ঢাকা ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

পদ্মার ভাঙনে দিশেহারা মানুষ

  • আপডেট সময় : ১১:৩৮:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে

সদরপুর (ফরিদপুর) সংবাদদাতা : বর্ষা এলেই ফরিদপুরের সদরপুর অংশে ভাঙনের চিরচেনা রূপ পরিগ্রহ করে পদ্মানদী। চলতি বর্ষায়ও এর ব্যতিক্রম হয়নি। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ভাঙনের কবলে পড়েছে। ইতোমধ্যে পানি কমতে শুরু করেছে কিন্তু ভাঙন বৃদ্ধি পেয়েছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে মাত্র আধা কিলোমিটার দূরত্বে থাকা সাবেক অঞ্চল পিঁয়াজখালী বাজার, সরকারি গুচ্ছগ্রামসহ বিভিন্ন স্থাপনা। অপরদিকে, নাড়িকেল বাড়ীয়া ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর ও নন্দলালপুর, নুরুদ্দিন সরদার কান্দি গ্রামে পদ্মার ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙনকবলিত ক্ষতিগ্রস্তদের বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে সাহায্য করা হলেও নেই ভাঙন রোধে কার্যকরী উদ্যোগ। ভুক্তভোগীরা সাহায্যের পরিবর্তে চাইছেন কর্তৃপক্ষের নদীর ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। সরেজমিনে সংবাদ সংগ্রহ কালে দেখা যায়, পদ্মার স্রোতে উপজেলার ঢেউখালী ও আকটেরচর ইউনিয়নের শয়তানখালীচর লঞ্চঘাট, ঘাট সংলগ্ন পাকা রাস্তা, মুন্সীরচর, পিঁয়াজখালীর চর, আকোট, আকটেরচর, গুচ্ছগ্রাম, ছলেনামা গ্রাম ভাঙনের কবলে পড়েছে। পদ্মার মূলস্রোত এ অংশ দিয়েই প্রবাহিত এবং পানির গভীরতা বেশি থাকায় নদীপাড় ঘেঁষে ভারী ট্রলার, বাল্কহেড, লঞ্চ স্টিমার চলাচল করে। যে কারণে স্রোত ও ঢেউয়ে সৃষ্ট ভাঙনের তীব্রতা অব্যাহত রয়েছে বলে মনে করেন স্থানীয়রা। তবে ভাঙনরোধে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা বা অন্য কোন উদ্যোগ নেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। পেঁয়াজখালীর স্থানীয় বাসিন্দা সুমন বেপারী জানান, চলতি মৌসুমে আমাদের অনেক ফসলি জমি ভেঙে গেছে। পদ্মার এই পাড়ে গভীরতা ও স্রোত বেশি, এই পাড় ঘেঁষেই ট্রলার, লঞ্চ, স্টিমার চলে। এ কারণে পানির স্রোতে ও ঢেউয়ে ভাঙন আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ভাঙন অব্যাহত আছে। আমরা সাহায্য চাই না, নদী ভাঙনরোধ করার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ঢেউখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বয়াতি জানান প্রায় কোয়ার্টার কিলো নির্মাণাধীন সেমিপাকা রাস্তাসহ শয়তানখালী লঞ্চঘাট ভেঙেছে। সেটি সরিয়ে আনতে হয়েছে। পাশাপাশি মুন্সিরচর, পেঁয়াজখালি গ্রামের প্রায় কয়েকশ’ একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। আকোটেরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসলাম বেপারী জানান ইউনিয়নের আকটেরচর, গুচ্ছগ্রাম, ছলেনামা গ্রামে ভাঙন অব্যাহত আছে। ১৭টি ঘরবাড়ি ও প্রায় ২শ একর ফসলিজমি নদীগর্ভে চলে গেছে। আমরা নদী ভাঙনরোধে স্থায়ী সমাধান প্রত্যাশা করি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আহসান মাহমুদ রাসেল বলেন, আমরা নদী ভাঙন সার্বক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। ভাঙন কবলিতদের তালিকা করে ইতোমধ্যে ১৯৮ পরিবারের মাঝে পরিবার প্রতি ১ বান্ডেল ঢেউটিন ও নগদ ৩০০০ টাকা করে সাহায্য দিয়েছি। আগামীতে আরও সাহায্য চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন জানিয়েছি।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বজ্রপাতে একদিনে ১০ জনের মৃত্যু

পদ্মার ভাঙনে দিশেহারা মানুষ

আপডেট সময় : ১১:৩৮:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সদরপুর (ফরিদপুর) সংবাদদাতা : বর্ষা এলেই ফরিদপুরের সদরপুর অংশে ভাঙনের চিরচেনা রূপ পরিগ্রহ করে পদ্মানদী। চলতি বর্ষায়ও এর ব্যতিক্রম হয়নি। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ভাঙনের কবলে পড়েছে। ইতোমধ্যে পানি কমতে শুরু করেছে কিন্তু ভাঙন বৃদ্ধি পেয়েছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে মাত্র আধা কিলোমিটার দূরত্বে থাকা সাবেক অঞ্চল পিঁয়াজখালী বাজার, সরকারি গুচ্ছগ্রামসহ বিভিন্ন স্থাপনা। অপরদিকে, নাড়িকেল বাড়ীয়া ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর ও নন্দলালপুর, নুরুদ্দিন সরদার কান্দি গ্রামে পদ্মার ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙনকবলিত ক্ষতিগ্রস্তদের বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে সাহায্য করা হলেও নেই ভাঙন রোধে কার্যকরী উদ্যোগ। ভুক্তভোগীরা সাহায্যের পরিবর্তে চাইছেন কর্তৃপক্ষের নদীর ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। সরেজমিনে সংবাদ সংগ্রহ কালে দেখা যায়, পদ্মার স্রোতে উপজেলার ঢেউখালী ও আকটেরচর ইউনিয়নের শয়তানখালীচর লঞ্চঘাট, ঘাট সংলগ্ন পাকা রাস্তা, মুন্সীরচর, পিঁয়াজখালীর চর, আকোট, আকটেরচর, গুচ্ছগ্রাম, ছলেনামা গ্রাম ভাঙনের কবলে পড়েছে। পদ্মার মূলস্রোত এ অংশ দিয়েই প্রবাহিত এবং পানির গভীরতা বেশি থাকায় নদীপাড় ঘেঁষে ভারী ট্রলার, বাল্কহেড, লঞ্চ স্টিমার চলাচল করে। যে কারণে স্রোত ও ঢেউয়ে সৃষ্ট ভাঙনের তীব্রতা অব্যাহত রয়েছে বলে মনে করেন স্থানীয়রা। তবে ভাঙনরোধে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা বা অন্য কোন উদ্যোগ নেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। পেঁয়াজখালীর স্থানীয় বাসিন্দা সুমন বেপারী জানান, চলতি মৌসুমে আমাদের অনেক ফসলি জমি ভেঙে গেছে। পদ্মার এই পাড়ে গভীরতা ও স্রোত বেশি, এই পাড় ঘেঁষেই ট্রলার, লঞ্চ, স্টিমার চলে। এ কারণে পানির স্রোতে ও ঢেউয়ে ভাঙন আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ভাঙন অব্যাহত আছে। আমরা সাহায্য চাই না, নদী ভাঙনরোধ করার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ঢেউখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বয়াতি জানান প্রায় কোয়ার্টার কিলো নির্মাণাধীন সেমিপাকা রাস্তাসহ শয়তানখালী লঞ্চঘাট ভেঙেছে। সেটি সরিয়ে আনতে হয়েছে। পাশাপাশি মুন্সিরচর, পেঁয়াজখালি গ্রামের প্রায় কয়েকশ’ একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। আকোটেরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসলাম বেপারী জানান ইউনিয়নের আকটেরচর, গুচ্ছগ্রাম, ছলেনামা গ্রামে ভাঙন অব্যাহত আছে। ১৭টি ঘরবাড়ি ও প্রায় ২শ একর ফসলিজমি নদীগর্ভে চলে গেছে। আমরা নদী ভাঙনরোধে স্থায়ী সমাধান প্রত্যাশা করি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আহসান মাহমুদ রাসেল বলেন, আমরা নদী ভাঙন সার্বক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। ভাঙন কবলিতদের তালিকা করে ইতোমধ্যে ১৯৮ পরিবারের মাঝে পরিবার প্রতি ১ বান্ডেল ঢেউটিন ও নগদ ৩০০০ টাকা করে সাহায্য দিয়েছি। আগামীতে আরও সাহায্য চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন জানিয়েছি।