ঢাকা ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পচা শেয়ারের দাপট অব্যাহত

  • আপডেট সময় : ০৫:৪৮:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : লোকসানে নিমজ্জিত, বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দেয় না, এমনকি নিয়মিত আর্থিক প্রতিবেদনও প্রকাশ করে না- এমন বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েই চলেছে। আগের সপ্তাহের মতো গত সপ্তাহেও দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছে পচা বা ‘জেড’ গ্রুপের কিছু প্রতিষ্ঠান। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম বাড়ার শীর্ষে থাকা ১০টির মধ্যে ৫টিই দখল করেছে জেড গ্রুপের প্রতিষ্ঠান। বাকি পাঁচটির মধ্যে ৩টি ‘বি’ গ্রুপের এবং দুইটি ‘এ’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে চারটি গ্রুপে ভাগ করা হয়। নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি থাকে ‘এন’ গ্রুপে। তালিকাভুক্তির পর এক আর্থিক বছর পার হলে কোম্পানিগুলো ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘জেড’ গ্রুপে বিভক্ত হয়। এর মধ্যে ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া কোম্পানির স্থান হয় ‘এ’ গ্রুপে। ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া কোম্পানি থাকে ‘বি’ গ্রুপে।

এছাড়া লভ্যাংশ না দিতে পারা কোম্পানির স্থান হয় ‘জেড’ গ্রুপে। জেড গ্রুপের কোম্পানিকে শেয়ারবাজারের পচা কোম্পানি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। জেড গ্রুপের যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার গত সপ্তাহে দাম বাড়ার শীর্ষ দশে স্থান করে নিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে- নিউ লাইন ক্লথিং, অ্যাপোলো ইস্পাত, নূরানী ডাইং, রিং শাইন টেক্সটাইল এবং রেনউইক যজ্ঞেশ্বর। এর মধ্যে নিউ লাইন ক্লথিং গত সপ্তাহে ডিএসইতে দাম বাড়ার শীর্ষস্থান দখল করেছে। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৮ দশমিক ৭২ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ২ টাকা ৭০ পয়সা। শেয়ারের এমন দাম বাড়া কোম্পানিটি ২০২১ সালের পর বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি।

এমনকি কোম্পানিটি নিয়মিত আর্থিক প্রতিবেদনও প্রকাশ করে না। ২০২২ সালের মার্চের পর কোম্পানিটি আর কোনো আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। ২০১৮ সালের পর বিনিয়োগকারীদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ দিতে পারেনি এমন এক কোম্পানি অ্যাপোলো ইস্পাত। এমনকি কোম্পানিটির রিজার্ভ বড় অঙ্কে ঋণাত্মক অবস্থায় রয়েছে। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটির রিজার্ভ ঋণাত্মক ৪৯৩ কোটি ২৭ লাখ টাকা। নিয়মিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে পারে না এই কোম্পানিটি। অথচ এই পচা কোম্পানির শেয়ার গত সপ্তাহ বড় দাপট দেখিয়েছে। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ। ৩ টাকা ৮০ পয়সা থেকে বেড়ে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা ৭০ পয়সা। অর্থাৎ প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ৯০ পয়সা। দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখানো আর এক পচা কোম্পানি নূরানী ডাইং। ২০২০ সালের পর বিনিয়োগকারীদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ দিতে না পারা এই কোম্পানির শেয়ারের দাম গত সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে ২৩ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। ৩ টাকা ৯০ পয়সা থেকে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ৪ টাকা ৮০ পয়সা। অর্থাৎ প্রতিটি শেয়ারের দাম ৯০ পয়সা বেড়েছে। শেয়ারের এমন দাম বাড়া কোম্পানিটি নিয়মিত আর্থিক প্রতিবেদনও প্রকাশ করে না। সর্বশেষ ২০২১ সালের মার্চে সমাপ্ত প্রান্তিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি।

ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসের ব্যবসায় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয় ৯৫ পয়সা। রিজার্ভ ঋণাত্মক, ব্যবসায় লোকসান, বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিতে পারে না এমন আর একটি কোম্পানি রিং শাইন টেক্সটাইল। এই কোম্পানিও গত সপ্তাহে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছে। গত সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ১৫ শতাংশ। ৪ টাকা থেকে বেড়ে শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা ৬০ পয়সা। অর্থাৎ প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ৬০ পয়সা। ২০১৯ সালের পর বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দিতে না পারা এই কোম্পানির রিজার্ভ ঋণাত্মক ৯০২ কোটি ১৭ লাখ টাকা। সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানিটি ২০২৪ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসের ব্যবসায় শেয়ারপ্রতি লোকসান করেছে ৭৯ পয়সা। শেয়ারের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখানো আর এক পচ কোম্পানি রেনউইক যজ্ঞেশ্বর। সপ্তাহজুড়ে এই কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে ১২ দশমিক ৮৪ শতাংশ। ৫৫০ টাকা থেকে বেড়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ৬২০ টাকা ৬০ পয়সায় উঠেছে। অর্থাৎ প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ৭০ টাকা ৬০ পয়সা।

শেয়ারের এমন দাম হলেও কোম্পানিটি বছরের পর বছর ধরে লোকসানে নিমজ্জিত। যে কারণে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিতে পারে না। ২০১৮ সালের পর বিনিয়োগকারীদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ দিতে না পারা এই কোম্পানির রিজার্ভ ঋণাত্মক ২২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসের ব্যবসায় কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি ৭ টাকা ৫৬ পয়সা লোকসান করেছে।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আইন-বিবেক অনুযায়ী ডিসিদের কাজ করার নির্দেশনা আইন উপদেষ্টার

পচা শেয়ারের দাপট অব্যাহত

আপডেট সময় : ০৫:৪৮:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : লোকসানে নিমজ্জিত, বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দেয় না, এমনকি নিয়মিত আর্থিক প্রতিবেদনও প্রকাশ করে না- এমন বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েই চলেছে। আগের সপ্তাহের মতো গত সপ্তাহেও দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছে পচা বা ‘জেড’ গ্রুপের কিছু প্রতিষ্ঠান। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম বাড়ার শীর্ষে থাকা ১০টির মধ্যে ৫টিই দখল করেছে জেড গ্রুপের প্রতিষ্ঠান। বাকি পাঁচটির মধ্যে ৩টি ‘বি’ গ্রুপের এবং দুইটি ‘এ’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে চারটি গ্রুপে ভাগ করা হয়। নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি থাকে ‘এন’ গ্রুপে। তালিকাভুক্তির পর এক আর্থিক বছর পার হলে কোম্পানিগুলো ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘জেড’ গ্রুপে বিভক্ত হয়। এর মধ্যে ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া কোম্পানির স্থান হয় ‘এ’ গ্রুপে। ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া কোম্পানি থাকে ‘বি’ গ্রুপে।

এছাড়া লভ্যাংশ না দিতে পারা কোম্পানির স্থান হয় ‘জেড’ গ্রুপে। জেড গ্রুপের কোম্পানিকে শেয়ারবাজারের পচা কোম্পানি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। জেড গ্রুপের যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার গত সপ্তাহে দাম বাড়ার শীর্ষ দশে স্থান করে নিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে- নিউ লাইন ক্লথিং, অ্যাপোলো ইস্পাত, নূরানী ডাইং, রিং শাইন টেক্সটাইল এবং রেনউইক যজ্ঞেশ্বর। এর মধ্যে নিউ লাইন ক্লথিং গত সপ্তাহে ডিএসইতে দাম বাড়ার শীর্ষস্থান দখল করেছে। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৮ দশমিক ৭২ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ২ টাকা ৭০ পয়সা। শেয়ারের এমন দাম বাড়া কোম্পানিটি ২০২১ সালের পর বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি।

এমনকি কোম্পানিটি নিয়মিত আর্থিক প্রতিবেদনও প্রকাশ করে না। ২০২২ সালের মার্চের পর কোম্পানিটি আর কোনো আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। ২০১৮ সালের পর বিনিয়োগকারীদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ দিতে পারেনি এমন এক কোম্পানি অ্যাপোলো ইস্পাত। এমনকি কোম্পানিটির রিজার্ভ বড় অঙ্কে ঋণাত্মক অবস্থায় রয়েছে। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটির রিজার্ভ ঋণাত্মক ৪৯৩ কোটি ২৭ লাখ টাকা। নিয়মিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে পারে না এই কোম্পানিটি। অথচ এই পচা কোম্পানির শেয়ার গত সপ্তাহ বড় দাপট দেখিয়েছে। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ। ৩ টাকা ৮০ পয়সা থেকে বেড়ে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা ৭০ পয়সা। অর্থাৎ প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ৯০ পয়সা। দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখানো আর এক পচা কোম্পানি নূরানী ডাইং। ২০২০ সালের পর বিনিয়োগকারীদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ দিতে না পারা এই কোম্পানির শেয়ারের দাম গত সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে ২৩ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। ৩ টাকা ৯০ পয়সা থেকে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ৪ টাকা ৮০ পয়সা। অর্থাৎ প্রতিটি শেয়ারের দাম ৯০ পয়সা বেড়েছে। শেয়ারের এমন দাম বাড়া কোম্পানিটি নিয়মিত আর্থিক প্রতিবেদনও প্রকাশ করে না। সর্বশেষ ২০২১ সালের মার্চে সমাপ্ত প্রান্তিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি।

ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসের ব্যবসায় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয় ৯৫ পয়সা। রিজার্ভ ঋণাত্মক, ব্যবসায় লোকসান, বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিতে পারে না এমন আর একটি কোম্পানি রিং শাইন টেক্সটাইল। এই কোম্পানিও গত সপ্তাহে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছে। গত সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ১৫ শতাংশ। ৪ টাকা থেকে বেড়ে শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা ৬০ পয়সা। অর্থাৎ প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ৬০ পয়সা। ২০১৯ সালের পর বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দিতে না পারা এই কোম্পানির রিজার্ভ ঋণাত্মক ৯০২ কোটি ১৭ লাখ টাকা। সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানিটি ২০২৪ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসের ব্যবসায় শেয়ারপ্রতি লোকসান করেছে ৭৯ পয়সা। শেয়ারের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখানো আর এক পচ কোম্পানি রেনউইক যজ্ঞেশ্বর। সপ্তাহজুড়ে এই কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে ১২ দশমিক ৮৪ শতাংশ। ৫৫০ টাকা থেকে বেড়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ৬২০ টাকা ৬০ পয়সায় উঠেছে। অর্থাৎ প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ৭০ টাকা ৬০ পয়সা।

শেয়ারের এমন দাম হলেও কোম্পানিটি বছরের পর বছর ধরে লোকসানে নিমজ্জিত। যে কারণে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিতে পারে না। ২০১৮ সালের পর বিনিয়োগকারীদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ দিতে না পারা এই কোম্পানির রিজার্ভ ঋণাত্মক ২২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসের ব্যবসায় কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি ৭ টাকা ৫৬ পয়সা লোকসান করেছে।