ঢাকা ০৬:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫

পর্তুগালে চলতি মাসেই নতুন সরকার গঠন

  • আপডেট সময় : ০৯:২০:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৯৪ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পর্তুগালের মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে রোববার (৩০ জানুয়ারি)। নির্বাচনে জয়লাভ করেন বর্তমান ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী এন্তোনিয় কোস্তার সোশালিস্ট পার্টি (পিএস), জয়ী নির্বাচনী সংসদীয় আসন সংখ্যা ১১৭টি ও প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা শতকরা ৪১.৭ শতাংশ।
দ্বিতীয় অবস্থানে সোশ্যাল ডেমোক্রেট পার্টি (পিএসডি), জয়ী নির্বাচনী সংসদীয় আসন সংখ্যা ৭৬টি ও প্রাপ্ত ভোট শতকরা ২৭.৯ শতাংশ।
পর্তুগাল সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, নির্বাচনীয় আসনের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে। সে অনুযায়ী নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনো দল যদি সর্বমোট ২৩০টি সংসদীয় বা নির্বাচনী আসনের মধ্যে ১১৬টি নির্বাচনী আসনের ফলাফলে জয়ী হয়ে থাকেন, সে দল এককভাবে সরকার গঠন করতে পারে।
অন্যথায় রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে যৌথভাবে সরকার গঠন করতে হবে। যদিও এবারের এই মধ্যবর্তী নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার পূর্বে যৌথভাবে সরকার গঠনের অনেক জল্পনা-কল্পনা ছিল। তবে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফলে ক্ষমতাসীনরাই ১১৭টি আসনে জয়লাভ করে এককভাবে সরকার গঠনের পথ সুগম করেন। পর্তুগিজ প্রজাতন্ত্রের সংবিধানের ১৮৭ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের নির্বাচনের প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে জয়ী দলগুলোর কথা শোনার পর ‘প্রধানমন্ত্রী’ প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হন, অর্থাৎ পর্তুগালে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন দেশটির বর্তমান রাষ্ট্রপতি।
সে অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী এন্তোনিয় কোস্তা চলতি মাসের ২২ এবং ২৩ তারিখের মধ্যে প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতির কাছে তার ভবিষ্যত সরকারের নাম উপস্থাপন করার পরিকল্পনা করেছেন এবং সংসদীয় কার্যকারী নির্বাহী পরিষদ এই মাসের ২৩ তারিখ থেকে ২৪ তারিখের মধ্যে শপথ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আন্তোনিয় কোস্তার নেতৃত্বে তৃতীয় মেয়াদে/কার্যনির্বাহীতে নিরাপদ বলে বিবেচিত এমন নামগুলো সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদের পরে একটি তারিখ নির্ধারণ করা হবে। এই বিষয়ে এন্তোনিয় কোস্তা বলেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য একটি অফিসিয়াল মিটিংয়ের আহ্বান করা না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের সব পরিকল্পনাই জল্পনা কল্পনা’। কারণ সরকার গঠনের জন্য প্রস্তাবিত নামগুলোতে রয়েছে নানান তর্ক-বিতর্ক তাই চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের দিকেই সবার নজর।
গত বুধবার, রাষ্ট্রপ্রতি মার্সেলোর একটি অফিসিয়াল নোটে ঘোষণা করেন, গত ৩০ জানুয়ারি বিধানসভার নির্বাচনের পরে সাংবিধানিক শর্তে, জয়ী রাজনৈতিক দলগুলো প্রজাতন্ত্রের নতুন অ্যাসেম্বলিতে প্রতিনিধিত্ব করে তাই পিএস-এর সেক্রেটারি জেনারেল ড. আন্তোনিয় কোস্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল।
তাতে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী নতুনভাবে গঠন করতে যাওয়া সাংবিধানিক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ পাওয়ার ব্যাপারে তার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। যা ইউরোপ এবং ইউরোপের বাইরের নির্বাচনী এলাকাগুলোর সর্বশেষ ভোট গণনার পরে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে এবং সে অনুযায়ী নতুন সরকার গঠন করার জন্য আহ্বান করা হবে।
এছাড়াও গত মঙ্গলবার, আন্তোনিয় কোস্তা করোনাভাইরাসে পজিটিভ হয়ে সাতদিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে আছেন, যার কারণে নির্বাচনে জয় লাভের পর তিনি পালাসিও দে বেলেমে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতে মিলিত হতে পারেননি। তবে সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি মাসের শেষের দিকে শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়েই গঠিত হতে যাচ্ছে সোশালিস্টদের নতুন সরকার।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আচরণবিধি লংঘন করে শাস্তি পেলেন দক্ষিণ আফ্রিকান অলরাউন্ডার

পর্তুগালে চলতি মাসেই নতুন সরকার গঠন

আপডেট সময় : ০৯:২০:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পর্তুগালের মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে রোববার (৩০ জানুয়ারি)। নির্বাচনে জয়লাভ করেন বর্তমান ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী এন্তোনিয় কোস্তার সোশালিস্ট পার্টি (পিএস), জয়ী নির্বাচনী সংসদীয় আসন সংখ্যা ১১৭টি ও প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা শতকরা ৪১.৭ শতাংশ।
দ্বিতীয় অবস্থানে সোশ্যাল ডেমোক্রেট পার্টি (পিএসডি), জয়ী নির্বাচনী সংসদীয় আসন সংখ্যা ৭৬টি ও প্রাপ্ত ভোট শতকরা ২৭.৯ শতাংশ।
পর্তুগাল সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, নির্বাচনীয় আসনের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে। সে অনুযায়ী নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনো দল যদি সর্বমোট ২৩০টি সংসদীয় বা নির্বাচনী আসনের মধ্যে ১১৬টি নির্বাচনী আসনের ফলাফলে জয়ী হয়ে থাকেন, সে দল এককভাবে সরকার গঠন করতে পারে।
অন্যথায় রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে যৌথভাবে সরকার গঠন করতে হবে। যদিও এবারের এই মধ্যবর্তী নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার পূর্বে যৌথভাবে সরকার গঠনের অনেক জল্পনা-কল্পনা ছিল। তবে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফলে ক্ষমতাসীনরাই ১১৭টি আসনে জয়লাভ করে এককভাবে সরকার গঠনের পথ সুগম করেন। পর্তুগিজ প্রজাতন্ত্রের সংবিধানের ১৮৭ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের নির্বাচনের প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে জয়ী দলগুলোর কথা শোনার পর ‘প্রধানমন্ত্রী’ প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হন, অর্থাৎ পর্তুগালে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন দেশটির বর্তমান রাষ্ট্রপতি।
সে অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী এন্তোনিয় কোস্তা চলতি মাসের ২২ এবং ২৩ তারিখের মধ্যে প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতির কাছে তার ভবিষ্যত সরকারের নাম উপস্থাপন করার পরিকল্পনা করেছেন এবং সংসদীয় কার্যকারী নির্বাহী পরিষদ এই মাসের ২৩ তারিখ থেকে ২৪ তারিখের মধ্যে শপথ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আন্তোনিয় কোস্তার নেতৃত্বে তৃতীয় মেয়াদে/কার্যনির্বাহীতে নিরাপদ বলে বিবেচিত এমন নামগুলো সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদের পরে একটি তারিখ নির্ধারণ করা হবে। এই বিষয়ে এন্তোনিয় কোস্তা বলেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য একটি অফিসিয়াল মিটিংয়ের আহ্বান করা না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের সব পরিকল্পনাই জল্পনা কল্পনা’। কারণ সরকার গঠনের জন্য প্রস্তাবিত নামগুলোতে রয়েছে নানান তর্ক-বিতর্ক তাই চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের দিকেই সবার নজর।
গত বুধবার, রাষ্ট্রপ্রতি মার্সেলোর একটি অফিসিয়াল নোটে ঘোষণা করেন, গত ৩০ জানুয়ারি বিধানসভার নির্বাচনের পরে সাংবিধানিক শর্তে, জয়ী রাজনৈতিক দলগুলো প্রজাতন্ত্রের নতুন অ্যাসেম্বলিতে প্রতিনিধিত্ব করে তাই পিএস-এর সেক্রেটারি জেনারেল ড. আন্তোনিয় কোস্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল।
তাতে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী নতুনভাবে গঠন করতে যাওয়া সাংবিধানিক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ পাওয়ার ব্যাপারে তার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। যা ইউরোপ এবং ইউরোপের বাইরের নির্বাচনী এলাকাগুলোর সর্বশেষ ভোট গণনার পরে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে এবং সে অনুযায়ী নতুন সরকার গঠন করার জন্য আহ্বান করা হবে।
এছাড়াও গত মঙ্গলবার, আন্তোনিয় কোস্তা করোনাভাইরাসে পজিটিভ হয়ে সাতদিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে আছেন, যার কারণে নির্বাচনে জয় লাভের পর তিনি পালাসিও দে বেলেমে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতে মিলিত হতে পারেননি। তবে সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি মাসের শেষের দিকে শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়েই গঠিত হতে যাচ্ছে সোশালিস্টদের নতুন সরকার।