নিজস্ব প্রতিবেদক : মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, পদ্মা সেতুর রেলিংয়ের সাথে সেফটি-সিকিউরিটির কোনও সম্পর্ক নেই।
গতকাল রোববার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান তিনি। এর আগে, মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষ থেকে মন্ত্রীরা বৈঠকে অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী গণভবন ও মন্ত্রিসভার সদস্যরা মন্ত্রিপরিষদ কক্ষ থেকে সভায় যুক্ত হন।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, পদ্মা সেতুর স্ক্রু খোলার কথাটা আসছে। ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যার্ডাডে আমাদের যে ওয়ালটুকু আছে অতটুকু দিয়েই গাড়ি চলে। কিন্তু আমাদের রোডস অ্যান্ড হাইওয়ের স্ট্যার্ডাড চার ফুট। সেজন্য আরও এক ফুট উঁচু করে রেলিং দেওয়া হয়েছে। এটা মানুষের সেফটির জন্য নয়। এটা আমাদের স্ট্যার্ডাডটাকে কাভার করার জন্য। সুতরাং বিভিন্ন জায়গায় যে কনফিউশন আছে, এটার সঙ্গে সেফটি-সিকিউরিটির কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, দুই-তিন মাস আগে আমি এবং পদ্মার কয়েকজন কনসালটেন্ট ও পিডিসহ লেটেস্ট সবচেয়ে বড় ব্রিজ যেটা কুয়েতে উদ্বোধন করা হয়েছে; সেটা সাগরের মধ্যে ৩৬ কিলোমিটার, সেটা আমরা দেখে এলাম। আমাদের যেটুকু ওয়াল ওদের অতটুকু গ্রিল দিয়ে প্রটেকশন দিয়েছে। ক্যান ইউ ইমাজিন দিস! সাগরের মাঝে যদি কোনও কারণে, আমাদের তো ওয়ালের মধ্যে গাড়ি ধাক্কা খেলে ফেরত আসবে। কিন্তু ওরা গ্রিল দিয়ে প্রটেকশন দিয়েছে। ওদের প্রটেকশনটা আমাদের ওয়াল যতটুকু ততটুকুই। তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন বিকেলে কোরিয়ান এক্সপ্রেস করপোরেশন টেকওভার করেছে। পরের দিন থেকে তারা টোল ম্যানেজমেন্ট ও মেইনটেন্যান্স দেখবে। কোরিয়ান এক্সপ্রেস করপোরেশন হলো ওয়ার্ল্ডের বেস্ট কোম্পানি, যারা হাইওয়ে ও ব্রিজ ম্যানেজমেন্ট করে। ওরা ১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ইনচেন ব্রিজের ডিজাইনার ও টোল ম্যানেজমেন্ট করে। এখন তারা পদ্মা সেতু অডিট করবে। অডিট করে নিজেরা ঠিক করে টাইট করে দেবে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্যামেরা বসলেই মোটরসাইকেলে সিদ্ধান্ত : আসন্ন ঈদের আগে আর পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চালুর সম্ভাবনা নেই বলে মনে করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ কথা বলেন। মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ ক্যামেরা বসবে, স্পিডগানও বাসানো হচ্ছে। এগুলো বসলে তারপর ওনারা সুবিধাজনক সময়ে সিদ্ধান্ত নেবেন কী করা যায়। আমার মনে হচ্ছে, ঈদের আগে এটি (মোটরসাইকেল) হওয়া খুবই কঠিন। ঈদের আগে মনে হয় না।’
সব জেলায় দুধ সংরক্ষণাগার তৈরির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত : দেশে উৎপাদিত দুধ সংরক্ষণে জেলায় জেলায় সংরক্ষণাগার তৈরির সম্ভাব্যতা যাচাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রোববার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন। বৈঠকের পরে ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ডেইরি উন্নয়ন বোর্ড আইন-২০২২ এর নীতিগত অনুমোদনের জন্য নিয়ে এসেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এটার উদ্দেশ্য হল আমাদের দেশে যে পরিমাণ দুধ উৎপাদন হয় গরু বা ছাগলের, সেগুলো মনিটরিং করা হচ্ছে না, কোয়ালিটি এনশিওর করা হচ্ছে না বা টেকনিক্যাল সাপোর্ট আমরা দিতে পারছি না। “আমরা যদি কম্প্রিহেনসিভভাবে মানুষকে টেকনোলজি দিতে পারি, আরও উন্নত গাভী বা খাদ্যের ব্যবস্থা যদি করতে পারি এবং এগুলোকে প্রসেস করতে পারি। একই সাথে দুধগুলো যদি স্টোর করার যেভাবে খাদ্যদ্রব্য কোল্ডস্টোরে আমরা রাখি, এভাবেই যদি প্রতিটি জেলায় স্টোরেজ ফ্যাসিলিটি করা যায়; তাহলে আমাদের উৎপাদনকারীদের সুবিধা হবে। এতে ব্যপক পরিবর্তন আসবে প্রোটিন গ্রহণের ক্ষেত্রে।” মিল্কভিটাও প্রায় একই কাজ করছে জানিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, “তবে মিল্কভিটারটা কোঅপারেটিভভাবে হচ্ছে। এটা কীভাবে হবে, যারা ইনডিভিজুয়ালি দুধ উৎপাদন করে, তাদের উপর কঠোর কোনো ইমপোজিশন আসে কি না সেজন্য আইনটায় সম্মতি না দিয়ে বলা হয়েছে, দু মাস সময় দেওয়া হয়েছে আরডি, মিল্কভিটা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে বসে বিশেষ করে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, ক্যাবের সাথে বসে যাতে কোনোভাবেই ডুপ্লিকেশন না হয়, বা কোনো ইন্টারাপশন না হয়, এজন্য আইনটা আবার নিয়ে আসবেন। “এটা অবজারভেশন দিয়ে ফেরত দেওয়া হয়েছে।”
পদ্মা সেতুর রেলিংয়ের সাথে সেফটি-সিকিউরিটির সম্পর্ক নেই : মন্ত্রিপরিষদ সচিব
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ