ঢাকা ০৫:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পতনে শেয়ারবাজার, কমেছে লেনদেন

  • আপডেট সময় : ০৮:৩৯:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আবারও লেনদেনের গতি কমতে দেখা যাচ্ছে দেশের শেয়ারবাজারে। সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস গতকাল বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। সেইসঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মতো অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম কমার তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট।

ফলে এ বাজারটিতেও কমেছে মূল্যসূচক। তবে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। এর মাধ্যমে চলতি সপ্তাহে লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসেই পতনের মধ্যে থাকলো শেয়ারবাজার। এর আগে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমলেও উভয় বাজারে লেনদেন বাড়ে। ডিএসইতে বছরের সর্বোচ্চ লেনদেন হওয়ার ঘটনাও ঘটে। গত বছরের ৬ নভেম্বরের পর বাজারটিতে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়। কিন্তু এক কার্যদিবস পরেই আবার লেনদেনের গতি কমে যেতে দেখা গেলো। বুধবার ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতেই সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। লেনদেনের প্রথম আধাঘণ্টা বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকে।

কিন্তু এরপর দাম বাড়ার তালিকা থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান দাম কামার তালিকায় চলে আসে। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে দরপতনের মাত্রাও বাড়তে থাকে। ফলে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে ১০৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২২৮টির। এছাড়া ৬৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১০ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ১৯২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৫৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯১৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪২৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫৯৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ১৭২ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এ লেনদেনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে মিডল্যান্ড ব্যাংকের শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ২২ কোটি ৮৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

দ্বিতীয় স্থানে থাকা লাভেলো আইসক্রিমের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৩১ টাকার। ১২ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- গ্রামীণফোন, রবি, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, অগ্নি সিস্টেম, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স, এনআরবি ব্যাংক এবং মেঘনা পেট্রোলিয়াম। অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৬১ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮২ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৩টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৮টির এবং ২১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পতনে শেয়ারবাজার, কমেছে লেনদেন

আপডেট সময় : ০৮:৩৯:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : আবারও লেনদেনের গতি কমতে দেখা যাচ্ছে দেশের শেয়ারবাজারে। সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস গতকাল বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। সেইসঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মতো অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম কমার তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট।

ফলে এ বাজারটিতেও কমেছে মূল্যসূচক। তবে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। এর মাধ্যমে চলতি সপ্তাহে লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসেই পতনের মধ্যে থাকলো শেয়ারবাজার। এর আগে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমলেও উভয় বাজারে লেনদেন বাড়ে। ডিএসইতে বছরের সর্বোচ্চ লেনদেন হওয়ার ঘটনাও ঘটে। গত বছরের ৬ নভেম্বরের পর বাজারটিতে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়। কিন্তু এক কার্যদিবস পরেই আবার লেনদেনের গতি কমে যেতে দেখা গেলো। বুধবার ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতেই সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। লেনদেনের প্রথম আধাঘণ্টা বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকে।

কিন্তু এরপর দাম বাড়ার তালিকা থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান দাম কামার তালিকায় চলে আসে। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে দরপতনের মাত্রাও বাড়তে থাকে। ফলে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে ১০৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২২৮টির। এছাড়া ৬৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১০ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ১৯২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৫৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯১৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪২৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫৯৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ১৭২ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এ লেনদেনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে মিডল্যান্ড ব্যাংকের শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ২২ কোটি ৮৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

দ্বিতীয় স্থানে থাকা লাভেলো আইসক্রিমের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৩১ টাকার। ১২ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- গ্রামীণফোন, রবি, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, অগ্নি সিস্টেম, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স, এনআরবি ব্যাংক এবং মেঘনা পেট্রোলিয়াম। অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৬১ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮২ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৩টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৮টির এবং ২১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।