দেশের খবর ডেস্ক: তফসিল ঘোষণার পর আওয়ামী লীগে চলছে নির্বাচনী আমেজ। যারা মনোনয়ন নিয়েছেন, তাদের নেতাকর্মীদেও খুশিতে ঢাকা পড়ে যাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচি। জানাচ্ছেন প্রতিনিধি ও সংবাদদাতারা:
সিলেটে নৌকার এমপি হতে চান চেয়ারম্যানরাও
সিলেট সংবাদদাতা জানান, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সিলেটে নৌকায় চড়ে আইন প্রণেতা বা সংসদ সদস্য (এমপি) হতে চান বর্তমান ও সাবেক পৌর মেয়র, জেলা পরিষদ প্রশাসক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বা প্রশাসক, ভাইস চেয়ারম্যান এমনকি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানরাও। ইতোমধ্যে সিলেটের ১৯টি সংসদীয় আসনের বেশ কয়েকটিতে তৃণমূলের ২৫ জনপ্রতিনিধি সংসদে যেতে চান। তাদের সবাই নৌকায় উঠতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দৌড়ে নাম লিখিয়েছেন। সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের তিন ইউপি চেয়ারম্যান, চার জেলার সাবেক ও বর্তমান ১৪ উপজেলা চেয়ারম্যান, তিন ভাইস চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদের সাবেক এক প্রশাসকসহ দুই চেয়ারম্যান, সাবেক ও বর্তমান দুই পৌর মেয়র দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেটের বিভিন্ন আসন থেকে নৌকা চেয়েছেন। এবার সিলেট বিভাগের চার জেলায় ১৯টি আসনের বিপরীতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কিনেছেন ১৭২ মনোনয়নপ্রত্যাশী। সিলেট-১ (সিলেট সিটি এলাকা ও সদর উপজেলা) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, আওয়ামী লীগের তিনবারের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজও মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনে আট মনোনয়নপ্রত্যাশীর মধ্যে রয়েছেন বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া।
সিলেট-৪ (জৈন্তাপুর-গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন গোয়াইনঘাট উপজেলা ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ আটজন। সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে চ্যালেঞ্জ করে নৌকার টিকিট পেতে দলীয় মনোনয়ন জমা দিয়েছেন দুটি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও গোলাপগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জাকারিয়া আহমদ পাপলু। এ ছাড়া আরও ১০ জন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। সুনামগঞ্জ-১ (জামালগঞ্জ, তাহিরপুর, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর) আসনে বিভাগের মধ্যে সর্বাধিক ১৭ জন দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন। এর মধ্যে তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সুখাইর রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাসরিন সুলতানা দীপা মনোনয়ন চেয়েছেন। এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতনও দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।
সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে শাল্লা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট অবনী মোহন দাস, দিরাই উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মনোনয়ন সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন। এ আসনের প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সহধর্মিণী জয়া সেন গুপ্তা। দলের আরও আটজন মনোনয়ন চান। এর বাইরেও বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা হামিদুল কিবরিয়া চৌধুরী নৌকার মাঝি হতে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর-দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা) আসনে সংসদ সদস্য পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ছাড়াও আরও তিনজন নৌকার মনোনয়ন চেয়েছেন। সুনামগঞ্জ-৪ (সদর-বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ১০ জন মনোনয়ন চেয়েছেন। এর মধ্যে দুই সহোদর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট ও তার সহোদর জেলা যুবলীগের আহবায়ক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল নৌকা চেয়েছেন। জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন ছাড়াও সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিগার সুলতানা কেয়া মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা-জুড়ি) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ও বন ও পরিবেশমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তার সঙ্গে দলের মনোনয়ন দৌড়ে আছেন সাবেক বড়লেখা উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম। এ ছাড়া আরও তিনজন দলীয় মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর। এ আসনে কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ কামরুল ইসলামসহ নৌকার মাঝি হতে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন পাঁচজন। মৌলভীবাজার-৩ (রাজনগর-সদর) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য নেছার আহমদ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ফজলুর রহমান, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলাউর রহমান টিপুসহ মোট আটজন আছেন দলের মনোনয়ন দৌড়ে। মৌলভীবাজার-৪ (কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদসহ সাতজন দলের মনোনয়ন চেয়েছেন। হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে নৌকা প্রতীক চেয়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ গাজী (মিলাদ গাজী)। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরীসহ আটজন দলের মনোনয়ন চেয়েছেন। হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমীরিগঞ্জ) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ খান, বানিয়াচং উপজেলা চেয়ারম্যান জেলা যুবলীগের সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী, আজমীরিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মর্তুজা হাসানসহ নয়জন নৌকা পেতে মনোনয়ন ফরম জমা নিয়েছেন। হবিগঞ্জ-৩ (সদর, লাখাই ও শায়েস্তাগঞ্জ) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির। তার সঙ্গে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচনে জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা অ্যাডভোকেট আবুল হাসেম মোল্লা মাসুমসহ চারজন মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য, বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. মাহবুব আলীসহ ১০ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাধবপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেন চৌধুরী অসীমও মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান বলেন, আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক দল। তাই যে কেউ মনোনয়ন ফরম কিনতে পারেন। নিশ্চয় তাদের যোগ্যতার পরিপ্রেক্ষিতে মনোনয়ন কিনেছেন। প্রধানমন্ত্রী আগেই বলেছেন, আমার বাগানে অনেক ফুল, সবচেয়ে ভালো ফুলটি আমি বেছে নেব। তাই যাচাই-বাছাইক্রমে তিনি যাদের মনোনয়ন দেবেন, তার পক্ষেই নেতাকর্মীরা কাজ করবেন।
ঝিনাইদহের ৪ আসনে আ. লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ৪৭ জন
ঝিনাইদহ সংবাদদাতা জানান, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহের অন্তত ৩টি আসন থেকে সাবেক বিএনপির এমপি ও নেতারা নির্বাচন করবেন বলে জানা গেছে। এই নির্বাচনে ঝিনাইদহের ৪টি নির্বাচনি আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা ৪৭ জন। এর মধ্যে মনোনয়ন পাবেন চারজন। শৈলকুপা উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে ঝিনাইদহ-১ আসন। এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন নয়জন। তারা হলেন- বর্তমান এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই, আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ কামরুজ্জামানের কন্যা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, অধ্যক্ষ কামরুজ্জামানের ছেলে পারভেজ জামান পান্না, বিশ্বাস বিল্ডার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নজরুল ইসলাম দুলাল বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নায়েব আলী জোয়ার্দ্দার, চিত্র নায়িকা সিমলা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লিপি আক্তার, সাবেক ছাত্র নেতা বর্তমান শৈলকুপা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রাজু আহম্মেদ। তবে এই আসনে আরেকজন প্রার্থী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান এম আব্দুল হাকিম মনোনয়ন উত্তোলন করেছেন বলে ঝিনাইদহে সংবাদ ছড়িয়েছে, তবে তার সত্যতা পাওয়া যায়নি। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন, সদর পৌরসভা, হরিণাকু-ুর ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে ঝিনাইদহ-২ আসন। এই আসনে মনোনয়ন উত্তোলন করেছেন নয়জন। তারা হলেন- বর্তমান সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সফিকুল ইসলাম অপু, জেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও রেডিয়্যান্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল, ঝিনাইদহ-মাগুরা সংরক্ষিত আসনের সাংসদ খালেদা খানম, হরিণাকু-ু উপজেলার চেয়ারম্যান সাবেক ছাত্রনেতা জাহাঙ্গীর হোসাইন ও মোয়াজ্জেম হোসেন স্বপন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অশক ধর। কোটচাঁদপুর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন, একটি পৌরসভা ও মহেশপুর উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে ঝিনাইদহ-৩ আসন। এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন উত্তোলন করেছেন ১৪ জন। তারা হলেন- বর্তমান সংসদ সদস্য শফিকুল আজম খান চঞ্চল, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক সামরিক সচিব সালাহউদ্দিন মিয়াজি, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান, সাবেক এমপি যুবলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার নবী নেওয়াজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাজ্জাদুল ইসলাম সাজ্জাদ, সাধারণ সম্পাদক মীর সুলতানুজ্জামান লিটন, জেলা আওয়ামী লীগের গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আনিচুর রহমান টিপু, টিএম আজিবর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান ময়জদ্দীন হামিদ, সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাজ্জাতুজ জুম্মা, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম এম জামান মিল্লাত, কোটচাঁদপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শরিফুন্নেছা মিকি, বাশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা জিন্টু ও মোহাম্মদ আলী। ঝিনাইদহ সদরের ৪টি ইউনিয়ন, কালীগঞ্জের ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে ঝিনাইদহ-৪ আসন। এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন উত্তোলন করেছেন ১৫ জন। তারা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু, বর্তমান এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল আজিম আনার, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইসরাইল হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়ুব হোসেন খান, জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বিজু, সাবেক এমপি প্রয়াত আব্দুল মান্নানের স্ত্রী শামীম আরা মান্নান, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান মতি, রাশেদ শমসের, আনোয়ার পারভেজ সাগর, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক কাজী নাসিম আল মমিন রুপক, বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জেল হোসেন, আলী হাসান মো. গোলাম কিবরিয়া, আব্দুর রশিদ খোকন, মীর আমিনুল ইসলাম, শাতিল ইসলাম। এই ৪৮ জনের মধ্যে এলাকার লোক চেনে না এমন অনেক প্রার্থী রয়েছেন। রয়েছেন বিদ্রোহ করে দলের বিরুদ্ধে ভোট করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিও। কেউবা কোন দিন ছাত্রলীগের রাজনীতি করেননি। এই ৪৮ জনের কোন ভাগ্যবান ৪ জন হচ্ছেন ঝিনাইদহের ৪টি আসনের নৌকার মাঝি তা জানতে তা নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে আলাদা উন্মাদনা কাজ করছে।
নওগাঁর ছয় আসনে নৌকায় উঠতে তৎপর ৪৪ জন
নওগাঁ সংবাদদাতা জানান, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নওগাঁর ছয়টি আসনে নৌকার প্রতীক প্রত্যাশা করে মনোনয়ন তুলেছেন ৪৪ জন। তবে কোন ছয়জন মনোনয়ন পাবেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে অনেক জল্পনা-কল্পনা। এক সময়ের বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত নওগাঁর ছয়টি আসন। কিন্তু এখন সব আসনেই আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আছেন। বর্তমান সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে জেলার প্রত্যেকটি আসনে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী জোট বেঁধেছেন। প্রত্যেকটি আসনে একাধিক প্রার্থী নৌকার মাঝি হতে চেয়ে দলীয় মনোনয়নপত্র তুলেছেন। প্রতিটি আসনে গড়ে সাতটি করে মনোনয়নপত্র বিক্রিও হয়েছে। শেষ মুহূর্তে দলীয় টিকিট নিশ্চিতের আশায় তৎপরতা চালাচ্ছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।
নওগাঁ-১ (নিয়ামতপুর, পোরশা ও সাপাহার) আসনে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ছাড়াও আরও তিনজন মনোনয়ন তুলেছেন। তারা হলেন- নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য রেজাউল ইসলাম রানা, নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি খালেকুজ্জামান তোতা, জেলা বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য ও পোরশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন। নওগাঁ-২ (পতœীতলা ও ধামইরহাট) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বর্তমান সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের আইন, বিচার ও সংসদীয় কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার বাবলু ছাড়াও আরও পাঁচজন।
তারা হলেন- পতœীতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য প্রকৌশলী আকতারুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আইয়ুব হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ রেজা মেহেদী ও জেলা তাঁতি লীগের সহ-সভাপতি ওবাইদুল ইসলাম। নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর ও বদলগাছী) আসনে নৌকার মাঝি হতে চান বর্তমান সংসদ সদস্য, মহাদেবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদার। এছাড়া আরও পাঁচজন নৌকায় উঠতে চান। তারা হলেন- সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব এনামুল কবির (মঞ্জু), সরকারের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত আকরাম হোসেন চৌধুরীর স্ত্রী মাহফুজা আকরাম (মায়া) ও বদলগাছী উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য প্রকৌশলী মাহবুবুল হক মান্নাফ শুভ। নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী বর্তমান সংসদ সদস্য এবং সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী ইমাজ উদ্দিন প্রামানিক ও তার ছেলে শাফায়াত জামিল সৌরভ। এছাড়া আরও ১০ জন একই আসনে মনোনয়ন তুলেছেন। তারা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক ব্রহানী সুলতান গামা, জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহেল বাকী, মান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন মন্ডল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাহিদ মোর্শেদ বাবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য আব্দুল মান্নান ও আব্দুল লতিফ শেখ, মান্দা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক মোল্লা, আওয়ামী লীগ নেতা সুলতান রায়হান, আফজাল হোসেন ও আবুল কালাম আজাদ। নওগাঁ-৫ (সদর) আসনে নৌকার মাঝি হতে বর্তমান সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন জলিল জন ছাড়া আরও পাঁচজন দলীয় মনোনয়ন কিনেছেন। তারা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মালেক, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহীন মনোয়ারা হক, নওগাঁ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান ছেকার আহমেদ শিষান ও জেলা যুবলীগের সভাপতি খোদাদ খান (পিটু)। নওগাঁ-৬ (রাণীগনর ও আত্রাই) আসনে নৌকার মাঝি হতে বর্তমান সংসদ সদস্য ও রাণীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন হেলাল ছাড়াও আরও ৯ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী আছেন। তারা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত ইসরাফিল আলমের স্ত্রী সুলতানা পারভীন বিউটি, নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ওমর ফারুক সুমন, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নওশের আলী, রাণীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জিএম মাসুদ রানা ও ইউনুছ আলী প্রামাণিক, আত্রাই উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাহিদ ইসলাম বিপ্লব, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল আরিফ রাঙ্গা, জাহেদুল হক ও মতিউর রহমান।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সম্পর্কে জানতে চাইলে নওগাঁ-১ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি খালেকুজ্জামান তোতা বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে রাজনীতি করে আসছি। আমি সাত থেকে আট বার উপজেলা নির্বাচন করেছি। এখানকার জনগণ আমাকে অনেক সাপোর্ট করে। এখন দেশনেত্রী যদি আমাকে নৌকার প্রতীকে নির্বাচন করতে দেন তাহলে প্রতিপক্ষ যতই শক্তিশালী হোক না কেন বিপুল ভোটে জয়লাভ করবো।
নওগাঁ-২ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আইয়ুব হোসেন বলেন, জনগণ আমাকে অনেক সমর্থন করে। এজন্য আমি মনোনয়ন কিনেছি। যদি নেত্রী আমাকে ভালোবেসে তার সঙ্গে কাজ করবার সুযোগ দেন তাহলে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করবো। নওগাঁ-৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদার বলেন, আমি জনগণের জন্য নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে আসছি। এবারও দেশনেত্রী আমাকে যদি সুযোগ দেয় তাহলে আবারো আমি সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করে যাবো।
নওগাঁ-৬ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী সুলতানা পারভীন বিউটি বলেন, আমার স্বামী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত ইসরাফিল আলম নিষ্ঠার সঙ্গে জনগণের জন্য কাজ করেছেন। আমিও জনগণের সেবা করতে চাই। আশা করি বঙ্গবন্ধু কন্যা আমাকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে আসার সুযোগ দেবেন।
জামালপুরে নৌকার হাল ধরতে চান ৩৮ জন
জামালপুর সংবাদদাতা জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুরে ৫টি সংসদীয় আসনে নৌকার মাঝি হতে ৩৮ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। এর মধ্যে রয়েছেন বর্তমান মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও সাবেক আমলা। শেষ মুহূর্তে দলীয় টিকিট নিশ্চিত করতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতারা। তাদের মধ্যে জামালপুর-১ আসনে ৯ জন, জামালপুর-২ আসনে ১২ জন, জামালপুর-৩ আসনে ৩ জন, জামালপুর-৪ আসেন ৬ জন, জামালপুর-৫ আসনে ৮ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। তাদের মধ্যে মনোনয়ন পাবেন ৫ জন। জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন কিনেছেন যারা, সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধক্ষ নূর মোহাম্মদ, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মোখলেছুর রহমান পান্না, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সাবেক ডিজি মোছাদ্দেক হোসেন, ঢাকা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ব্যারেস্টার সামীর সাত্তার। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীনা বেগম, ঢাকা মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য সারমিন আক্তার ময়না। মোফাখ্খার হোসেন খোকন তার দলীয় পরিচয় জানা যায়নি। এ আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার ৪ লাখ ১ হাজার ৪৭৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৯৯ হাজার ৫৬৭ জন ও নারী ২ লাখ ১ হাজার ৯১০ জন। হিজড়া ভোটার আছেন ১ জন। জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনে মনোনয়ন কিনেছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল, জামালপুর-শেরপুর সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হোসনে আরা, ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের শেখ, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক মীর শরীফ হাসান লেলিন, ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মনজুরুল মোর্শেদ হ্যাপি, জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য জিয়াউল হক, সাবেক ভূমি প্রতিমন্ত্রীর রার্শেদ মোশারফের ছেলে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাবেদ মোশারফ রুপক, আওয়ামী লীগ সমর্থক এসএম কামরুন্নাহার মোশারফ (পারুল), বিমানবন্দর থানা আওয়ামী লীগ সাবেক সভাপতি শাহাজান আলী মন্ডল, সাবেক সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য মাহাজাবিন খালেক বেবী, জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য এসএম শাহিনুজ্জামান শাহিন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক লালন। জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনটি উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। এ আসনে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৫৯০ জন পুরুষ ভোটার আর ১ লাখ ২৯ হাজার ২৪১ জন নারী ভোটার রয়েছেন। জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনের দলীয় মনোনয়ন কিনেছেন মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ ৩ আসনের সংসদ সদস্য মির্জা আজম, জামালপুর জেলা বার সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি তারেক মালেক সিজার, আওয়ামী লীগ জাপান শাখার সভাপতি জুলফিকার আলী জুয়েল তরফদার। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-৩ আসনে মোট ভোটার ৫ লাখ ১ হাজার ৮৩০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫৩ হাজার ৭৩৯ জন ও নারী ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯১ জন। হিজড়া ভোটার আছেন ২ জন। এ আসনে ভোটকেন্দ্র ১৫৩টি আর ভোটকক্ষ ১০২১টি। জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনে দলীয় মনোনয়ন কিনেছেন সংসদ সদস্য ড. মুরাদ হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান হেলাল, ঢাকা তেঁজগাও থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ আবদুর রশীদ, সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশা, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান এলিন, ফজলুল হক (তার দলীয় পদ জানা যায়নি)। এ আসনটি সরিষাবাড়ী উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। এ আসনের মোট ভোটার ২ লাখ ৮৬ হাজার ৪২৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৪২ হাজার ৩৩৩ জন। আর নারী ভোটার রয়েছেন ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯৪ জন। মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৮৯ হাজার ১৭৭ জন। জামালপুর-৫ (সদর) আসনের দলীয় মনোনয়ন কিনেছেন, সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোজাফ্ফর হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফারুক আহমেদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য মারুফা আক্তার পপি, জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ সালেহীন রেজা, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী ও জাহিদ আনোয়ার। জেলা আওয়ামী লীগের সদস্যরে রেজাউল করিম রেজনু।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে মোট ভোটার ৫ লাখ ৪৬ হাজার ৮৩৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৬৭ হাজার ৩৬৮ জন ও নারী ২ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭০ জন। হিজড়া ভোটার আছেন ৭ জন। এ আসনে ভোটকেন্দ্র ১৫৯টি আর ভোটকক্ষ ১০৯৬টি। উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এবং ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
বগুড়ার ৭ আসনে নৌকা পেতে চান ৫৩ জন
বগুড়া সংবাদদাতা জানান, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়ার সাতটি আসনে নৌকার কান্ডারি হতে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন ৫৩ জন। বগুড়ার ১২টি উপজেলা নিয়ে সাতটি সংসদীয় আসন গঠিত। এর মধ্যে বগুড়া-১ ও ২ আসনে সবচেয়ে বেশি নৌকার মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়েছে। যমুনা নদীঘেঁষা বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে ৯ জন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। তারা হলেন- এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও সারিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাহাদারা মান্নান, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ম. আব্দুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক মোস্তাফিজার রহমান শ্যামল, সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম মন্টু, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এসএম মুজাহিদুল ইসলাম বিপ্লব, সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা মশিউর রহমান লিজন ও সারিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মেধা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহাজাদী আলম লিপি। বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসন থেকেও ৯ জন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। তারা হলেন- শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তৌহিদুর রহমান মানিক, সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রিজ্জাকুল রহমান রাজু, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোবাশ্বার হোসেন স্বরাজ, জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন, শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফাহিমা আকতার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আজিজুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আকরাম হোসেন ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ফকির। বগুড়া-৩ (আদমদিঘী ও দুপচাঁচিয়া) আসনে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন আটজন। তারা হলেন- আদমদিঘী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও এই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম খান রাজু, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন, জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট তবিবর রহমান তবি, আদমদিঘী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অজয় কুমার সরকার, কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সদস্য ও দুপচাঁচিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবা নাসরিন রূপা, আদমদিঘী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সান্তাহার ইউপি চেয়ারম্যান নাহিদা সুলতানা তৃপ্তি, দুপচাঁচিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান খান সেলিম ও প্রজন্ম লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ফেরদৌস হাবিব। বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) আসন থেকে পাঁচজন প্রার্থী আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। তারা হলেন- কাহালু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন কবিরাজ, নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রানা, নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এএনএম আহছানুল হক ও তৌহিদুল করিম কল্লোল। বগুড়া-৫ (শেরপুর ও ধুনট) আসন থেকে আটজন প্রার্থী আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। তারা হলেন- এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি টিআই নুরুন্নবী তারিক, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাবেক অধ্যক্ষ সামস-উল-আলম জয়, সাবেক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌস রূপা, তাঁতি লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খান নূরে খোদা মুঞ্জু, শেরপুর উপজেলা যুবলীগের সদস্য আল-আমিন মন্ডল ও এমএ হান্নান। বগুড়া-৬ (সদর) আসন থেকে ছয়জন প্রার্থী আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। তারা হলেন- বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান রিপু, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি টি জামান নিকেতা, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহন, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান মিলন ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবিহা সাবরিন পিংকী। বগুড়া-৭ (গাবতলী ও শাজাহানপুর) আসন থেকে আটজন প্রার্থী আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। তারা হলেন- বিএমএ ও স্বাচিপ বগুড়ার সভাপতি ডা. মোস্তফা আলম নান্নু, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একেএম আসাদুর রহমান দুলু, বগুড়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গাবতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফি নেওয়াজ খান রবিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহাদৎ আলম ঝুনু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান ভিপি সাজেদুর রহমান সাহিন, শাজাহানপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক সোহরাব হোসেন ছান্নু, বগুড়া জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হেফাজত আরা মিরা এবং বগুড়া জেলা জাতীয় মহিলা শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি ও জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় মহিলা কমিটির সদস্য সচিব শামীমা আকতার জলি। বগুড়া-৬ সদর আসনের সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান রিপু বলেন, আমরা তো অবশ্যই প্রত্যাশা করি মনোনয়ন পাওয়ার। তবে নেত্রীর মূল্যায়নকে অগ্রাধিকার দেব। নেত্রী যাকে দেবেন তার জন্যই কাজ করব।
গাইবান্ধায় নৌকার বৈঠা ধরতে চান ৫৩ জন
গাইবান্ধা সংবাদদাতা জানান, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেতে গাইবান্ধা জেলার পাঁচটি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন ৫৩ জন। আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে তারা সবাই আওয়ামী লীগের টিকিট চান। মনোনয়নপ্রত্যাশী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নৌকায় উঠতে পারলে জয় অনেকটা নিশ্চিত বলে মনে করেন তারা। তাই মনোনয়ন ফরম কেনার জন্য উৎসাহ-উদ্দীপনা বেড়েছে। জেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে নৌকার মনোনয়ন কিনেছেন ১০ জন, গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে ৮ জন, গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ী-সাদুল্লাপুর) আসনে ১৩ জন, গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনে ১৪ জন ও গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে ৮ জন।
গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) সংসদীয় আসনে নৌকায় উঠতে ১০ জন দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন। তারা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিসেস আফরুজা বারী, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল আলম সরকার লেবু, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দা মাসুদা খাজা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফুল ইসলাম রঞ্জু, উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুল হান্নান সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মেহেদী মোস্তফা মাসুম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. আখতারুজ্জামান আকন্দ শাকিল, জেলা পরিষদের সদস্য মো. এমদাদুল হক নাদিম এবং মো. মতিউর রহমান সালু।
গাইবান্ধা-২ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ও হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনি, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ শামস উল আলম হিরু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোজাম্মেল হক মন্ডল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির মিলন, জেলা আওয়ামী সহ-সভাপতি ফরহাদ আব্দুল্যাহ হারুন বাবলু, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ সারোয়ার কবীর এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঘগোয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমিনুর জামান রিংকু। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা শামসুল আলম টিটুল নামে একজন মনোনয়ন কিনেছেন।
গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে নৌকার মাঝি হতে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী ১৩ জন প্রার্থী। তারা হলেন, বর্তমান এমপি ও কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি, পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উপাধ্যক্ষ মো. শামিকুল ইসলাম সরকার লিপন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য আলহাজ্ব একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. তৌহিদুল ইসলাম মন্ডল, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. মাহমুদুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) মো. মফিজুল হক সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট মো. জরিদুল হক, আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক মো. আজিজুর রহমান সরকার, সাদুল্লাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মো. সাহারিয়া খান বিপ্লব, সাদুল্লাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ (অব.) মো. জাকারিয়া খন্দকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক সহীদুল্যাহেল কবির ফারুক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আজিজার রহমান বিএসসি এবং জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ এসএম আব্দুর রহমান।
গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনে নৌকার কা-ারি হওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কিনেছেন ১৪ নেতা।
তারা হলেন- বর্তমান সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অধ্যক্ষ মো. আবুল কালাম আজাদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আতাউর রহমান সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল লতিফ প্রধান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোকাদ্দেস আলী প্রধান বাদু, সেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টাম-লীর সদস্য মো. নাজমুল হাসান লিটন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইবনে আজিজ মো. নুরুল হুদা ফরহাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান বাবলু, ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহজাহান সিরাজ, জেলা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার মো. শাহজাহান আলী সরকার, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সভাপতি অধ্যক্ষ এ কে এম আব্দুর নূর, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ শামীম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল ইসলাম প্রধান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য মো. কামরুল হাসান ফাহিয়ান।
গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনেও ৮ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কিনেছেন। তারা হলেন- গাইবান্ধা-৫ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন, ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিএম সেলিম পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক ও প্রয়াত ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বীর মেয়ে ফারজানা রাব্বী বুবলি, সাঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সামশীল আরেফিন টিটু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. মাহবুর রহমান লিটন, গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক উম্মে জান্নাতুল ফেরদৌস শাপলা, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আল মামুন এবং সাঘাটা উপজেলা যুবলীগের সদস্য সুশীল চন্দ্র সরকার।