বান্দরবান সংবাদদাতা : অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি পার্বত্য জেলা বান্দরবান থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন পর্যটকরা। ৫০ শতাংশ ছাড় দিয়েও পর্যটক টানতে পারছেন না হোটেল- মোটেল মালিকরা। বান্দরবানের ঝিরি ঝর্তা, সর্বোচ্চ পাহাড় কেওকারাডং-তাজিংডংসহ অসংখ্য পর্যটন কেন্দ্রের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য বিগত দিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর পর্যটকের আগমন ঘটলেও ইদানীং পর্যটকরা আসছেন না। জানা গেছে, বান্দরবানে হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির আওতাভুক্ত ৪৫টি হোটেল-মোটেল চালু রয়েছে। এসব হোটেলগুলোতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত পর্যটকদের জন্য ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হলেও কাঙ্ক্ষিত পর্যটক পাওয়া যাচ্ছে না। একই সমস্যায় পড়েছে বান্দরবানের পর্যটক সংশ্লিষ্ট পরিবহন সেক্টরও। হোটেল-মোটেলগুলোতে ভাড়ার তালিকা না থাকারও অভিযোগ রয়েছে। আশানুরূপ পর্যটকের আগমন না ঘটায় ব্যবসায় মন্দাভাব বিরাজ করছে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন হোটেল ব্যবসায়ী। হোটেল আরণ্যের মালিক জসিম উদ্দীন বলেন, আমাদের হোটেলে পর্যটকদের সুবিধার্থে রুম ভাড়ার তালিকা টাঙানো আছে। আমরা বান্দরবানে ঘুরতে আসা পর্যটকদের পর্যাপ্ত সেবা দেওয়ার চেষ্টা করি। তবে সম্প্রতি বিভিন্ন কারণে পর্যটন ব্যবসা তেমন ভালো যাচ্ছে না। রুম ভাড়ায় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ছাড় দিলেও আগের মতো পর্যটক পাওয়া যাচ্ছে না। বান্দরবান হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি অমল কান্তি দাশ বলেন, আমাদের বান্দরবানে সিজনে পর্যটকদের ভিড় থাকে। আবার অনেক সময় কয়েক মাস পর্যটক পাওয়া যায় না, তখন হোটেল ম্যানেজার-কর্মচারীদের অলস সময় কাটাতে হয়। তিনি বলেন, হোটেলে ভাড়ার তালিকা না টাঙানোর বিষয়টি অবিশ্বাস্য নয়, এটি কর্মচারীর কারণে হতে পারে। তবে হোটেলে রুম ভাড়ার তালিকা না টাঙানোর ব্যাপারে আমরা জানার পর গত সপ্তাহে মিটিং করেছি। মিটিং করে সকল হোটেল মালিকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে রিসিপশনে ভাড়ার তালিকা টাঙানোর জন্য। দু-একদিনের মধ্যে এটি কার্যকর করার কথা রয়েছে। অমল কান্তি দাশ বলেন, হোটেল মালিকদের কর্মচারীদের ওপর নির্ভর করতে হয়। তারা অনেক সময় ভুলও করতে পারেন। তবে আমরা সরকারের নিয়মনীতির বাইরে যেতে চাই না। সেভাবেই আমরা নির্দেশনা দিচ্ছি।