ঢাকা ০৩:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ আছে : খাদ্যমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ১২:৫৮:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন ২০২১
  • ১০১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘অনেকেই মনে করেন, খাদ্যশষ্েযর মজুদ কমেছে। তাদের ধারণা ঠিক নয়। পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ আছে। মজুদ আরও বাড়ানো হবে।’ গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) খাদ্য ভবনের সভাকক্ষে ‘বরিশাল স্টিল সাইলো নির্মাণ ও অনলাইন ফুড স্টক মনিটরিং সিস্টেম ক্রয় চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নত বাংলাদেশ গঠনের যে কার্যক্রম চলছে, তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমকেও আধুনিক ও সময়োপয়োগী করা হচ্ছে। আঞ্চলিক খাদ্য কার্যালয়, জেলা কর্যালয়, উপজেলা কর্যালয়সহ খাদ্য গুদামগুলো অনলাইন মনিটরিংয়ের আওতায় আসলে খাদ্য বিভাগের কার্যক্রমে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘২০২৫ সালের মধ্যে খাদ্যের মজুদ যাতে বেশি করা যায়, সে লক্ষ্যে স্টিল সাইলো নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ময়মনসিংহ, আশুগঞ্জ ও মধুপুর সাইলোর নির্মাণ কাজ শেষের পথে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এগুলো হস্তান্তর হবে। আরও পাঁচটি স্টিল সাইলো নির্মাণের কাজ শিগগিরই শুরু হবে। এসব সাইলোতে কীটনাশক ব্যবহার না করে অত্যাধুনিক কুলিং সিস্টেমে খাদ্যশস্য সংরক্ষণ করা হবে। এতে দুই বছর পর্যন্ত খাদ্যশস্যের পুষ্টিমান অক্ষুণœ থাকবে।’
খাদ্যমন্ত্রী জানান, ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’ এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে খাদ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে। কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সারা দেশে ২০০ পেডি সাইলো নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। সম্প্রতি ৩০টির অনুমোদন পাওয়া গেছে। এগুলো নির্মাণ করা হলে প্রান্তিক কৃষক সহজেই ধান সরবরাহ করতে পারবেন। ২৪ শতাংশ ময়েশ্চারাইজার থাকলেও কৃষকের ধান নেওয়া সম্ভব হবে। স্টিল সাইলোতে পরে সে ধান প্রক্রিয়াকরণ করে উন্নত চাল পাওয়া সম্ভব হবে। খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম। আরও বক্তব্য রাখেন বেক্সিমকো কম্পিউটার্স লিমিটেডের সিনিয়র অ্যাডভাইজর সামিরা জুবেরী হিমিকা ও কনফিডেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান ইকরাম উদ্দিন। পরে খাদ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে বেক্সিমকো কম্পিউটার্স লিমিটেডের চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এ চুক্তির আওতায় বেক্সিমকো কম্পিউটার্স খাদ্য অধিদপ্তরের ৬৪ জেলায় ১ হাজার ২০০ সাইটে অনলাইন কানেক্টিভিটি নিশ্চিত করবে। এর মাধ্যমে অনলাইন মনিটরিং সম্ভব হবে এবং খাদ্য অধিদপ্তরের ৩৫ হাজার জনবলকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আইটিতে দক্ষ করা হবে। অধিদপ্তরের সঙ্গে কনফিডেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ও জিএসআই ইউএসআএ জেভির চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ চুক্তির শর্ত অনুসারে তারা বরিশাল স্টিল সাইলো নির্মাণ করবে। ৪৮ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতার এ সাইলো মজুদ বৃদ্ধির পাশাপাশি খাদ্যের গুণগত মান ও পুষ্টি মান বজায় রাখতে ভূমিকা রাখবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ আছে : খাদ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১২:৫৮:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘অনেকেই মনে করেন, খাদ্যশষ্েযর মজুদ কমেছে। তাদের ধারণা ঠিক নয়। পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ আছে। মজুদ আরও বাড়ানো হবে।’ গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) খাদ্য ভবনের সভাকক্ষে ‘বরিশাল স্টিল সাইলো নির্মাণ ও অনলাইন ফুড স্টক মনিটরিং সিস্টেম ক্রয় চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নত বাংলাদেশ গঠনের যে কার্যক্রম চলছে, তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমকেও আধুনিক ও সময়োপয়োগী করা হচ্ছে। আঞ্চলিক খাদ্য কার্যালয়, জেলা কর্যালয়, উপজেলা কর্যালয়সহ খাদ্য গুদামগুলো অনলাইন মনিটরিংয়ের আওতায় আসলে খাদ্য বিভাগের কার্যক্রমে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘২০২৫ সালের মধ্যে খাদ্যের মজুদ যাতে বেশি করা যায়, সে লক্ষ্যে স্টিল সাইলো নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ময়মনসিংহ, আশুগঞ্জ ও মধুপুর সাইলোর নির্মাণ কাজ শেষের পথে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এগুলো হস্তান্তর হবে। আরও পাঁচটি স্টিল সাইলো নির্মাণের কাজ শিগগিরই শুরু হবে। এসব সাইলোতে কীটনাশক ব্যবহার না করে অত্যাধুনিক কুলিং সিস্টেমে খাদ্যশস্য সংরক্ষণ করা হবে। এতে দুই বছর পর্যন্ত খাদ্যশস্যের পুষ্টিমান অক্ষুণœ থাকবে।’
খাদ্যমন্ত্রী জানান, ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’ এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে খাদ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে। কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সারা দেশে ২০০ পেডি সাইলো নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। সম্প্রতি ৩০টির অনুমোদন পাওয়া গেছে। এগুলো নির্মাণ করা হলে প্রান্তিক কৃষক সহজেই ধান সরবরাহ করতে পারবেন। ২৪ শতাংশ ময়েশ্চারাইজার থাকলেও কৃষকের ধান নেওয়া সম্ভব হবে। স্টিল সাইলোতে পরে সে ধান প্রক্রিয়াকরণ করে উন্নত চাল পাওয়া সম্ভব হবে। খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম। আরও বক্তব্য রাখেন বেক্সিমকো কম্পিউটার্স লিমিটেডের সিনিয়র অ্যাডভাইজর সামিরা জুবেরী হিমিকা ও কনফিডেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান ইকরাম উদ্দিন। পরে খাদ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে বেক্সিমকো কম্পিউটার্স লিমিটেডের চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এ চুক্তির আওতায় বেক্সিমকো কম্পিউটার্স খাদ্য অধিদপ্তরের ৬৪ জেলায় ১ হাজার ২০০ সাইটে অনলাইন কানেক্টিভিটি নিশ্চিত করবে। এর মাধ্যমে অনলাইন মনিটরিং সম্ভব হবে এবং খাদ্য অধিদপ্তরের ৩৫ হাজার জনবলকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আইটিতে দক্ষ করা হবে। অধিদপ্তরের সঙ্গে কনফিডেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ও জিএসআই ইউএসআএ জেভির চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ চুক্তির শর্ত অনুসারে তারা বরিশাল স্টিল সাইলো নির্মাণ করবে। ৪৮ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতার এ সাইলো মজুদ বৃদ্ধির পাশাপাশি খাদ্যের গুণগত মান ও পুষ্টি মান বজায় রাখতে ভূমিকা রাখবে।