ঢাকা ০৮:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

নৌবাহিনীতে ৪৪ নবীন কর্মকর্তার কমিশন লাভ

  • আপডেট সময় : ০২:৫৯:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২১
  • ৭৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কর্মরত মিডশিপম্যান, ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসারসহ ৪৪ জন নবীন কর্মকর্তা কমিশন লাভ করেছেন। এদের মধ্যে ৫ জন নারী মিডশিপম্যান এবং ২ জন নারী ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার রয়েছেন।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজের মধ্য দিয়ে তারা কমিশনপ্রাপ্ত হন। আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার মিডশিপম্যান ২০১৯/এ ব্যাচ এবং ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার ২০২১/বি ব্যাচের শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্য দিয়ে নৌবাহিনীর ২০১৯/এ ব্যাচের ৩৬ জন মিডশিপম্যান এবং ২০২১/বি ব্যাচের ৮ জন ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসারসহ মোট ৪৪ জন নবীন কর্মকর্তা কমিশন লাভ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ নেভাল অ্যাকাডেমিতে অনুষ্ঠিত কুচকাওয়াজ দেখেন এবং সালাম গ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল বিভিন্ন বিষয়ে সর্বোচ্চ মান অর্জনকারীদের হাতে পদক তুলে দেন।
সদ্য কমিশনপ্রাপ্তদের মধ্যে মিডশিপম্যান ২০১৯/এ ব্যাচের মো. মোহতাসিম সিফাত সব বিষয়ে সর্বোচ্চ মান অর্জন করে সেরা চৌকস মিডশিপম্যান হিসেবে ‘সোর্ড অব অনার’ লাভ করেন। এছাড়া মিডশিপম্যান আলিফ আব্দুল্লাহ প্রশিক্ষণে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মান অর্জনকারী হিসেবে ‘নৌ-প্রধান স্বর্ণপদক’ এবং ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার ২০২১/বি ব্যাচ হতে অ্যাক্টিং সাব-লেফটেন্যান্ট মো. আব্দুল মমিন শ্রেষ্ঠ ফলাফল অর্জনকারী হিসেবে ‘বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিন স্বর্ণপদক’ অর্জন করেন।
কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের পর ভিডিও টেলিকনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার জাতির পিতার প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে নৌবাহিনীকে একটি যুগোপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, যুদ্ধজাহাজ সংযোজন এবং বিদ্যমান জাহাজগুলোর অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাস্তবমুখী পরিকল্পনা নিয়েছে। সমুদ্রসীমা রক্ষার পাশাপাশি সমুদ্র সম্পদকেও যেন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজে লাগানো যায় এ লক্ষ্য নিয়েই সরকার ব্লু-ইকোনমির বিভিন্ন কর্মকা-ে গুরুত্ব আরোপ করেছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আধুনিক যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন, হেলিকপ্টার, মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফটসহ আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সংযোজন করা হয়েছে। এ ছাড়া নৌবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে ভবিষ্যতে আরও উন্নততর জাহাজ এবং আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সংযোজনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পেকুয়ায় স্থায়ী সাবমেরিন ঘাঁটি বানৌজা শেখ হাসিনা নির্মাণের কাজ চলমান। নৌবাহিনীর দক্ষ ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত শিপইয়ার্ড ও ডকইয়ার্ডগুলো ইতোমধ্যে বাণিজ্যিক জাহাজের পাশাপাশি যুদ্ধজাহাজ নির্মাণের সক্ষমতা অর্জন করেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অটুট রাখার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে নবীন কর্মকর্তারা কাজ করে যাবেন বলে প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন। রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং শিক্ষা সমাপনী ব্যাচের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নৌবাহিনীতে ৪৪ নবীন কর্মকর্তার কমিশন লাভ

আপডেট সময় : ০২:৫৯:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কর্মরত মিডশিপম্যান, ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসারসহ ৪৪ জন নবীন কর্মকর্তা কমিশন লাভ করেছেন। এদের মধ্যে ৫ জন নারী মিডশিপম্যান এবং ২ জন নারী ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার রয়েছেন।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজের মধ্য দিয়ে তারা কমিশনপ্রাপ্ত হন। আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার মিডশিপম্যান ২০১৯/এ ব্যাচ এবং ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার ২০২১/বি ব্যাচের শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্য দিয়ে নৌবাহিনীর ২০১৯/এ ব্যাচের ৩৬ জন মিডশিপম্যান এবং ২০২১/বি ব্যাচের ৮ জন ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসারসহ মোট ৪৪ জন নবীন কর্মকর্তা কমিশন লাভ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ নেভাল অ্যাকাডেমিতে অনুষ্ঠিত কুচকাওয়াজ দেখেন এবং সালাম গ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল বিভিন্ন বিষয়ে সর্বোচ্চ মান অর্জনকারীদের হাতে পদক তুলে দেন।
সদ্য কমিশনপ্রাপ্তদের মধ্যে মিডশিপম্যান ২০১৯/এ ব্যাচের মো. মোহতাসিম সিফাত সব বিষয়ে সর্বোচ্চ মান অর্জন করে সেরা চৌকস মিডশিপম্যান হিসেবে ‘সোর্ড অব অনার’ লাভ করেন। এছাড়া মিডশিপম্যান আলিফ আব্দুল্লাহ প্রশিক্ষণে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মান অর্জনকারী হিসেবে ‘নৌ-প্রধান স্বর্ণপদক’ এবং ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার ২০২১/বি ব্যাচ হতে অ্যাক্টিং সাব-লেফটেন্যান্ট মো. আব্দুল মমিন শ্রেষ্ঠ ফলাফল অর্জনকারী হিসেবে ‘বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিন স্বর্ণপদক’ অর্জন করেন।
কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের পর ভিডিও টেলিকনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার জাতির পিতার প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে নৌবাহিনীকে একটি যুগোপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, যুদ্ধজাহাজ সংযোজন এবং বিদ্যমান জাহাজগুলোর অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাস্তবমুখী পরিকল্পনা নিয়েছে। সমুদ্রসীমা রক্ষার পাশাপাশি সমুদ্র সম্পদকেও যেন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজে লাগানো যায় এ লক্ষ্য নিয়েই সরকার ব্লু-ইকোনমির বিভিন্ন কর্মকা-ে গুরুত্ব আরোপ করেছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আধুনিক যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন, হেলিকপ্টার, মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফটসহ আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সংযোজন করা হয়েছে। এ ছাড়া নৌবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে ভবিষ্যতে আরও উন্নততর জাহাজ এবং আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সংযোজনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পেকুয়ায় স্থায়ী সাবমেরিন ঘাঁটি বানৌজা শেখ হাসিনা নির্মাণের কাজ চলমান। নৌবাহিনীর দক্ষ ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত শিপইয়ার্ড ও ডকইয়ার্ডগুলো ইতোমধ্যে বাণিজ্যিক জাহাজের পাশাপাশি যুদ্ধজাহাজ নির্মাণের সক্ষমতা অর্জন করেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অটুট রাখার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে নবীন কর্মকর্তারা কাজ করে যাবেন বলে প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন। রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং শিক্ষা সমাপনী ব্যাচের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।