ঢাকা ০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

পদ্মা সেতুর ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করতে কমিশন হচ্ছে

  • আপডেট সময় : ০২:৫৬:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৬৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : পদ্মা সেতুর দুর্নীতি অপপ্রচারের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করতে একটি কমিশন গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ১৯৫৬ সালের ইনকোয়ারি অ্যাক্টের তৃতীয় অনুচ্ছেদ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আইন অনুযায়ী কমিশন গঠনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ সংক্রান্ত একটি সার-সংক্ষেপ পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে এ কমিশন গঠন করার প্রস্তার করা হয়েছে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানিয়েছে। চলতি বছর ২৫ জুন দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হয়। এর পরের দিন থেকে জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় পদ্মা সেতু।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পদ্মা সেতু নির্মাণ চুক্তির বিষয়ে ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ নজরে এনে হাইকোর্ট বিভাগ সুয়োমোটোর রুল জারি করেন। পদ্মা সেতু নির্মাণ চুক্তি সংক্রান্ত অসত্য তথ্য সৃজন করে রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠনের আদেশ কেন প্রদান করা হবে না সে মর্মে রুলটি জারি করা হয়। ২৮ জুন উক্ত মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। রায়ের কপি ২৮ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে যায়। আদেশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে কমিশন গঠন এবং দুই মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য রায়ে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আরও জানায়, ইনকোয়ারি অ্যাক্ট-১৯৫৬ (৩ ধারা) অনুসারে কমিশন গঠন হতে পারে এবং এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, সেতু বিভাগ এবং আইন, বিচারও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামত সংগ্রহ করা হয়। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ মতামত প্রদান করে যে, বিষয়বস্তুর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বা কর্মপরিধিভুক্ত সে মন্ত্রণালয় বিভাগ ইনকোয়ারি অ্যাক্ট-১৯৫৬-এর অধীনে কমিশন গঠন এবং উক্ত কমিশনে তদন্তের বিষয় ও প্রকৃতি বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ এক বা একাধিক সদস্য নিয়োগ করা যেতে পারে।
আইনের ধারা ৪ ও ৫ অনুযায়ী কমিশন একটি দেওয়ানি আদালত হিসেবে গণ্য হবে এবং আদালতের ন্যায় ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পদ্মা সেতুর ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করতে কমিশন হচ্ছে

আপডেট সময় : ০২:৫৬:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : পদ্মা সেতুর দুর্নীতি অপপ্রচারের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করতে একটি কমিশন গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ১৯৫৬ সালের ইনকোয়ারি অ্যাক্টের তৃতীয় অনুচ্ছেদ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আইন অনুযায়ী কমিশন গঠনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ সংক্রান্ত একটি সার-সংক্ষেপ পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে এ কমিশন গঠন করার প্রস্তার করা হয়েছে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানিয়েছে। চলতি বছর ২৫ জুন দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হয়। এর পরের দিন থেকে জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় পদ্মা সেতু।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পদ্মা সেতু নির্মাণ চুক্তির বিষয়ে ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ নজরে এনে হাইকোর্ট বিভাগ সুয়োমোটোর রুল জারি করেন। পদ্মা সেতু নির্মাণ চুক্তি সংক্রান্ত অসত্য তথ্য সৃজন করে রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠনের আদেশ কেন প্রদান করা হবে না সে মর্মে রুলটি জারি করা হয়। ২৮ জুন উক্ত মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। রায়ের কপি ২৮ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে যায়। আদেশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে কমিশন গঠন এবং দুই মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য রায়ে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আরও জানায়, ইনকোয়ারি অ্যাক্ট-১৯৫৬ (৩ ধারা) অনুসারে কমিশন গঠন হতে পারে এবং এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, সেতু বিভাগ এবং আইন, বিচারও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামত সংগ্রহ করা হয়। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ মতামত প্রদান করে যে, বিষয়বস্তুর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বা কর্মপরিধিভুক্ত সে মন্ত্রণালয় বিভাগ ইনকোয়ারি অ্যাক্ট-১৯৫৬-এর অধীনে কমিশন গঠন এবং উক্ত কমিশনে তদন্তের বিষয় ও প্রকৃতি বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ এক বা একাধিক সদস্য নিয়োগ করা যেতে পারে।
আইনের ধারা ৪ ও ৫ অনুযায়ী কমিশন একটি দেওয়ানি আদালত হিসেবে গণ্য হবে এবং আদালতের ন্যায় ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে।