রাজশাহী সংবাদদাতা : রাজশাহীর বাঘায় পদ্মার পানি দ্বিতীয় দফায় বাড়তে শুরু করেছে। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে নদীপাড়ের ভাঙনও। এতে সীমান্তবর্তী এ উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নের কালিদাসখালী গ্রামের অনেক আবাদি জমি ও বসতভিটা তলিয়ে যাচ্ছে। এখন ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ও পড়েছে হুমকির মুখে। ভাঙনের কারণে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। সব হারানোর ভয়ে এখন ঘুমহীন রাত কাটছে নদীপাড়ের মানুষের। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষে থেকে ১০ দিন ধরে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ১১ হাজার ২৮৪টি বালু ভর্তি ব্যাগ জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা ঢলে পদ্মার বাঘা পয়েন্টে পানি চলতি সপ্তাহে দ্বিতীয় দফায় বাড়তে শুরু করেছে। ফলে তীব্র স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ও গ্রাম এলাকায় ভাঙনের তীব্রতা কয়েকগুণ বেড়েছে। নাজুক পরিস্থিতিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলা কাজ শুরু করেছে। এদিকে কালিদাসখালী এলাকায় ভাঙনের তীব্রতা দেখা দেওয়ায় চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরবর্তীতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর মাধ্যমে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করা হলে তারা জিও ব্যাগ ফেলে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ও গ্রাম রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছেন। বাঘা উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল আযম বলেন, পদ্মার পানি বেড়ে এখন বিপৎসীমার কাছাকাছি চলে এসেছে। পানি বাড়ার কারণে বিভিন্ন স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে। তিনি নিজে ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর মাধ্যমে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করেছেন। পরে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলে গ্রাম রক্ষা করার চেষ্টা করছে। এ জিও ব্যাগ ফেলার জন্য ভাঙন অনেকটায় থেমে গেছে। আশা করছেন এতে গ্রামটি রক্ষা পাবে। জানতে চাইলে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী বিভাগের শাখা কর্মকর্তা মাহাবুব রাসেল বলেন, বাঘার পদ্মা নদীর কালিদাসখালী এলাকায় ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই ২০০ মিটার এলাকায় ১১ হাজার ২৮৪টি জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধে কাজ চলছে।
জনপ্রিয় সংবাদ