ঢাকা ০৬:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

পর্যটক শূন্য কুয়াকাটায় লোকসানে ব্যবসায়ীরা

  • আপডেট সময় : ০১:০১:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ এপ্রিল ২০২২
  • ৯২ বার পড়া হয়েছে

পটুয়াখালী সংবাদদাতা : চারদিকে সুনসান নীরবতা। নেই মানুষের কোলাহল। বন্ধ রয়েছে সব রেস্টুরেন্ট। খালি রয়েছে আবাসিক হোটেল মোটেলের রুম। প্রথম রমজান থেকেই পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের বেলাভূমি পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। এতে বড় লোকসানের মুখে পড়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তবে, ঈদের আগে পর্যটক বাড়ার আশা ব্যক্ত করেছেন তারা। তাই অনেকেই নতুন করে সাজাচ্ছেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এদিকে পর্যটক শূন্য থাকলেও সৈকত এলাকায় লক্ষ করা গেছে ট্যুরিস্ট পুলিশের টহল। সরেজমিনে দেখা গেছে, সৈকতের পূর্ব এবং পশ্চিম পাশের ফ্রাইয়ের দোকান, চটপটির দোকান এবং কসমেটিক্সের দোকানগুলোতে ঝুলছে তালা। সৈকতের ছাতা ও বেঞ্চ গুটিয়ে রেখেছে ব্যবসায়ীরা। চারদিকে তাকালে দেখা যায় মনে হয় জনমানবশূন্য এলাকা। তবে আগের থেকে বেড়েছে সমুদ্রের ঢেউয়ের গর্জন। ডানা মেলতে শুরু করেছে সৈকতের প্রকৃতি। ঈদের আগে যারা কুয়াকাটায় আসবেন, তারা গোছানো সৈকত মন ভোলানো প্রকৃতি উপভোগ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। কুয়াকাটা সৈকতের ফটোগ্রাফার রিয়ান মিয়া জানান, রমজান শুরুর পর থেকেই পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে কুয়াকাটা। এতে তাদের আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে অনেক কষ্টে দিন কাটছে। আচার ব্যবসায়ী সুলতান মিয়া বলেন, করোনায় বড় লোকসান হয়েছে। বর্তমানে পর্যটক না থাকায় আবার লোকসানের মুখে পড়েছি। বসিয়ে বসিয়ে কর্মচারীদের বেতন দিতে হচ্ছে। কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (কুটুম) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির বলেন, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসার পর জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত কুয়াকাটায় প্রচুর পর্যটক ছিল। রমজান শুরুর পর থেইে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে। এতে বেশির ভাগ লোকসানের মুখে পড়েছে সৈকতের ক্যামেরাম্যান, ছাতা ব্যবসায়ী ও চটপটি ব্যবসায়ীরা। তবে অনেক হোটেল ব্যবসায়ী ঈদকে সামনে রেখে নতুন করে তাদের প্রতিষ্ঠান সাজিয়ে তুলছেন। ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়া তুষার জানান, প্রতি বছরই রমজানের শুরুতে পর্যটক খুব কম থাকে। এবছর একেবারে নেই। ১৫ রমাজান থেকে আমাদের কিছু হোটেল মোটেল বুকিং রয়েছে। তবে ঈদের লম্বা ছুটি উপলক্ষে ইতোমধ্যে ভালো বুকিং পেতে শুরু করেছি। কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল খালেক বলেন, বর্তমানে পর্যটক না থাকলেও আমাদের পুলিশের টহল টিম মাঠে কাজ করছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পর্যটক শূন্য কুয়াকাটায় লোকসানে ব্যবসায়ীরা

আপডেট সময় : ০১:০১:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ এপ্রিল ২০২২

পটুয়াখালী সংবাদদাতা : চারদিকে সুনসান নীরবতা। নেই মানুষের কোলাহল। বন্ধ রয়েছে সব রেস্টুরেন্ট। খালি রয়েছে আবাসিক হোটেল মোটেলের রুম। প্রথম রমজান থেকেই পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের বেলাভূমি পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। এতে বড় লোকসানের মুখে পড়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তবে, ঈদের আগে পর্যটক বাড়ার আশা ব্যক্ত করেছেন তারা। তাই অনেকেই নতুন করে সাজাচ্ছেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এদিকে পর্যটক শূন্য থাকলেও সৈকত এলাকায় লক্ষ করা গেছে ট্যুরিস্ট পুলিশের টহল। সরেজমিনে দেখা গেছে, সৈকতের পূর্ব এবং পশ্চিম পাশের ফ্রাইয়ের দোকান, চটপটির দোকান এবং কসমেটিক্সের দোকানগুলোতে ঝুলছে তালা। সৈকতের ছাতা ও বেঞ্চ গুটিয়ে রেখেছে ব্যবসায়ীরা। চারদিকে তাকালে দেখা যায় মনে হয় জনমানবশূন্য এলাকা। তবে আগের থেকে বেড়েছে সমুদ্রের ঢেউয়ের গর্জন। ডানা মেলতে শুরু করেছে সৈকতের প্রকৃতি। ঈদের আগে যারা কুয়াকাটায় আসবেন, তারা গোছানো সৈকত মন ভোলানো প্রকৃতি উপভোগ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। কুয়াকাটা সৈকতের ফটোগ্রাফার রিয়ান মিয়া জানান, রমজান শুরুর পর থেকেই পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে কুয়াকাটা। এতে তাদের আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে অনেক কষ্টে দিন কাটছে। আচার ব্যবসায়ী সুলতান মিয়া বলেন, করোনায় বড় লোকসান হয়েছে। বর্তমানে পর্যটক না থাকায় আবার লোকসানের মুখে পড়েছি। বসিয়ে বসিয়ে কর্মচারীদের বেতন দিতে হচ্ছে। কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (কুটুম) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির বলেন, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসার পর জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত কুয়াকাটায় প্রচুর পর্যটক ছিল। রমজান শুরুর পর থেইে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে। এতে বেশির ভাগ লোকসানের মুখে পড়েছে সৈকতের ক্যামেরাম্যান, ছাতা ব্যবসায়ী ও চটপটি ব্যবসায়ীরা। তবে অনেক হোটেল ব্যবসায়ী ঈদকে সামনে রেখে নতুন করে তাদের প্রতিষ্ঠান সাজিয়ে তুলছেন। ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়া তুষার জানান, প্রতি বছরই রমজানের শুরুতে পর্যটক খুব কম থাকে। এবছর একেবারে নেই। ১৫ রমাজান থেকে আমাদের কিছু হোটেল মোটেল বুকিং রয়েছে। তবে ঈদের লম্বা ছুটি উপলক্ষে ইতোমধ্যে ভালো বুকিং পেতে শুরু করেছি। কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল খালেক বলেন, বর্তমানে পর্যটক না থাকলেও আমাদের পুলিশের টহল টিম মাঠে কাজ করছে।