বিনোদন প্রতিবেদক: রোববার নিজেদের ফেসবুক পাতায় একটি ভিডিও পোস্ট করে চরকি। আর এই পোস্টের মাধ্যমেই প্রথম খাঁচার ভেতর অচিন পাখির কথা জানতে পারে সাধারণ দর্শক। বলা যায়, এটি চরকির চমক, কেননা তাদের অন্য ছবির মতো শুটিংয়ের আগে এ ছবি নিয়ে কোনো ঘোষণা দেয়নি তারা। নেটওয়ার্কের বাইরে, মুন্সিগিরির পর আবারও বড় পরিসরে অরিজিনাল ফিল্ম নিয়ে আসছে ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চরকি। সোমবার টিজার প্রকাশের পর থেকেই ছবিটির আলো–আঁধারি আলোকচিত্র, রোমাঞ্চকর আবহসংগীত নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়ে যায়। মুখোশের আড়ালে থাকা ফজলুর রহমান বাবুকে নিয়েও দর্শকের কৌতূহলের শেষ নেই। তবে খুব বেশি অপেক্ষা তাদের করতে হবে না। সব কাজই শেষ। এ মাসেই চরকিতে মুক্তি পাবে খাঁচার ভেতর অচিন পাখি। রায়হান রাফির ছবিটিতে প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু ও তমা মির্জা। বিশেষ তিনটি চরিত্রে আছেন ইন্তেখাব দিনার, নাসিরুদ্দিন ও সুমন আনোয়ার।
‘প্রায় দুই বছর আগে গল্পটি লিখেছিলাম। করোনার সময় দেশের সবকিছু যখন স্থবির, তখন আমি বেশ কিছু গল্প লিখি। এ ধরনের ছবি আমি আগে বানাইনি এবং এটা আমার হৃদয়ের ভীষণ কাছের একটা ছবি। এই ছবিটি নিয়ে আমি প্রচুর আশাবাদী। আমি চাই, আপনারা সবাই ছবিটি দেখুন।’
রায়হান রাফি
পরিচালক জানান, পরিত্যক্ত এক কারখানায় আটকা পড়া দুজন মানুষকে কেন্দ্র করে এগিয়েছে ছবির গল্প, যাদের একজন রাজনীতিবিদ ফিরোজ খান, অন্যজন পাখি। খাঁচা থেকে তাদের বেরিয়ে আসার প্রাণান্ত চেষ্টার গল্প নিয়েই খাঁচার ভেতর অচিন পাখি। ছবির শেষে দর্শকের জন্য আছে একটা দারুণ চমক। রংপুরের একটি পরিত্যক্ত ফ্যাক্টরিতে হয়েছে খাঁচার ভেতর অচিন পাখির শুটিং। টানা ১৫ দিন সেখানেই ছিল শিল্পী-কুশলীসহ ছবির পুরো দল।
খাঁচার ভেতর অচিন পাখি রায়হান রাফির কাছে স্বপ্নের প্রকল্প। তিনি বলেন, ‘করোনার সময় দেশের সবকিছু যখন স্থবির, তখন আমি বেশ কিছু গল্প লিখি। তার মধ্যে এই গল্পটা চরকি খুব পছন্দ করে। টিমের প্রত্যেক মানুষ অনেক কষ্ট করে ছবিটি বানিয়েছি।’
ছবিটি নিয়ে পরিচালকের অনেক আশা, ‘অনলাইনে এটি আমার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি। এ ধরনের ছবি আমি আগে বানাইনি এবং এটা আমার হৃদয়ের ভীষণ কাছের একটা ছবি। এই ছবিটি নিয়ে আমি প্রচুর আশাবাদী।’
ফজলুর রহমান বাবুও ছবিটি নিয়ে দারুণ আশাবাদী। তাঁর মতে, গল্প, শুটিং স্পট, চিত্রগ্রহণ—সব মিলিয়ে দারুণ এক কাজ। একটু ব্যতিক্রমী গল্প হলেও আমার কাছে কাজটি কঠিন মনে হয়নি। কেননা শুরুতেই গল্পটা মনে ধরেছে, লোকেশনটাও চমৎকার। সর্বোচ্চ ভালোটা করার চেষ্টা করেছি।’ অভিনেত্রী তমা মির্জাও ছবিটি নিয়ে উচ্ছ্বসিত, ‘এখনকার প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে চরকি অন্যতম সেরা। পরিচালক রায়হান রাফি, সহশিল্পী বাবু ভাই—সব মিলে দারুণ একটা টিমের সঙ্গে কাজ করেছি আমরা। সেরা মানুষদের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে আমার কাজটাও অটো ভালো হয়ে গেছে।’ তিনি বলেন, ‘যখন অনেক ভালো ভালো শিল্পীর সঙ্গে কাজ করা হয়, তখন কাজটা আলটিমেটলি বেরিয়ে আসে। আমার জায়গা থেকে আমি শতভাগ চেষ্টা করেছি। আমার যতটুকু কমতি ছিল, বাবু ভাই, রাফি ভাইয়ের মুনশিয়ানায় তা–ও পূরণ হয়ে যায়।’
জুলাই মাসে যাত্রা শুরু করে চরকি। এরপর থেকে প্রতি মাসেই ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মটি একটা করে অরিজিনাল ফিল্ম মুক্তি দিয়ে যাচ্ছে। এই মাসের ছবি খাঁচার ভেতর অচিন পাখি নিয়ে চরকির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি বলেন, ‘প্রতি মাসে ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের ছবি আমরা দর্শকদের উপহার দিতে চাই। এই তালিকায় যেমন বন্ধুত্বের গল্প থাকে, তেমনই থাকে গোয়েন্দা কাহিনি, থ্রিলারসহ আরও অনেক বৈচিত্র্যময় ঘরানার ছবি। এবারের ছবিটিতেও নতুন স্বাদ পাবেন দর্শক।’
চরকির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খাঁচার ভেতর অচিন পাখি দর্শক প্রিমিয়াম কনটেন্ট হিসেবে দেখতে পাবে। মাসিক, ছয় মাসিক ও বার্ষিক সাবস্ক্রিপশন প্যাকেজ কেনার মাধ্যমে দর্শক ছবিটি দেখতে পারবেন। সাবস্ক্রিপশন কেনার মধ্য দিয়ে শুধু এই ছবিটিই নয়, আরও দেখা যাবে চরকি অরিজিনাল ওয়েব সিরিজ, অ্যান্থলজি সিরিজ, বাংলায় ডাব করা ভিনদেশি সিনেমা, শর্টফিল্মসহ আরও অনেক ধরনের বৈচিত্র্যময় কনটেন্ট। দর্শকদের জন্য প্ল্যাটফর্মটি প্রতি সপ্তাহে নতুন কনটেন্ট মুক্তি দিচ্ছে।