ঢাকা ০৯:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫

পদ্মায় ফেরি ডুবি, কারণ নিয়ে বিভ্রান্তি

  • আপডেট সময় : ১২:৪০:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৪
  • ৬৮ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট সংলগ্ন পদ্মা নদীতে ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধায় ভোর থেকে পানি উঠছিল বলে দাবি করেছেন উদ্ধার পাওয়া দুইজন। ফেরিতে থাকা ট্রাক মালিক, কুষ্টিয়া জেলার বাসিন্দা নাজমুল ইসলাম পাটুরিয়া ঘাটে সাংবাদিকদের বলেন, “কোনো বাল্কহেড ধাক্কা দেয়নি। নিচ দিয়ে পানি উঠে ডুবে গেছে।”
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় জানায়, ইউটিলিটি ফেরি ‘রজনীগন্ধা’ মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে দৌলতদিয়া থেকে সাতটি ছোট ট্রাক এবং দুটি বড় ট্রাক নিয়ে পাটুরিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়। কিন্তু পাটুরিয়ার কাছাকাছি গিয়ে ঘন কুয়াশার কারণে নদীতে নোঙ্গর করে। সকাল ৮টার দিকে ৫ নম্বর ঘাটের কাছাকাছি গিয়ে সেটি দুর্ঘটনায় পড়ে। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সকালে বলেন, “একটি ছোট মালবাহী জাহাজ ফেরিটিকে ধাক্কা দিলে সেটি ডুবে যায়।” তবে ট্রাক মালিক নাজমুল বলছেন, ভোর ৪টার দিকে ফেরির তলা দিয়ে পানি ওঠা শুরু করে। সকালের দিকে ফেরি ডুবতে শুরু করে। ট্রাকে করে মালামাল নিয়ে চাঁদপুর যাচ্ছিলেন নাজমুল। ফেরি ডুবতে শুরু করলে আশপাশে থাকা কয়েকটি নৌযান ফেরির আরোহীদের উদ্ধার করতে এগিয়ে আসে। নাজমুলসহ কয়েকজনকে একটি ট্রলারে তুলে নেওয়া হয়। এরমধ্যে নয়টি ট্রাকসহ উল্টে যায় ফেরি রজনীগন্ধা-৭। দীর্ঘ সময় ফেরির একটি অংশ উল্টো অবস্থায় ভাসতে দেখা গেলেও পরে সেটি ধীরে ধীরে ডুবে যায়। ফায়ার সার্ভিস কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানান, তাদের ডুবুরিরা মোট ছয়জনকে ঘটনাস্থল থেকে জীবিত উদ্ধার করেছেন। কারো মৃত্যুর তথ্য তাদের কাছে নেই। তবে ফেরির সেকেন্ড ড্রাইভার হুমায়ূন কবিরের (৩৯) খোঁজ মেলেনি। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি নৌবাহিনী ডুবুরি দলও সেখানে তল্লাশিতে যোগ দিয়েছে বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে। উদ্ধার পাওয়া আরোহীদের মধ্যে এক ট্রাকের কর্মী শহিদুল ইসলাম এ ঘটনার জন্য ফেরির কর্মীদের গাফিলতিকে দায়ী করেছেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “পানি উঠে ডুবে গেছে। ঘাটের ২০০ মিটারের কাছে, তাও ডুবে গেছে। নিচ দিয়ে পানি উঠছে। ফেরিওয়ালারা ঘাট কর্তৃপক্ষ কাউকে জানায়নি। তারা এখন বলছে বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবছে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কর্যালয়ের ডিজিএম শাহ খালেদ নেওয়াজ বলেন, “বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবছে-এতটুকু তথ্যই আমার কাছে আছে। নিচ দিয়ে পানি উঠে ফেরি ডোবার যে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীরা করছেন, সেটা খতিয়ে দেখা হবে।”
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, ডুবে যাওয়া ফেরিটি উদ্ধারে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে পাটুরিয়ায় পৌঁছেছে বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ ‘হামজা’। আরেক উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তমও মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ঘাট থেকে রওনা হয়েছে। “আরিচা নদী বন্দরের উদ্ধারকারী দল সেখানে উদ্ধার কার্যক্রমে যোগ দিয়েছে। বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তাফা এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উদ্ধার কার্যক্রমের তদারকি করতে ইতোমধ্যে রওনা দিয়েছেন।”
ফেরি ডুবির নতুন কারণ জানাল নৌপুলিশ: বাল্কহেডের ধাক্কায় নয়, বেশি পুরোনো হওয়ায় এবং ওভারলোড থাকায় রজনীগন্ধা ফেরিটি ডুবে গেছে বলে নতুন করে দাবি করেছে নৌপুলিশ। ফরিদপুর অঞ্চলের নৌপুলিশের পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, বুধবার সকালে তলা ফেটে ৯টি ট্রাক নিয়ে পাটুরিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটের অদূরে রজনীগন্ধা ফেরিটি ডুবে যায়। পরে ফেরিতে থাকা ২০ জনকে উদ্ধার করা হয়। ফেরিটি অনেক পুরাতন এবং ওভারলোড থাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে ফেরিতে থাকা চুয়াডাঙ্গা থেকে আসা পণ্যবোঝাই ট্রাকের মালিক নাজমুল হোসেন (৩৩) বলেন, সকাল সাড়ে ৬টার পর নোঙর করা ফেরির পেছন দিয়ে পানি উঠতে থাকলে আমরা ফেরির লোকজনকে ডেকে বলি। কিন্তু তারা বিষয়টি তোয়াক্কা করেননি। তারা ইচ্ছা করলে ফেরিটি দ্রুত স্টার্ট করে তীরে নিয়ে যেতে পারতেন। ফেরিতে কোনো কিছু ধাক্কা দেয়নি। তলা ফেটেই ফেরিটি ডুবে যায়। আরেক প্রত্যক্ষদর্শী ট্রাকচালকের সহকারী শহিদুল ইসলাম জানান, ফেরিতে থাকা সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের গাফিলতিতে এটি ডুবেছে। তারা ঘাট কর্তৃপক্ষকে জানায়নি। ঘাটের ২০০ মিটারের কাছে ডুবেছে। তারা এখন বলছে বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবেছে। মিথ্যা বলছে। এর আগে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ সাংবাদিকদের বলেন, এতটুকু তথ্য পেয়েছি যে বাল্কহেডের ধাক্কায় ফেরিটি ডুবে গেছে। তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি খতিয়ে দেখা হবে। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ৮টার দিকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথের পাটুরিয়া প্রান্তে পদ্মা নদীতে ৯টি যানবাহন নিয়ে ডুবে যায় নোঙর করে রাখা ফেরি রজনীগন্ধা। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি, ১০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। হুমায়ূন কবীর নামে ফেরিটির দ্বিতীয় যন্ত্রচালক এখনো নিখোঁজ আছেন।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পদ্মায় ফেরি ডুবি, কারণ নিয়ে বিভ্রান্তি

আপডেট সময় : ১২:৪০:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৪

প্রত্যাশা ডেস্ক : মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট সংলগ্ন পদ্মা নদীতে ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধায় ভোর থেকে পানি উঠছিল বলে দাবি করেছেন উদ্ধার পাওয়া দুইজন। ফেরিতে থাকা ট্রাক মালিক, কুষ্টিয়া জেলার বাসিন্দা নাজমুল ইসলাম পাটুরিয়া ঘাটে সাংবাদিকদের বলেন, “কোনো বাল্কহেড ধাক্কা দেয়নি। নিচ দিয়ে পানি উঠে ডুবে গেছে।”
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় জানায়, ইউটিলিটি ফেরি ‘রজনীগন্ধা’ মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে দৌলতদিয়া থেকে সাতটি ছোট ট্রাক এবং দুটি বড় ট্রাক নিয়ে পাটুরিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়। কিন্তু পাটুরিয়ার কাছাকাছি গিয়ে ঘন কুয়াশার কারণে নদীতে নোঙ্গর করে। সকাল ৮টার দিকে ৫ নম্বর ঘাটের কাছাকাছি গিয়ে সেটি দুর্ঘটনায় পড়ে। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সকালে বলেন, “একটি ছোট মালবাহী জাহাজ ফেরিটিকে ধাক্কা দিলে সেটি ডুবে যায়।” তবে ট্রাক মালিক নাজমুল বলছেন, ভোর ৪টার দিকে ফেরির তলা দিয়ে পানি ওঠা শুরু করে। সকালের দিকে ফেরি ডুবতে শুরু করে। ট্রাকে করে মালামাল নিয়ে চাঁদপুর যাচ্ছিলেন নাজমুল। ফেরি ডুবতে শুরু করলে আশপাশে থাকা কয়েকটি নৌযান ফেরির আরোহীদের উদ্ধার করতে এগিয়ে আসে। নাজমুলসহ কয়েকজনকে একটি ট্রলারে তুলে নেওয়া হয়। এরমধ্যে নয়টি ট্রাকসহ উল্টে যায় ফেরি রজনীগন্ধা-৭। দীর্ঘ সময় ফেরির একটি অংশ উল্টো অবস্থায় ভাসতে দেখা গেলেও পরে সেটি ধীরে ধীরে ডুবে যায়। ফায়ার সার্ভিস কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানান, তাদের ডুবুরিরা মোট ছয়জনকে ঘটনাস্থল থেকে জীবিত উদ্ধার করেছেন। কারো মৃত্যুর তথ্য তাদের কাছে নেই। তবে ফেরির সেকেন্ড ড্রাইভার হুমায়ূন কবিরের (৩৯) খোঁজ মেলেনি। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি নৌবাহিনী ডুবুরি দলও সেখানে তল্লাশিতে যোগ দিয়েছে বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে। উদ্ধার পাওয়া আরোহীদের মধ্যে এক ট্রাকের কর্মী শহিদুল ইসলাম এ ঘটনার জন্য ফেরির কর্মীদের গাফিলতিকে দায়ী করেছেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “পানি উঠে ডুবে গেছে। ঘাটের ২০০ মিটারের কাছে, তাও ডুবে গেছে। নিচ দিয়ে পানি উঠছে। ফেরিওয়ালারা ঘাট কর্তৃপক্ষ কাউকে জানায়নি। তারা এখন বলছে বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবছে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কর্যালয়ের ডিজিএম শাহ খালেদ নেওয়াজ বলেন, “বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবছে-এতটুকু তথ্যই আমার কাছে আছে। নিচ দিয়ে পানি উঠে ফেরি ডোবার যে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীরা করছেন, সেটা খতিয়ে দেখা হবে।”
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, ডুবে যাওয়া ফেরিটি উদ্ধারে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে পাটুরিয়ায় পৌঁছেছে বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ ‘হামজা’। আরেক উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তমও মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ঘাট থেকে রওনা হয়েছে। “আরিচা নদী বন্দরের উদ্ধারকারী দল সেখানে উদ্ধার কার্যক্রমে যোগ দিয়েছে। বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তাফা এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উদ্ধার কার্যক্রমের তদারকি করতে ইতোমধ্যে রওনা দিয়েছেন।”
ফেরি ডুবির নতুন কারণ জানাল নৌপুলিশ: বাল্কহেডের ধাক্কায় নয়, বেশি পুরোনো হওয়ায় এবং ওভারলোড থাকায় রজনীগন্ধা ফেরিটি ডুবে গেছে বলে নতুন করে দাবি করেছে নৌপুলিশ। ফরিদপুর অঞ্চলের নৌপুলিশের পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, বুধবার সকালে তলা ফেটে ৯টি ট্রাক নিয়ে পাটুরিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটের অদূরে রজনীগন্ধা ফেরিটি ডুবে যায়। পরে ফেরিতে থাকা ২০ জনকে উদ্ধার করা হয়। ফেরিটি অনেক পুরাতন এবং ওভারলোড থাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে ফেরিতে থাকা চুয়াডাঙ্গা থেকে আসা পণ্যবোঝাই ট্রাকের মালিক নাজমুল হোসেন (৩৩) বলেন, সকাল সাড়ে ৬টার পর নোঙর করা ফেরির পেছন দিয়ে পানি উঠতে থাকলে আমরা ফেরির লোকজনকে ডেকে বলি। কিন্তু তারা বিষয়টি তোয়াক্কা করেননি। তারা ইচ্ছা করলে ফেরিটি দ্রুত স্টার্ট করে তীরে নিয়ে যেতে পারতেন। ফেরিতে কোনো কিছু ধাক্কা দেয়নি। তলা ফেটেই ফেরিটি ডুবে যায়। আরেক প্রত্যক্ষদর্শী ট্রাকচালকের সহকারী শহিদুল ইসলাম জানান, ফেরিতে থাকা সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের গাফিলতিতে এটি ডুবেছে। তারা ঘাট কর্তৃপক্ষকে জানায়নি। ঘাটের ২০০ মিটারের কাছে ডুবেছে। তারা এখন বলছে বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবেছে। মিথ্যা বলছে। এর আগে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ সাংবাদিকদের বলেন, এতটুকু তথ্য পেয়েছি যে বাল্কহেডের ধাক্কায় ফেরিটি ডুবে গেছে। তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি খতিয়ে দেখা হবে। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ৮টার দিকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথের পাটুরিয়া প্রান্তে পদ্মা নদীতে ৯টি যানবাহন নিয়ে ডুবে যায় নোঙর করে রাখা ফেরি রজনীগন্ধা। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি, ১০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। হুমায়ূন কবীর নামে ফেরিটির দ্বিতীয় যন্ত্রচালক এখনো নিখোঁজ আছেন।