ঢাকা ১২:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

পদার্থ বিজ্ঞানী হিরন্ময় সেন গুপ্তের জীবনাবসান

  • আপডেট সময় : ০২:৩৭:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২২
  • ১৫০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : খ্যাতিমান নিউক্লিয়ার পদার্থ বিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক হিরন্ময় সেন গুপ্ত মারা গেছেন।
গতকাল শনিবার প্রথম প্রহরে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম। হিরন্ময় সেন গুপ্তের বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। স্ত্রী ও দুই ছেলে রেখে গেছেন তিনি। প্রখ্যাত এই পদার্থ বিজ্ঞানী ঢাবির পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান এবং জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। এই দুই কর্মস্থলে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে পোস্তগোলা শশ্মানে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে বলে জানান ওবায়দুল ইসলাম। এই পদার্থ বিজ্ঞানীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান। শোক বার্তায় তিনি বলেন, হিরন্ময় সেন গুপ্ত ছিলেন অত্যন্ত সৎ, দেশপ্রেমিক, অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নিউক্লিয়ার পদার্থবিজ্ঞানী।
“অমায়িক ব্যবহারের জন্য সহজ-সরল প্রকৃতির এই গুণী অধ্যাপক বিভাগীয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকলের কাছে অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন। পদার্থ বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসারে বিশেষ করে নিউক্লিয়ার পদার্থ বিজ্ঞানের গবেষণায় অসামান্য অবদানের জন্য ড. হিরন্ময় সেন গুপ্ত স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।”
হিরন্ময় সেন গুপ্ত ১৯৫৫ থেকে ২০০০ পর্যন্ত সাল পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৩ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সুপারভাইজার জোসেফ রটব্ল্যাটের অধীনে নিউক্লিয়ার পদার্থবিজ্ঞানের উপর পিএইচডি করেন।
১৯৭৩-১৯৭৬ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ফিজিক্স ল্যাবরেটরি এবং ১৯৮১-১৮৮২ সালে বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে পোস্টডক্টরাল গবেষণা করেন তিনি।
১৯৮২-১৯৯২ ইতালির ত্রিয়েস্তে অবস্থিত আব্দুস সালাম ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর থিওরিটিক্যাল ফিজিক্স (আইসিটিপি) এর জ্যেষ্ঠ সহযোগী ছিলেন তিনি। তিনি ২০০ এর বেশি জার্নাল পেপার প্রকাশ করেছেন। ১৯৭৭ সাল থেকে বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির ফেলো ছিলেন। শিক্ষা ও গবেষণায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মমতা ব্যানার্জীকে গ্রেফতার করা উচিত: আসামের মুখ্যমন্ত্রী

পদার্থ বিজ্ঞানী হিরন্ময় সেন গুপ্তের জীবনাবসান

আপডেট সময় : ০২:৩৭:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : খ্যাতিমান নিউক্লিয়ার পদার্থ বিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক হিরন্ময় সেন গুপ্ত মারা গেছেন।
গতকাল শনিবার প্রথম প্রহরে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম। হিরন্ময় সেন গুপ্তের বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। স্ত্রী ও দুই ছেলে রেখে গেছেন তিনি। প্রখ্যাত এই পদার্থ বিজ্ঞানী ঢাবির পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান এবং জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। এই দুই কর্মস্থলে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে পোস্তগোলা শশ্মানে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে বলে জানান ওবায়দুল ইসলাম। এই পদার্থ বিজ্ঞানীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান। শোক বার্তায় তিনি বলেন, হিরন্ময় সেন গুপ্ত ছিলেন অত্যন্ত সৎ, দেশপ্রেমিক, অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নিউক্লিয়ার পদার্থবিজ্ঞানী।
“অমায়িক ব্যবহারের জন্য সহজ-সরল প্রকৃতির এই গুণী অধ্যাপক বিভাগীয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকলের কাছে অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন। পদার্থ বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসারে বিশেষ করে নিউক্লিয়ার পদার্থ বিজ্ঞানের গবেষণায় অসামান্য অবদানের জন্য ড. হিরন্ময় সেন গুপ্ত স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।”
হিরন্ময় সেন গুপ্ত ১৯৫৫ থেকে ২০০০ পর্যন্ত সাল পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৩ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সুপারভাইজার জোসেফ রটব্ল্যাটের অধীনে নিউক্লিয়ার পদার্থবিজ্ঞানের উপর পিএইচডি করেন।
১৯৭৩-১৯৭৬ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ফিজিক্স ল্যাবরেটরি এবং ১৯৮১-১৮৮২ সালে বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে পোস্টডক্টরাল গবেষণা করেন তিনি।
১৯৮২-১৯৯২ ইতালির ত্রিয়েস্তে অবস্থিত আব্দুস সালাম ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর থিওরিটিক্যাল ফিজিক্স (আইসিটিপি) এর জ্যেষ্ঠ সহযোগী ছিলেন তিনি। তিনি ২০০ এর বেশি জার্নাল পেপার প্রকাশ করেছেন। ১৯৭৭ সাল থেকে বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির ফেলো ছিলেন। শিক্ষা ও গবেষণায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।