নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুসের কারখানায় অগ্নিকা-ে অর্ধশতাধিক শ্রমিক নিহত ও নিখোঁজের ঘটনায় সরকারি কল-কারখানা পরিদর্শন কমিটির দায়িত্বশীলদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন কয়েকজন রাজনীতিক। তারা মনে করেন, এতে করে দুর্ঘটনা কমে আসবে। একইসঙ্গে তারা পরিদর্শন কমিটিতে অন্তত দুজন নিরপেক্ষ পরিদর্শক নিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।
গতকাল রূপগঞ্জে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ভাসানী অনুসারী পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, ছাত্র-যুব অধিকার পরিষদ ও রাষ্ট্র চিন্তার নেতারা এসব দাবি জানান। ভাসানী পরিষদের সভাপতি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তাদের হাতে আমাদের জীবন ছেড়ে দেওয়া যাবে না। পরিদর্শক কমিটিতে দুইজন নিরপেক্ষ পরিদর্শক থাকতে হবে। তারা সাংবাদিক হতে পারেন, বিশিষ্ট নাগরিক হতে পারেন, মুক্তিযোদ্ধা হতে পারেন। যারা আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে জড়িত হবেন না।’
জাফরুল্লাহ চৌধুরী মনে করেন, নিরপেক্ষ পরিদর্শক থাকলে মিথ্যাচারটা কম হবে। এটা সংস্কার হবে, জনগণের জীবন রক্ষা পাবে।
পরিদর্শন শেষে গণণসংহতির প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর আমাদের জাতীয় সক্ষমতা তৈরি হওয়ার কথা ছিল। এমন একটা প্রতিষ্ঠান তৈরি হওয়ার দরকার ছিল, যার মাধ্যমে সমস্ত কল-কারখানা নিয়ম মেনে হবে এবং সেখানে যারা কাজ করে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। বাংলাদেশ সরকার কোনও প্রতিষ্ঠান তৈরি করলো না।’ তিনি অভিযোগ করেন, গার্মেন্টসের বাইরে এদেশে যত কল-কারখানা আছে সমস্তগুলো একই রকম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। সেখানে যেকোনও মুহূর্তে আগুন, ভবন ধ্বসসহ নানা ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আমাদের দেশে যে সরকার আছে, তার যে প্রশাসন, যে তদারকি কমিটি আছে; পরিদর্শন কমিটির তাদের চরম অবহেলার কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে। তাদের চরম দুর্নীতির জায়গা এটি। তারা কল-কারখানা আসেন এবং টাকার বিনিময়ে ছাড়পত্র দেন। এই সব দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা গেলে দুর্ঘটনা কমে আসবে।’ এসময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, মুক্তিযোদ্ধা ইসতিয়াক আজিজ উলফত, রাষ্ট্র চিন্তার অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ।