ঢাকা ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

পদ্মা সেতুর ৯৫ ভাগ কাজ শেষ

  • আপডেট সময় : ১০:২৯:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২১
  • ৮৩ বার পড়া হয়েছে

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি : নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে এখন শেষের পথে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ। ২০২২ সালের জুনে সেতুতে যান চলাচলের লক্ষ্যে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও এগিয়ে চলছে কাজ। নভেম্বর মাস পর্যন্ত পদ্মা সেতু প্রকল্পের সার্বিক কাজ এগিয়েছে ৮৯ শতাংশ। আর মূল সেতুর কাজের অগ্রগতি ৯৫ দশমিক ২৫ শতাংশ। অর্থাৎ মূল সেতুর কাজের আর বাকি মাত্র ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে (২ডিসেম্বর) পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আবদুল কাদের জাগো নিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সেতুর প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পদ্মা সেতু প্রকল্পের সর্বমোট বাজেট ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। যার মধ্যে গত নভেম্বর মাস পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ২৬ হাজার ৪৭৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকা বা মোট বাজেটের ৮৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ। মূল সেতুর কাজের চুক্তিমূল্য প্রায় ১২ হাজার ৪৯৪ কোটি টাকা। যার মধ্যে চলতি বছরের নভেম্বর মাস পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে প্রায় ১১ হাজার ৫১২ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।
এদিকে সেতু প্রকল্পের আওতায় নদী শাসনের কাজের অগ্রগতি হয়েছে সাড়ে ৮৬ শতাংশ। নদী শাসন কাজের চুক্তিমূল্য আট হাজার ৯৭২ কোটি ৩৮ লাখ টাকার মধ্যে ব্যয় হয়েছে সাত হাজার ৩১ কোটি ৭১ লাখ টাকা।
প্রকৌশল বিভাগ আরও জানায়, মূল সেতুর মধ্যে দুই হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্লাব, ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্লাব ও পাঁচ হাজার ৮৩৪টি শেয়ার পকেট বসানো হয়েছে। ১২ হাজার ৩৯০টি প্যারপেট ওয়ালের মধ্যে ১২ হাজার ২৫৪টি স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে।
আর মাওয়া ও জাজিরার ভায়াডাক্টে ৪৩৮টি সুপারটি গার্ডারের মধ্যে ৪৩৮টি ওবং ৮৪টি রেলওয়ে আই গার্ডারের মধ্যে ৮৪টিই স্থাপন করা হয়েছে। মূল সেতুর মোট ৪১টি ট্রাস রয়েছে, যার সবগুলো ইতোমধ্যে স্থাপন করা হয়েছে। যার দৈর্ঘ্য ছয় হাজার ১৫০ মিটার বা ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার।
এদিকে সেতুর সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়ার কাজ ইতোমধ্যেই শতভাগ শেষ হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে এক হাজার ৪৯৯ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এছাড়া ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও পরিবেশ খাতে বরাদ্দ চার হাজার ৩৪২ কোটি ২৬ লাখ টাকা। অন্যান্য (পরামর্শক, সেনা নিরাপত্তা, ভ্যাট ও আয়কর, যানবাহন, বেতন ও ভাতাদি এবং অন্যান্য) খাতে বরাদ্দ দুই হাজার ৮৮৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।
সেতুর অবশিষ্ট কাজের মধ্যে ওয়াটার প্রুফিং মেমব্রিনের কাজ ১৩ ভাগ, কার্পেটিং-২ দশমিক ০৫ ভাগ, মুভমেন্ট জয়েন্ট ৫৯ ভাগ, ল্যাম্পপোস্ট ৯ দশমিক ১৯ ভাগ কাজ এগিয়েছে। এছাড়া গ্যাস পাইপ লাইন ৪৯ দশমিক ৩৫ ভাগ এবং ৪০০ কেভিএ বিদ্যুৎ লাইনের কাজ ৬২ ভাগ এগিয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পদ্মা সেতুর ৯৫ ভাগ কাজ শেষ

আপডেট সময় : ১০:২৯:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২১

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি : নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে এখন শেষের পথে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ। ২০২২ সালের জুনে সেতুতে যান চলাচলের লক্ষ্যে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও এগিয়ে চলছে কাজ। নভেম্বর মাস পর্যন্ত পদ্মা সেতু প্রকল্পের সার্বিক কাজ এগিয়েছে ৮৯ শতাংশ। আর মূল সেতুর কাজের অগ্রগতি ৯৫ দশমিক ২৫ শতাংশ। অর্থাৎ মূল সেতুর কাজের আর বাকি মাত্র ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে (২ডিসেম্বর) পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আবদুল কাদের জাগো নিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সেতুর প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পদ্মা সেতু প্রকল্পের সর্বমোট বাজেট ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। যার মধ্যে গত নভেম্বর মাস পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ২৬ হাজার ৪৭৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকা বা মোট বাজেটের ৮৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ। মূল সেতুর কাজের চুক্তিমূল্য প্রায় ১২ হাজার ৪৯৪ কোটি টাকা। যার মধ্যে চলতি বছরের নভেম্বর মাস পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে প্রায় ১১ হাজার ৫১২ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।
এদিকে সেতু প্রকল্পের আওতায় নদী শাসনের কাজের অগ্রগতি হয়েছে সাড়ে ৮৬ শতাংশ। নদী শাসন কাজের চুক্তিমূল্য আট হাজার ৯৭২ কোটি ৩৮ লাখ টাকার মধ্যে ব্যয় হয়েছে সাত হাজার ৩১ কোটি ৭১ লাখ টাকা।
প্রকৌশল বিভাগ আরও জানায়, মূল সেতুর মধ্যে দুই হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্লাব, ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্লাব ও পাঁচ হাজার ৮৩৪টি শেয়ার পকেট বসানো হয়েছে। ১২ হাজার ৩৯০টি প্যারপেট ওয়ালের মধ্যে ১২ হাজার ২৫৪টি স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে।
আর মাওয়া ও জাজিরার ভায়াডাক্টে ৪৩৮টি সুপারটি গার্ডারের মধ্যে ৪৩৮টি ওবং ৮৪টি রেলওয়ে আই গার্ডারের মধ্যে ৮৪টিই স্থাপন করা হয়েছে। মূল সেতুর মোট ৪১টি ট্রাস রয়েছে, যার সবগুলো ইতোমধ্যে স্থাপন করা হয়েছে। যার দৈর্ঘ্য ছয় হাজার ১৫০ মিটার বা ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার।
এদিকে সেতুর সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়ার কাজ ইতোমধ্যেই শতভাগ শেষ হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে এক হাজার ৪৯৯ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এছাড়া ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও পরিবেশ খাতে বরাদ্দ চার হাজার ৩৪২ কোটি ২৬ লাখ টাকা। অন্যান্য (পরামর্শক, সেনা নিরাপত্তা, ভ্যাট ও আয়কর, যানবাহন, বেতন ও ভাতাদি এবং অন্যান্য) খাতে বরাদ্দ দুই হাজার ৮৮৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।
সেতুর অবশিষ্ট কাজের মধ্যে ওয়াটার প্রুফিং মেমব্রিনের কাজ ১৩ ভাগ, কার্পেটিং-২ দশমিক ০৫ ভাগ, মুভমেন্ট জয়েন্ট ৫৯ ভাগ, ল্যাম্পপোস্ট ৯ দশমিক ১৯ ভাগ কাজ এগিয়েছে। এছাড়া গ্যাস পাইপ লাইন ৪৯ দশমিক ৩৫ ভাগ এবং ৪০০ কেভিএ বিদ্যুৎ লাইনের কাজ ৬২ ভাগ এগিয়েছে।