামপুর মাড়ে খুন করে নাজিম উদ্দিনকে। নিহত নাজিমউদ্দিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সান্ধ্যকালীন কোর্সের স্নাতকোত্ত শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব পরিষদের সিলেট জেলা শাখার তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ছিলেন। তিনি লক্ষ্মীবাজারের কাছের একটি মেসে থাকতেন।