ঢাকা ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫

ন্যায়বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

  • আপডেট সময় : ১২:৫৬:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৩
  • ১৪৪ বার পড়া হয়েছে

নেত্রকোণা সংবাদদাতা: নেত্রকোণায় ঝর্তা হত্যার ন্যায় বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী।
গতকাল বৃহস্পতিবার গৃহবধূ ঝর্তা হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার ও ফাঁসির দাবিতে নেত্রকোণার সদর উপজেলার বাংলা বাজারে এলাকাবাসী মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে। এতে সর্বস্তরের মানুষসহ নিহতের সন্তান ও স্বামী অংশ নিয়ে ন্যায় বিচারের দাবি তুলে ধরেন। উল্লেখ্য, পূর্বধলা উপজেলার ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের আগমারকেন্ডা গ্রামের খোয়াজ খাঁর সাথে তার চাচাতো ভাই আলম খানের নানা বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গত ২৬ মার্চ খোয়াজ খাঁ পারিবারিক বিষয় নিয়ে তার মেয়ে তামান্নাকে মারধর করার সময় ফিরাতে গিয়ে স্ত্রী ঝর্তা আক্তার মারধরের শিকার হন। পরে ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে ২৭ মার্চ রাতে দুপক্ষে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে খোয়াজ খাঁর লোকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে আলম খানের স্ত্রী ঝর্তা আক্তার, ছেলে তামিম, ভাই পাপন, ভাইয়ের ছেলে মাহাবুব ও সাকিবকে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে প্রতিপক্ষের লোকজন রাত ১১টার দিকে ফের আহতদের ওপর হামলা চালিয়ে ঝর্নাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। প্রথমে তাকে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতাল থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঝর্তা আক্তার মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ভাই নেত্রকোণা সদর উপজেলার সিংহের বাংলা গ্রামের রুহুল আমিন বাদী হয়ে পূর্বধলা থানায় একটি মামলা করেন। মৃত্যুর পর ঝর্তার লাশ বাবার বাড়িতে দাফন করা হয়। এরপর ফিরোজ খাঁকে টাঙ্গাইল থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। মামলার অন্যতম আসামি এএসআই ফিরোজ খাঁ পুলিশের এন্টি টেরোরিজম ইউনিট ময়মনসিংহে কর্মরত ছিলেন। কর্মস্থল থেকে ছুটি ছাড়াই বাড়ি এসে তিনি বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। তিনি বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছেন। মানববন্ধনে বক্তারা মামলার চার্জশিট থেকে অন্যতম আসামি পুলিশ সদস্য ফিরোজ খাকে বাদ দেয়ার চেষ্টা করছে এমন অভিযোগ করে বলেন, পুলিশের আন্তরিকতার অভাব, দ্রুত তদন্তকাজ শেষ না করা সহ নানা কারণে এই মামলায় ন্যায় বিচার না পাওয়ায় আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। মামলায় জামিনপ্রাপ্ত আসামিরা বাদী পক্ষকে অব্যাহত হুমকি দিলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের লিখিত নির্দেশনার পরও ঝর্তা আক্তারের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়নি। এমনকি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে কোন খবরও নেওয়া হয়নি। নিহতের পরিবারের দাবি, বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলার চার্জশিট দিতে হবে। তাহলেই কেবল সকল অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা সম্ভব। মানববন্ধনে উপস্থিত এলাকাবাসীর মধ্যে বক্তব্য দেন- নিহতের স্বামী আলম খাঁ, নিহতের ভাই নুরুল আমিন, বাংলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাফিজা আক্তার, উজ্জ্বল নাগ, হাজী মো. আব্দুল জলিল, রানা সরকারসহ অনেকে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ন্যায়বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট সময় : ১২:৫৬:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৩

নেত্রকোণা সংবাদদাতা: নেত্রকোণায় ঝর্তা হত্যার ন্যায় বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী।
গতকাল বৃহস্পতিবার গৃহবধূ ঝর্তা হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার ও ফাঁসির দাবিতে নেত্রকোণার সদর উপজেলার বাংলা বাজারে এলাকাবাসী মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে। এতে সর্বস্তরের মানুষসহ নিহতের সন্তান ও স্বামী অংশ নিয়ে ন্যায় বিচারের দাবি তুলে ধরেন। উল্লেখ্য, পূর্বধলা উপজেলার ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের আগমারকেন্ডা গ্রামের খোয়াজ খাঁর সাথে তার চাচাতো ভাই আলম খানের নানা বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গত ২৬ মার্চ খোয়াজ খাঁ পারিবারিক বিষয় নিয়ে তার মেয়ে তামান্নাকে মারধর করার সময় ফিরাতে গিয়ে স্ত্রী ঝর্তা আক্তার মারধরের শিকার হন। পরে ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে ২৭ মার্চ রাতে দুপক্ষে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে খোয়াজ খাঁর লোকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে আলম খানের স্ত্রী ঝর্তা আক্তার, ছেলে তামিম, ভাই পাপন, ভাইয়ের ছেলে মাহাবুব ও সাকিবকে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে প্রতিপক্ষের লোকজন রাত ১১টার দিকে ফের আহতদের ওপর হামলা চালিয়ে ঝর্নাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। প্রথমে তাকে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতাল থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঝর্তা আক্তার মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ভাই নেত্রকোণা সদর উপজেলার সিংহের বাংলা গ্রামের রুহুল আমিন বাদী হয়ে পূর্বধলা থানায় একটি মামলা করেন। মৃত্যুর পর ঝর্তার লাশ বাবার বাড়িতে দাফন করা হয়। এরপর ফিরোজ খাঁকে টাঙ্গাইল থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। মামলার অন্যতম আসামি এএসআই ফিরোজ খাঁ পুলিশের এন্টি টেরোরিজম ইউনিট ময়মনসিংহে কর্মরত ছিলেন। কর্মস্থল থেকে ছুটি ছাড়াই বাড়ি এসে তিনি বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। তিনি বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছেন। মানববন্ধনে বক্তারা মামলার চার্জশিট থেকে অন্যতম আসামি পুলিশ সদস্য ফিরোজ খাকে বাদ দেয়ার চেষ্টা করছে এমন অভিযোগ করে বলেন, পুলিশের আন্তরিকতার অভাব, দ্রুত তদন্তকাজ শেষ না করা সহ নানা কারণে এই মামলায় ন্যায় বিচার না পাওয়ায় আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। মামলায় জামিনপ্রাপ্ত আসামিরা বাদী পক্ষকে অব্যাহত হুমকি দিলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের লিখিত নির্দেশনার পরও ঝর্তা আক্তারের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়নি। এমনকি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে কোন খবরও নেওয়া হয়নি। নিহতের পরিবারের দাবি, বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলার চার্জশিট দিতে হবে। তাহলেই কেবল সকল অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা সম্ভব। মানববন্ধনে উপস্থিত এলাকাবাসীর মধ্যে বক্তব্য দেন- নিহতের স্বামী আলম খাঁ, নিহতের ভাই নুরুল আমিন, বাংলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাফিজা আক্তার, উজ্জ্বল নাগ, হাজী মো. আব্দুল জলিল, রানা সরকারসহ অনেকে।