ঢাকা ০২:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫

পদ্মা সেতুর ১৫ রেল বগি চট্টগ্রাম বন্দরে

  • আপডেট সময় : ০১:৫০:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২
  • ৮৭ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : পদ্মা সেতুতে চলাচলের জন্য চীন থেকে জাহাজে করে চট্টগ্রাম বন্দরে এলো আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতিসহ রেলের ১৫টি বগি। বন্দরের ১২ নম্বর জেটিতে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে বগিগুলোর খালাস কার্যক্রম। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আরও ৮৫টি বগি ধারাবাহিকভাবে আসবে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, পানামার পতাকাবাহী জাহাজ ‘টয়ো ওয়ার্ল্ড’ দুদিন আগে চীন থেকে ১৫টি বগি নিয়ে প্রথম চালান চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে পণ্য খালাস কার্যক্রম। ক্রেনের সহায়তায় বগিগুলো জেটিতে নামানোর পর বিশেষ ওয়াগনে করে সিজিপিওয়াই ইয়ার্ডে নেয়া হচ্ছে। সেখান থেকে যন্ত্রপাতি ফিটিংয়ের জন্য পাঠানো হবে ঢাকার সৈয়দপুর রেল কারখানায়। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মা. ওমর ফারুক ঢাকা টাইমসকে বলেন, পতাকাবাহী জাহাজ ‘টয়ো ওয়ার্ল্ড’ এ করে চীন থেকে আনা ১৫টি বগি চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে। খালাসের কাজও চলমান রয়েছে। রেলের বগিগুলো যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে খালাস হয় সে লক্ষ্যে সব ধরনের সহযোগিতা আমরা দিয়ে যাচ্ছি। সিজিপিওয়াই রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী শাহাদাত হোসেন আজাদ বলেন, রেলের বগিগুলো খালাস করে সৈয়দপুর ওয়ার্কশপে পাঠানো হবে। সেখানে টায়ার লোড এবং এমপ্টি লোডের পর গাড়িগুলো সার্ভিসের লাইনে দেয়া হবে। জানা গেছে, পদ্মা সেতু রেল লিংক প্রকল্পের ফরিদপুরের ভাঙ্গা হতে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার রেললাইন প্রস্তুত করা হয়েছে। ওই ৩২ কিলোমিটার লাইনের ওপর দিয়ে গত ১ নভেম্বর পরীক্ষামূলকভাবে রেল চালানো হয়েছে। পদ্মা রেল লিংক প্রকল্পের কাজ তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে-ঢাকা থেকে মাওয়া, মাওয়া থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর। পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত হতে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ করা হয়েছে ৩২ কিলোমিটার। এর মধ্যে ভায়াডাক ৪ কিলোমিটার আর মাটির ওপর দিয়ে ২৮ কিলোমিটার। ভায়াডাকের ৪ কিলোমিটার রেললাইন প্রস্তুত করা হয়েছে পাথরবিহীন। আর ২৮ কিলোমিটার নির্মাণ করা হয়েছে পাথর দিয়ে। পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত হতে ভাঙ্গা পর্যন্ত দুটি স্টেশন রয়েছে। স্টেশনগুলোর ওপর দিয়ে ৩২ কিলোমিটার লাইন নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এখন স্টেশন দুটি ও জংশনে চার লেনের লাইন বসানোর কাজ করা হচ্ছে। এ ছাড়া ভাঙ্গা স্টেশনটি আধুনিকায়ন করার কাজ চলছে। প্রায় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকায় দ্বিতল পদ্মা সেতুর উপরের চার লেনে যানবাহন চলাচল করছে। নিচতলায় স্প্যানের ভেতর দিয়ে ট্রেন চলাচল করবে। ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন এ প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের জুন মাসে পদ্মা সেতুতে রেল চালুর আশা করেছে কর্তৃপক্ষের।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শেখ হাসিনাকে কোনোদিনই বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগ দেবো না: মির্জা ফখরুল

পদ্মা সেতুর ১৫ রেল বগি চট্টগ্রাম বন্দরে

আপডেট সময় : ০১:৫০:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : পদ্মা সেতুতে চলাচলের জন্য চীন থেকে জাহাজে করে চট্টগ্রাম বন্দরে এলো আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতিসহ রেলের ১৫টি বগি। বন্দরের ১২ নম্বর জেটিতে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে বগিগুলোর খালাস কার্যক্রম। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আরও ৮৫টি বগি ধারাবাহিকভাবে আসবে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, পানামার পতাকাবাহী জাহাজ ‘টয়ো ওয়ার্ল্ড’ দুদিন আগে চীন থেকে ১৫টি বগি নিয়ে প্রথম চালান চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে পণ্য খালাস কার্যক্রম। ক্রেনের সহায়তায় বগিগুলো জেটিতে নামানোর পর বিশেষ ওয়াগনে করে সিজিপিওয়াই ইয়ার্ডে নেয়া হচ্ছে। সেখান থেকে যন্ত্রপাতি ফিটিংয়ের জন্য পাঠানো হবে ঢাকার সৈয়দপুর রেল কারখানায়। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মা. ওমর ফারুক ঢাকা টাইমসকে বলেন, পতাকাবাহী জাহাজ ‘টয়ো ওয়ার্ল্ড’ এ করে চীন থেকে আনা ১৫টি বগি চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে। খালাসের কাজও চলমান রয়েছে। রেলের বগিগুলো যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে খালাস হয় সে লক্ষ্যে সব ধরনের সহযোগিতা আমরা দিয়ে যাচ্ছি। সিজিপিওয়াই রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী শাহাদাত হোসেন আজাদ বলেন, রেলের বগিগুলো খালাস করে সৈয়দপুর ওয়ার্কশপে পাঠানো হবে। সেখানে টায়ার লোড এবং এমপ্টি লোডের পর গাড়িগুলো সার্ভিসের লাইনে দেয়া হবে। জানা গেছে, পদ্মা সেতু রেল লিংক প্রকল্পের ফরিদপুরের ভাঙ্গা হতে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার রেললাইন প্রস্তুত করা হয়েছে। ওই ৩২ কিলোমিটার লাইনের ওপর দিয়ে গত ১ নভেম্বর পরীক্ষামূলকভাবে রেল চালানো হয়েছে। পদ্মা রেল লিংক প্রকল্পের কাজ তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে-ঢাকা থেকে মাওয়া, মাওয়া থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর। পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত হতে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ করা হয়েছে ৩২ কিলোমিটার। এর মধ্যে ভায়াডাক ৪ কিলোমিটার আর মাটির ওপর দিয়ে ২৮ কিলোমিটার। ভায়াডাকের ৪ কিলোমিটার রেললাইন প্রস্তুত করা হয়েছে পাথরবিহীন। আর ২৮ কিলোমিটার নির্মাণ করা হয়েছে পাথর দিয়ে। পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত হতে ভাঙ্গা পর্যন্ত দুটি স্টেশন রয়েছে। স্টেশনগুলোর ওপর দিয়ে ৩২ কিলোমিটার লাইন নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এখন স্টেশন দুটি ও জংশনে চার লেনের লাইন বসানোর কাজ করা হচ্ছে। এ ছাড়া ভাঙ্গা স্টেশনটি আধুনিকায়ন করার কাজ চলছে। প্রায় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকায় দ্বিতল পদ্মা সেতুর উপরের চার লেনে যানবাহন চলাচল করছে। নিচতলায় স্প্যানের ভেতর দিয়ে ট্রেন চলাচল করবে। ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন এ প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের জুন মাসে পদ্মা সেতুতে রেল চালুর আশা করেছে কর্তৃপক্ষের।