স্বাস্থ্য ডেস্ক : চিনির প্রলেপ দেওয়া চকলেট কিংবা জেলি-ধর্মী ক্যান্ডি কেনার আগে দুবার ভাবুন। কারণ ‘ইউরোপিয়ান ফুড সেফটি অথরিটি’র করা এক গবেষণায় দেখা গেছে প্রায় ৩ হাজারের বেশি জনপ্রিয় অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবারে রয়েছে বিষাক্ত টাইটানিয়াম ডাইঅক্সাইড। যা ঘর-বাড়ির রংয়ে ব্যবহার করা হয়। এই গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে ‘ইটদিস, নট দ্যাট’ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, এই ধরনের খাবার কোনোভাবেই মানব শরীরের জন্য নিরাপদ নয়। শতাধীক গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে এই রাসায়নিক ‘ডিএনএ’ ক্ষতিগ্রস্ত করে, কোষের পরিবর্তন ঘটায়। প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের পুষ্টিবিদ ‘এনভাইরনমেন্টাল ওয়ার্কিং গ্রুপ’ এবং এই গবেষণার সদস্য অরোরা মেডোস বলেন, “টাইটানিয়াম ডাইঅক্সাইড হচ্ছে সিনথেটিক খাবার রং। এই রাসায়নিক বাড়ি-ঘরের রংয়েও ব্যবহার করা হয় উজ্জ্বল দেখানোর জন্য।” তিনি আরও বলেন, “আমরা জানি না ঠিক কী কারণে প্রস্তুতকারকরা এটা ব্যবহার করছেন। তারা হয়ত ভাবছেন চিনির প্রলেপ দেওয়া ক্যান্ডি রঙিন করার জন্য এই রাসায়নিক নিরাপদ।”
তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, “যেমন বাড়ির দেওয়াল রং করার আগে প্রাইমার ব্যবহার করা হয় তেমনি ভাবে চিনির প্রলেপ দেওয়ার আগে ক্যান্ডির ওপর ঘোলাটে সাদা একটা আবরণ তৈরি করতে টাইটানিয়াম ডাইঅক্সাইড ব্যবহার করছেন প্রস্তুতকারকরা।” “খেয়াল করে দেখেবেন, চিনির প্রলেপ দেওয়া ক্যান্ডিগুলো- যেমন এমঅ্যান্ডএম বা স্কিটেলস ভাঙলে চিনির প্রলেপের নিচে সাদা বা ঘোলাটে সাদা একটা আবরণ থাকে।” ‘হ্যান্ডবুক অফ ফুড সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং’ বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে মেডোস আরও বলেন, “ঘোলাটে-সাদা বর্ণের জন্য বিভিন্ন ধরনের কম চর্বিযুক্ত বা চর্বিহীন সালাদ ড্রেসিং, দুগ্ধজাত খাবার, পোষ্য প্রাণীর খাবার, বেইকড সামগ্রীতেও ব্যবহার করা হয় টাইটানিয়াম ডাইঅক্সাইড।” তবে গবেষণার দুটি সীমাবদ্ধতার কথাও উল্লেখ করেন এই পুষ্টিবিদ।
একটি হল দেহগঠনের সঙ্গে এই রাসায়নিকের প্রভাব মূল্যায়ন না করা। এবং অন্যটি হল ক্যান্সারের ঝুঁকি নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়নি। তাই নিজে কিংবা শিশুদের হাতে এসব প্রক্রিয়াজাত খাবার তুলে না দিয়ে বরং তাজা ফল, বাদাম, সবজি অপ্রক্রিয়াজাত শষ্য এবং বীজ ধরনের খাবার বেছে নিতে পরামর্শ দেন এই পুষ্টিবিদ।
পছন্দের ক্যান্ডিতে থাকতে পারে বিষাক্ত রাসায়নিক
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ