ঢাকা ০৬:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নোভাভ্যাক্সের করোনা টিকায় ৯০ শতাংশ সুরক্ষা

  • আপডেট সময় : ১২:০৩:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুন ২০২১
  • ৭১ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান নোভাভ্যাক্স ইনকরপোরেশন জানিয়েছে, তাদের উৎপাদিত টিকা করোনার ছড়িয়ে পড়া ধরনগুলোর থেকে ৯০ শতাংশের বেশি সুরক্ষা দিতে সক্ষম। যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোতে পরিচালিত তৃতীয় দফার ট্রায়াল শেষে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে গত সোমবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোতে প্রায় ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর ওপর করোনার টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালিয়েছে নোভাভ্যাক্স। এই ট্রায়ালের ফলাফলে ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকারিতার প্রমাণ মিলেছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই–সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ অন্যান্য জায়গায় টিকাটির জরুরি অনুমোদনের জন্য আবেদন করতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
নোভাভ্যাক্সের গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের প্রধান গ্রেগরি গে¬ন জানান, যখন তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করা হয়েছে, তখন যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে করোনার যুক্তরাজ্য থেকে ছড়ানো ধরন বেশি শনাক্ত হচ্ছিল। ট্রায়ালে ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত থেকে ছড়ানো করোনার ধরনের নমুনাও ছিল। এসব ধরনের বিরুদ্ধে কার্যকর লড়াই করতে সক্ষম নোভাভ্যাক্সের করোনার টিকা।
গ্রেগরি গে¬ন বলেন, স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্যে যাঁরা করোনায় আক্রান্তের উচ্চ ঝুঁকিতে ছিলেন, তাঁদের ৯১ শতাংশ সুরক্ষা দিয়েছে নোভাভ্যাক্সের টিকা। গুরুতর ঝুঁকিতে থাকা স্বেচ্ছাসেবীদের সুরক্ষা দিয়েছে শতভাগ। আর নোভাভ্যাক্স করোনার যেসব ধরন এখনো শনাক্ত করতে পারেনি, সেসবের বিরুদ্ধে প্রায় ৭০ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারে এই টিকা।
একই সঙ্গে এই টিকা বেশ সহনীয়। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে মৃদু মাথাব্যথা, মাংসপেশিতে ব্যথা ও ক্লান্তিভাব দেখা গেছে। অল্প কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক জানিয়েছেন, তাঁদের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছিল তুলনামূলক গুরুতর।
নোভাভ্যাক্স জানিয়েছে, চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের শেষ নাগাদ প্রতিষ্ঠানটি মাসে ১০০ মিলিয়ন ডোজ করোনার টিকা উৎপাদন করার পরিকল্পনা এগিয়ে নিচ্ছে। আর চতুর্থ প্রান্তিকে (অক্টোবর–ডিসেম্বর) টিকাটির উৎপাদনের লক্ষ্য ধরা হয়েছে প্রতি মাসে ১৫০ মিলিয়ন ডোজ। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট স্থানীয় পর্যায়ে নোভাভ্যাক্সের করোনার টিকা উৎপাদনে যুক্ত রয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নোভাভ্যাক্সের করোনা টিকায় ৯০ শতাংশ সুরক্ষা

আপডেট সময় : ১২:০৩:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুন ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান নোভাভ্যাক্স ইনকরপোরেশন জানিয়েছে, তাদের উৎপাদিত টিকা করোনার ছড়িয়ে পড়া ধরনগুলোর থেকে ৯০ শতাংশের বেশি সুরক্ষা দিতে সক্ষম। যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোতে পরিচালিত তৃতীয় দফার ট্রায়াল শেষে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে গত সোমবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোতে প্রায় ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর ওপর করোনার টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালিয়েছে নোভাভ্যাক্স। এই ট্রায়ালের ফলাফলে ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকারিতার প্রমাণ মিলেছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই–সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ অন্যান্য জায়গায় টিকাটির জরুরি অনুমোদনের জন্য আবেদন করতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
নোভাভ্যাক্সের গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের প্রধান গ্রেগরি গে¬ন জানান, যখন তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করা হয়েছে, তখন যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে করোনার যুক্তরাজ্য থেকে ছড়ানো ধরন বেশি শনাক্ত হচ্ছিল। ট্রায়ালে ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত থেকে ছড়ানো করোনার ধরনের নমুনাও ছিল। এসব ধরনের বিরুদ্ধে কার্যকর লড়াই করতে সক্ষম নোভাভ্যাক্সের করোনার টিকা।
গ্রেগরি গে¬ন বলেন, স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্যে যাঁরা করোনায় আক্রান্তের উচ্চ ঝুঁকিতে ছিলেন, তাঁদের ৯১ শতাংশ সুরক্ষা দিয়েছে নোভাভ্যাক্সের টিকা। গুরুতর ঝুঁকিতে থাকা স্বেচ্ছাসেবীদের সুরক্ষা দিয়েছে শতভাগ। আর নোভাভ্যাক্স করোনার যেসব ধরন এখনো শনাক্ত করতে পারেনি, সেসবের বিরুদ্ধে প্রায় ৭০ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারে এই টিকা।
একই সঙ্গে এই টিকা বেশ সহনীয়। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে মৃদু মাথাব্যথা, মাংসপেশিতে ব্যথা ও ক্লান্তিভাব দেখা গেছে। অল্প কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক জানিয়েছেন, তাঁদের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছিল তুলনামূলক গুরুতর।
নোভাভ্যাক্স জানিয়েছে, চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের শেষ নাগাদ প্রতিষ্ঠানটি মাসে ১০০ মিলিয়ন ডোজ করোনার টিকা উৎপাদন করার পরিকল্পনা এগিয়ে নিচ্ছে। আর চতুর্থ প্রান্তিকে (অক্টোবর–ডিসেম্বর) টিকাটির উৎপাদনের লক্ষ্য ধরা হয়েছে প্রতি মাসে ১৫০ মিলিয়ন ডোজ। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট স্থানীয় পর্যায়ে নোভাভ্যাক্সের করোনার টিকা উৎপাদনে যুক্ত রয়েছে।