ঢাকা ০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
উপদেষ্টা মাহফুজ আলম মনে করেন

পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়নে সব দলের রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রয়োজন

  • আপডেট সময় : ০৮:৪৪:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রোববার পররাষ্ট্র নীতি সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম- ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়নের সময় সব দলের রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রয়োজন বলে মনে করেন উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ‘নতুন বাংলাদেশ গঠন: সংস্কার ও পররাষ্ট্রনীতি’ শীর্ষক সংলাপে উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম ও মাহফুজ আলম পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

মতবিনিময়ের পরে মাহফুজ আলম, ‘সব ধরনের রাজনৈতিক দলের মধ্যে আমাদের একটি বড় ধরনের সংলাপ দরকার। আমাদের দরকার হচ্ছে সবাইকে নিয়ে বাংলাদেশে একটি জাতীয় ঐকমত্যের দিকে এগুনো। পররাষ্ট্রনীতির বিষয়ে ঐকমত্য জাতীয় ঐক্যের জায়গা থেকে হয়। সরকার অদলবদলের ভিত্তিতে কোনও রদবদল হয় না।’

আওয়ামী লীগ আমলের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গত সরকার হঠকারিতার চেয়ে বেশি করেছে যে, তারা একটি নতজানু পররাষ্ট্রনীতি নিয়েছিল। আমাদের সরকারের দিক থেকে আমরা চেষ্টা করছি আমাদের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য। যদি আমাদের কোনও ধরনের হঠকারিতা বা কোনও রকম ভুল থাকে, সেটি আমরা শোধরানোর চেষ্টা করি। এটি হচ্ছে আমাদের সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি।’

‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’-এটি আমাদের মটো আকারে ছিল। এটি খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি। আমরা চাই, সবার সঙ্গে বাস্তবধর্মী সম্পর্ক, সব দেশের সঙ্গে।’ এখানে অ্যাডভেঞ্চারিজম বা হঠকারিতার জায়গা নেই বলে তিনি জানান।

শেখ হাসিনাকে ফেরত আনার বিষয়ে মাহফুজ আলম বলেন, ‘আমরা শুনতে পাচ্ছি যে, ভারত একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তারা ফেরত দেবে না। কিন্তু রাষ্ট্রের জায়গা থেকে আমাদের যেটি দরকার, সেটি হচ্ছে বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ। কোনও ধরনের হঠকারিতা আমরা করতে পারি না। আমাদের রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব, আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা, আমাদের অখণ্ডতা– এই জিনিসগুলো আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা কীভাবে শক্তি বাড়াতে পারি সেটির দিকে মনোযোগ দিতে চাই।’

কোন রাষ্ট্র কী করলো সেটির চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে- আমাদের সক্ষমতা বাড়ানো এবং সেখান থেকে দর কষাকষির ক্ষমতা বাড়ানো।’ বাংলাদেশ যদি সক্ষমতা বাড়াতে পারে, তবে দর কষাকষির ক্ষমতা বাড়বে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বলে তিনি জানান।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

উপদেষ্টা মাহফুজ আলম মনে করেন

পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়নে সব দলের রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রয়োজন

আপডেট সময় : ০৮:৪৪:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক: পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়নের সময় সব দলের রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রয়োজন বলে মনে করেন উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ‘নতুন বাংলাদেশ গঠন: সংস্কার ও পররাষ্ট্রনীতি’ শীর্ষক সংলাপে উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম ও মাহফুজ আলম পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

মতবিনিময়ের পরে মাহফুজ আলম, ‘সব ধরনের রাজনৈতিক দলের মধ্যে আমাদের একটি বড় ধরনের সংলাপ দরকার। আমাদের দরকার হচ্ছে সবাইকে নিয়ে বাংলাদেশে একটি জাতীয় ঐকমত্যের দিকে এগুনো। পররাষ্ট্রনীতির বিষয়ে ঐকমত্য জাতীয় ঐক্যের জায়গা থেকে হয়। সরকার অদলবদলের ভিত্তিতে কোনও রদবদল হয় না।’

আওয়ামী লীগ আমলের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গত সরকার হঠকারিতার চেয়ে বেশি করেছে যে, তারা একটি নতজানু পররাষ্ট্রনীতি নিয়েছিল। আমাদের সরকারের দিক থেকে আমরা চেষ্টা করছি আমাদের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য। যদি আমাদের কোনও ধরনের হঠকারিতা বা কোনও রকম ভুল থাকে, সেটি আমরা শোধরানোর চেষ্টা করি। এটি হচ্ছে আমাদের সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি।’

‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’-এটি আমাদের মটো আকারে ছিল। এটি খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি। আমরা চাই, সবার সঙ্গে বাস্তবধর্মী সম্পর্ক, সব দেশের সঙ্গে।’ এখানে অ্যাডভেঞ্চারিজম বা হঠকারিতার জায়গা নেই বলে তিনি জানান।

শেখ হাসিনাকে ফেরত আনার বিষয়ে মাহফুজ আলম বলেন, ‘আমরা শুনতে পাচ্ছি যে, ভারত একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তারা ফেরত দেবে না। কিন্তু রাষ্ট্রের জায়গা থেকে আমাদের যেটি দরকার, সেটি হচ্ছে বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ। কোনও ধরনের হঠকারিতা আমরা করতে পারি না। আমাদের রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব, আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা, আমাদের অখণ্ডতা– এই জিনিসগুলো আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা কীভাবে শক্তি বাড়াতে পারি সেটির দিকে মনোযোগ দিতে চাই।’

কোন রাষ্ট্র কী করলো সেটির চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে- আমাদের সক্ষমতা বাড়ানো এবং সেখান থেকে দর কষাকষির ক্ষমতা বাড়ানো।’ বাংলাদেশ যদি সক্ষমতা বাড়াতে পারে, তবে দর কষাকষির ক্ষমতা বাড়বে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বলে তিনি জানান।