ঢাকা ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫

পতন ঠেকাতে নতুন সার্কিট ব্রেকার

  • আপডেট সময় : ০১:৩১:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ মার্চ ২০২২
  • ৯২ বার পড়া হয়েছে

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : নি¤œমুখী পুঁজিবাজারের পতনের ধারা নিয়ন্ত্রণে নতুন সার্কিট ব্রেকার আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আপৎকালীন এই নিয়মে কোনো শেয়ারের দাম ২ শতাংশের বেশি কমতে পারবে না। তবে বাড়তে পারবে আগের নিয়মেই, অর্থাৎ ১০ শতাংশ। আজ বুধবার থেকে এই নতুন সার্কিট ব্রেকার কার্যকর হবে। মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ে বিএসইসির কনফারেন্স রুমে প্রতিষ্ঠানটির কমিশনার ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের এ কথা জানান। গত বছরের প্রায় ১০ মাস ঊর্ধ্বমুখী ছিল দেশের শেয়ারবাজার। অক্টোবর থেকে নি¤œমুখী হতে থাকে, যা এখনো চলছে। ফলে বেশ কিছু শেয়ারে বিনিয়োগ আটকে গেছে বিনিয়োগকারীদের। এর মধ্যে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ডামাঢোল। গত আট কার্যদিবসের সাত দিনই পতন ঘটে বাজারে। আর তাতে প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক কমে যায় ৪৯২ পয়েন্ট। এর মধ্যে রবিবার ও সোমবার- এই দুই দিনে কমেছে ২৩৯ পয়েন্ট।
সেই আতঙ্কে আজও লেনদেন শুরু হয় নি¤œমুখী ধারায়। আধা ঘণ্টার মধ্যে ডিএসইর প্রধান সূচক দেড় শ পয়েন্টের বেশি পড়ে যায়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। লোকসানেও বিক্রির চাপ বেড়ে যায়। অনেক ব্রোকারেজ হাউস শেয়ার বিক্রি করে বিনিয়োগকারীর ঋণ সমন্বয় করতে থাকে। তাতে নড়েচড়ে বসে নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ বাজার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ। এমনই পরিস্থিতিতে বাজারে নতুন সার্কিট ব্রেকার নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বুধবার থেকে সার্কিট ব্রেকারের নতুন নিয়ম অনুযায়ী শেয়ার দর সর্বোচ্চ বাড়তে পারবে ১০ শতাংশ। আর সর্বোচ্চ কমতে পারবে ২ শতাংশ। একই সঙ্গে বাজারে স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড ও ব্যাংকের বিনিয়োগর কথাও জানান কমিশনার শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড থেকে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের জন্য আইসিবিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আইসিবি ইতোমধ্যে এটা নিয়ে কাজ শুরু করেছে।
শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ জানান, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর যে ২০০ কোটি টাকা করে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের কথা রয়েছে, বর্তমানে তা বিনিয়োগের জন্য ব্যাংকগুলোকে উৎসাহ দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেজন্য তিনি বিএসইসির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংককে ধন্যবাদ জানান। বিএসইসি কমিশনার বলেন, যেসব ব্যাংক এখনো ফান্ড গঠন করেনি, তাদের ফান্ড গঠন করার জন্যও বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশনা দিয়েছে। দিন শেষে ইতিবাচক ধারায় ফেরে বাজার। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৭ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৪৭৪ পয়েন্টে উঠে এসেছে। এর আগে ২০১৯ সালে দেশে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলে শেয়ারবাজারে ভয়াবহ ধস নামে। পতন ঠেকাতে ওই বছরের ১৯ মার্চ খায়রুল হোসেন কমিশন প্রতিটি কোম্পানির শেয়ারের সর্বনি¤œ দাম বেঁধে দিয়ে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দেয়। এর আগে ১৮ মার্চ দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স নেমেছিল ৩ হাজার ৬০০ পয়েন্টে। ফ্লোর প্রাইসের কারণে নির্ধারিত সীমার নিচে শেয়ারের দাম না নামায় ২৫ মার্চ ডিএসইএক্স সূচকটি বেড়ে দাঁড়ায় চার হাজার পয়েন্টে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পতন ঠেকাতে নতুন সার্কিট ব্রেকার

আপডেট সময় : ০১:৩১:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ মার্চ ২০২২

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : নি¤œমুখী পুঁজিবাজারের পতনের ধারা নিয়ন্ত্রণে নতুন সার্কিট ব্রেকার আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আপৎকালীন এই নিয়মে কোনো শেয়ারের দাম ২ শতাংশের বেশি কমতে পারবে না। তবে বাড়তে পারবে আগের নিয়মেই, অর্থাৎ ১০ শতাংশ। আজ বুধবার থেকে এই নতুন সার্কিট ব্রেকার কার্যকর হবে। মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ে বিএসইসির কনফারেন্স রুমে প্রতিষ্ঠানটির কমিশনার ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের এ কথা জানান। গত বছরের প্রায় ১০ মাস ঊর্ধ্বমুখী ছিল দেশের শেয়ারবাজার। অক্টোবর থেকে নি¤œমুখী হতে থাকে, যা এখনো চলছে। ফলে বেশ কিছু শেয়ারে বিনিয়োগ আটকে গেছে বিনিয়োগকারীদের। এর মধ্যে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ডামাঢোল। গত আট কার্যদিবসের সাত দিনই পতন ঘটে বাজারে। আর তাতে প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক কমে যায় ৪৯২ পয়েন্ট। এর মধ্যে রবিবার ও সোমবার- এই দুই দিনে কমেছে ২৩৯ পয়েন্ট।
সেই আতঙ্কে আজও লেনদেন শুরু হয় নি¤œমুখী ধারায়। আধা ঘণ্টার মধ্যে ডিএসইর প্রধান সূচক দেড় শ পয়েন্টের বেশি পড়ে যায়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। লোকসানেও বিক্রির চাপ বেড়ে যায়। অনেক ব্রোকারেজ হাউস শেয়ার বিক্রি করে বিনিয়োগকারীর ঋণ সমন্বয় করতে থাকে। তাতে নড়েচড়ে বসে নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ বাজার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ। এমনই পরিস্থিতিতে বাজারে নতুন সার্কিট ব্রেকার নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বুধবার থেকে সার্কিট ব্রেকারের নতুন নিয়ম অনুযায়ী শেয়ার দর সর্বোচ্চ বাড়তে পারবে ১০ শতাংশ। আর সর্বোচ্চ কমতে পারবে ২ শতাংশ। একই সঙ্গে বাজারে স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড ও ব্যাংকের বিনিয়োগর কথাও জানান কমিশনার শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড থেকে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের জন্য আইসিবিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আইসিবি ইতোমধ্যে এটা নিয়ে কাজ শুরু করেছে।
শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ জানান, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর যে ২০০ কোটি টাকা করে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের কথা রয়েছে, বর্তমানে তা বিনিয়োগের জন্য ব্যাংকগুলোকে উৎসাহ দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেজন্য তিনি বিএসইসির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংককে ধন্যবাদ জানান। বিএসইসি কমিশনার বলেন, যেসব ব্যাংক এখনো ফান্ড গঠন করেনি, তাদের ফান্ড গঠন করার জন্যও বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশনা দিয়েছে। দিন শেষে ইতিবাচক ধারায় ফেরে বাজার। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৭ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৪৭৪ পয়েন্টে উঠে এসেছে। এর আগে ২০১৯ সালে দেশে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলে শেয়ারবাজারে ভয়াবহ ধস নামে। পতন ঠেকাতে ওই বছরের ১৯ মার্চ খায়রুল হোসেন কমিশন প্রতিটি কোম্পানির শেয়ারের সর্বনি¤œ দাম বেঁধে দিয়ে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দেয়। এর আগে ১৮ মার্চ দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স নেমেছিল ৩ হাজার ৬০০ পয়েন্টে। ফ্লোর প্রাইসের কারণে নির্ধারিত সীমার নিচে শেয়ারের দাম না নামায় ২৫ মার্চ ডিএসইএক্স সূচকটি বেড়ে দাঁড়ায় চার হাজার পয়েন্টে।