ঢাকা ১০:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

নৌকা গুম-খুনের প্রতীক, জনগণ ভোট দেবে না: ১২ দলীয় জোট

  • আপডেট সময় : ০১:৩৪:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ১১০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, আওয়ামী লীগের একতরফা নির্বাচনমুখী অবস্থান দেখে মনে হয়, আগামী নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রগুলো আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে পরিণত হবে। আওয়ামী লীগ প্রতারক, নৌকা গুম-খুনের প্রতীক; সুতরাং জনগণ তাদের ভোট দেবে না। গতকাল বৃহষ্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজবন্দিদের মুক্তি, শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে ডাকা অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমবাশে ১২ দলীয় জোটের নেতারা এসব কথা বলেন। জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান বলেন, এদের নাম আওয়ামী লীগ; যারা মজলুম মানুষের রক্তাক্ত লাশের ওপর দিয়ে আবারও পাতানো নির্বাচনের খেলা খেলতে চায়, তাদের প্রতিহত করতে হবে। আওয়ামী লীগ এখন দেশের শক্র, জনগণের শত্রু। তারা দেশের পচনশীল রাজনৈতিক দল এবং নৌকা গুম-খুনের প্রতীকে পরিণত হয়েছে। এবার জনগণ তাদের প্রতিহত করতে রাস্তায় নেমেছে। জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম বলেন, দেশের অর্থনীতির ওপর আওয়ামী লীগের আগ্রাসন বর্তমানে দেশকে গভীর বিপদে ফেলেছে। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়ে জনগণের বিজয় অর্জিত হবে। বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান বলেন, বাংলাদেশের ৬৪টি রাজনৈতিক দল এবং ৯০ ভাগ মানুষ নির্বাচন বয়কট করেছে। তাই এই নির্বাচন দেশ-বিদেশে গ্রহণযোগ্য হবে না। গণবিরোধী এই নির্বাচন করলে বা হতে দিলে বাংলাদেশের রাজনীতি ও অর্থনীতিতে সংকট ঘনীভূত হবে।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) ভাইস চেয়ারম্যান হান্নান আহমেদ বাবলু, বাংলাদেশ এলডিপির এম এ বাশার, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ। উপস্থিত ছিলেন জমিয়তের মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী, আতাউর রহমান খান, এম কাশেম ইসলামাবাদী, বাংলাদেশ জাতীয় দলের বেলায়েত হোসেন শামীম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির হুমায়ুন কবির, শরীফুল ইসলাম, এলডিপি যুবদলের ফয়সাল আহমেদ, যুব জাগপার নজরুল ইসলাম বাবলু, মনোয়ার হোসেন, জনি নন্দী, ছাত্র সমাজের কাজী ফয়েজ আহমেদ, মেহেদী হাসান, ফাহিম হোসাইন, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের নিজাম উদ্দিন আল আদনান, হাফেজ খালেদ মাহমুদ প্রমুখ।

 

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

নৌকা গুম-খুনের প্রতীক, জনগণ ভোট দেবে না: ১২ দলীয় জোট

আপডেট সময় : ০১:৩৪:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, আওয়ামী লীগের একতরফা নির্বাচনমুখী অবস্থান দেখে মনে হয়, আগামী নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রগুলো আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে পরিণত হবে। আওয়ামী লীগ প্রতারক, নৌকা গুম-খুনের প্রতীক; সুতরাং জনগণ তাদের ভোট দেবে না। গতকাল বৃহষ্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজবন্দিদের মুক্তি, শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে ডাকা অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমবাশে ১২ দলীয় জোটের নেতারা এসব কথা বলেন। জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান বলেন, এদের নাম আওয়ামী লীগ; যারা মজলুম মানুষের রক্তাক্ত লাশের ওপর দিয়ে আবারও পাতানো নির্বাচনের খেলা খেলতে চায়, তাদের প্রতিহত করতে হবে। আওয়ামী লীগ এখন দেশের শক্র, জনগণের শত্রু। তারা দেশের পচনশীল রাজনৈতিক দল এবং নৌকা গুম-খুনের প্রতীকে পরিণত হয়েছে। এবার জনগণ তাদের প্রতিহত করতে রাস্তায় নেমেছে। জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম বলেন, দেশের অর্থনীতির ওপর আওয়ামী লীগের আগ্রাসন বর্তমানে দেশকে গভীর বিপদে ফেলেছে। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়ে জনগণের বিজয় অর্জিত হবে। বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান বলেন, বাংলাদেশের ৬৪টি রাজনৈতিক দল এবং ৯০ ভাগ মানুষ নির্বাচন বয়কট করেছে। তাই এই নির্বাচন দেশ-বিদেশে গ্রহণযোগ্য হবে না। গণবিরোধী এই নির্বাচন করলে বা হতে দিলে বাংলাদেশের রাজনীতি ও অর্থনীতিতে সংকট ঘনীভূত হবে।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) ভাইস চেয়ারম্যান হান্নান আহমেদ বাবলু, বাংলাদেশ এলডিপির এম এ বাশার, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ। উপস্থিত ছিলেন জমিয়তের মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী, আতাউর রহমান খান, এম কাশেম ইসলামাবাদী, বাংলাদেশ জাতীয় দলের বেলায়েত হোসেন শামীম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির হুমায়ুন কবির, শরীফুল ইসলাম, এলডিপি যুবদলের ফয়সাল আহমেদ, যুব জাগপার নজরুল ইসলাম বাবলু, মনোয়ার হোসেন, জনি নন্দী, ছাত্র সমাজের কাজী ফয়েজ আহমেদ, মেহেদী হাসান, ফাহিম হোসাইন, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের নিজাম উদ্দিন আল আদনান, হাফেজ খালেদ মাহমুদ প্রমুখ।