ঢাকা ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

পরের যুদ্ধ তাইওয়ানে, বাইডেন আটকাতে পারবেন না : ট্রাম্প

  • আপডেট সময় : ১১:৫০:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ ২০২২
  • ৮৭ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, রাশিয়া এখন যেমন ইউক্রেনে হামলা চালাচ্ছে, ঠিক সেভাবে চীনও আক্রমণ করবে তাইওয়ানকে। খুব শীঘ্রই সেই যুদ্ধ বাধতে চলেছে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে সতর্ক করে এ মন্তব্য ট্রাম্পের। একইসঙ্গে তার ভবিষ্যদ্বাণী, ইউক্রেনে যেমন বাইডেন প্রশাসন যুদ্ধ আটকাতে পারেনি, ঠিক তেমনই তাইওয়ানকেও বাঁচাতে ব্যর্থ হবে তারা। বৃহস্পতিবার (০৩ মার্চ) রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের এক সপ্তাহ সম্পূর্ণ হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর ক্রমাগত প্রতিরোধে এখনও রাজধানী কিয়েভের দখল নিতে পারেনি রাশিয়া। আর যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধে সাহায্য না করলেও ইউক্রেনের জন্য অস্ত্রশস্ত্রের পাশাপাশি আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে বর্তমান বাইডেন প্রশাসনের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেন, শি (চিনফিং) এখন রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ দেখে মজা নিচ্ছেন আর ভাবছেন যুক্তরাষ্ট্র কী বোকা। আমি নিশ্চিত এ সব দেখে তাইওয়ানে হামলার পরিকল্পনা করছে তারা। চীনের মূল ভূখ- থেকে বিচ্ছিন্ন দক্ষিণ চীন সমুদ্রের দ্বীপ তাইওয়ান নিজেদের স্বায়ত্বশাসিত রাষ্ট্র বলে দাবি করে। অন্যদিকে, চীন সরকার মনে করে তাইওয়ান তাদের অঙ্গ। বহু বার নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করতে চাইলেও তাদের দাবি বারবার প্রতিহত করেছে চীন। তবে তাইওয়ানের স্বাধীন হওয়ার ইচ্ছে দমিয়ে রাখতে পারেনি দেশটি। ১৯৭৯ সালে একটি আইনের মাধ্যমে তাইওয়ানকে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের প্রযতেœ আনা হয়। বাইডেন প্রশাসনের ব্যর্থতার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সেই দায়িত্বের কথা টেনে আনলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ইউক্রেনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সফল হলেই চীন তাইওয়ানে হামলা চালাবে। তখনও এমনই হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন বাইডেন।
ট্রাম্পের ভাষ্য, তিনি যদি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতেন তবে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধই হত না। তার যুক্তি, পুতিন তার সঙ্গে এমন করতেই পারতেন না। এর আগেও যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহলে রাশিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের বন্ধুত্ব সমালোচিত হয়েছে। সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীনও ট্রাম্প একবার পুতিনের পক্ষে কথা বলেছেন। এরপর তার সমালোচনা শুরু হয়। তারপর অবশ্য ট্রাম্প সেই ভুল আর করেননি। গত দু’দিন ধরেই পুতিনের পক্ষে মন্তব্য করার বদলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির প্রশংসা করেছেন ট্রাম্প।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনবহুল এলাকায় যুদ্ধবিমানের প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন

পরের যুদ্ধ তাইওয়ানে, বাইডেন আটকাতে পারবেন না : ট্রাম্প

আপডেট সময় : ১১:৫০:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, রাশিয়া এখন যেমন ইউক্রেনে হামলা চালাচ্ছে, ঠিক সেভাবে চীনও আক্রমণ করবে তাইওয়ানকে। খুব শীঘ্রই সেই যুদ্ধ বাধতে চলেছে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে সতর্ক করে এ মন্তব্য ট্রাম্পের। একইসঙ্গে তার ভবিষ্যদ্বাণী, ইউক্রেনে যেমন বাইডেন প্রশাসন যুদ্ধ আটকাতে পারেনি, ঠিক তেমনই তাইওয়ানকেও বাঁচাতে ব্যর্থ হবে তারা। বৃহস্পতিবার (০৩ মার্চ) রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের এক সপ্তাহ সম্পূর্ণ হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর ক্রমাগত প্রতিরোধে এখনও রাজধানী কিয়েভের দখল নিতে পারেনি রাশিয়া। আর যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধে সাহায্য না করলেও ইউক্রেনের জন্য অস্ত্রশস্ত্রের পাশাপাশি আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে বর্তমান বাইডেন প্রশাসনের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেন, শি (চিনফিং) এখন রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ দেখে মজা নিচ্ছেন আর ভাবছেন যুক্তরাষ্ট্র কী বোকা। আমি নিশ্চিত এ সব দেখে তাইওয়ানে হামলার পরিকল্পনা করছে তারা। চীনের মূল ভূখ- থেকে বিচ্ছিন্ন দক্ষিণ চীন সমুদ্রের দ্বীপ তাইওয়ান নিজেদের স্বায়ত্বশাসিত রাষ্ট্র বলে দাবি করে। অন্যদিকে, চীন সরকার মনে করে তাইওয়ান তাদের অঙ্গ। বহু বার নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করতে চাইলেও তাদের দাবি বারবার প্রতিহত করেছে চীন। তবে তাইওয়ানের স্বাধীন হওয়ার ইচ্ছে দমিয়ে রাখতে পারেনি দেশটি। ১৯৭৯ সালে একটি আইনের মাধ্যমে তাইওয়ানকে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের প্রযতেœ আনা হয়। বাইডেন প্রশাসনের ব্যর্থতার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সেই দায়িত্বের কথা টেনে আনলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ইউক্রেনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সফল হলেই চীন তাইওয়ানে হামলা চালাবে। তখনও এমনই হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন বাইডেন।
ট্রাম্পের ভাষ্য, তিনি যদি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতেন তবে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধই হত না। তার যুক্তি, পুতিন তার সঙ্গে এমন করতেই পারতেন না। এর আগেও যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহলে রাশিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের বন্ধুত্ব সমালোচিত হয়েছে। সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীনও ট্রাম্প একবার পুতিনের পক্ষে কথা বলেছেন। এরপর তার সমালোচনা শুরু হয়। তারপর অবশ্য ট্রাম্প সেই ভুল আর করেননি। গত দু’দিন ধরেই পুতিনের পক্ষে মন্তব্য করার বদলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির প্রশংসা করেছেন ট্রাম্প।